ইনসাইড টক

‘শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 28/09/2020


Thumbnail

 

ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে করোনায় বিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি। বিশেষ করে পোশাক খাত ফিরতে শুরু করেছে আগের অবস্থায়। একই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রেমিট্যান্সের পরিমাণ। পাশাপাশি বিশেষ প্রণোদনায় অন্যান্য খাতেও ফিরছে চাঞ্চল্যতা। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে ‘বাংলা ইনসাইডার’ এর সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান

ড. আতিউর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা বুঝতে পেরেছিলেন বিশ্ব এখন প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক হবে। তাই তিনি দিন বদলের সনদকে সামনে নিয়ে আসেন। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় অনেক ভূমিকা রেখেছেন। দেশের উন্নয়নে যে ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তার দরকার সেগুলো করতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, আইটি পার্ক ও ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম তৈরি করেছেন। ফলে এই করোনাকালীন মানুষ ঘরে বসেই মোবাইল ব্যাংকিং বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করতে পারছে। এই সিদ্ধান্তের কারণেই করোনায় মধ্যেই বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এছাড়া তিনি ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এশিয়াতে দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে তিনটি দেশ তার মধ্যে বাংলাদেশ, চীন ও ভিয়েতনাম।

শেখ হাসনিার সরকার দেশে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কৃষিকে এগিয়ে নিতে জলবায়ু সহিষ্ণু নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে। ফলে দেশের কৃষি ক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে। এছাড়া শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের কারণে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে দুই মাস নদীতে মাছ শিকার বন্ধ  এবং এই সময়ে জেলেদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারির কারণে এখন বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন অনেক বেড়েছে।

ড. আতিউর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে গেলে অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিশেষ প্রয়োজন। শেখ হাসিনার শক্ত নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক ভালো। যে কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিনিয়োগ করাটা নিরপাদ মনে করে। আর এই নিরাপত্তার বড় প্রমাণ হচ্ছে জঙ্গি দমন। হলি আর্টিজেনে বিদেশিদের ওপরে হামলার পরে অনেকেই ভেবেছিল যে বাংলাদেশের পোশাক খাতে বিদেশি বিনিযোগকারীরা হয়তো ভয়ে পিছিযে যাবে। কিন্তু শেখ হাসিনার শক্ত নেতৃত্বের কারণে দ্রুতসময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের নিরাপত্তার অবস্থা স্বাভাবিক হয় এবং জঙ্গিদমনে সফলতা আসে।

সাবেক এই গভর্নর জানান, শেখ হাসিনার সরকারের লক্ষ্য ছিল নারীর ক্ষমতায়ন। সেই লক্ষে সরকার এখন নারী শিক্ষা ধেকে শুরু করে নারীদের শিক্ষাবৃত্তি, নারীদের কারিগরি শিক্ষা যা, আগে ১ শতাংশও ছিল না বর্তমানে তা ১৯ শতাংশে পৌঁছেছে। শেখ হাসিনা অন্যান্য দলের মতো নির্বাচনী ইশতেহার শুধু মানুষকে দেখানোর জন্য করেননি, বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। যার কারণে প্রশাসনসহ বড় বড় পদে এখন নারীদের দেখা যায়।

এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কথা চিন্তা করে ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা করে শেখ হাসিনা ২১০০ সালের জন্য ব-দ্বীপ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে নদী-নালা এবং প্রকৃতি নির্ভর অর্থনীতি গড়ার জন্য। এই পরিকল্পনা জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে বড় ভূমিকা রাখবে। এছাড়া শেখ হাসিনার সরকার দেশের বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশেষ করে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল।

সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার ১৯৭২ সালে বলেছিলেন, বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়ি হতে যাচ্ছে। ১৯৭২-৭৩ সালের জাতীয় বাজেট ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা। ২০২০-২১ সালে বাংলাদেশের বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। ২০২৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণা করবে। এ থেকে বোঝা যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন কোথায় গিয়ে দাাঁড়িয়েছে।

 

 

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭