ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মেডিকেলের ছাত্রী তাবিস খান বর্জ্যকে শিল্পে পরিনত করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 30/09/2020


Thumbnail

অনন্তনাগ জেলার তাবিস আইজাজ খান স্ব-শিক্ষিত শিল্পী যিনি চিনার পাতাগুলি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাদুরের উপরে অঙ্কন করতে পারেন। দক্ষিণ কাশ্মীরের ইকবাল আবাদের বাসিন্দা তাবিস বর্তমানে এমবিবিএস পড়াশোনার পাশাপাশি অঙ্কন শিল্পেও পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। স্কুল জীবন থেকেই সে নিজে নিজে অঙ্কনের অনুশীলন করে আসছেন। চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী থাকা অবস্থায় সে তার প্রথম ছবিটি আঁকেন এবং এরপর থেকেই এটি তার শখে পরিণত হয়।

এএনএই কে তাবিস বলেন, “ আমি স্কুল জীবনে শখের বসে বিভিন্ন রকমের কার্টুন এবং ছবি আঁকতাম, যা অনুশীলনের মাধ্যমে আমি উন্নত করেছি”। ২০১৬ সালের দিকে স্কুল জীবন শেষ করার পর যখন তাবিস মেডিকেল কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো তখন ছবি আঁকা শুরু করেন। তখনি তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি ছবি আঁকার ব্যাপারে উৎসাহী।

তাবিস বলেন, “ ২০১৬ সালের দিকে যখন আমি ছবি আঁকা শুরু করি তখন আমি সেগুলোকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করতাম এবং খুব ভালো প্রতিক্রিয়া পেতাম যা আমাকে আরো বেশি আঁকতে উৎসাহ যোগাতো। পরবর্তীতে আমি ভাবলাম এটি আমার শখ কিন্তু এই সময়ের মধ্যে আমি বুঝতে পারলাম যে এটিই আমার লক্ষ। একজন চিত্রশিল্পী হিসাবে তাবিস ভাঙা চায়ের কাপ এবং চিনার পাতা তার ক্যানভাস হিসাবে ব্যবহার করেন।

তাবিস আরো যোগ করেন, “ আমি ক্যানভাসের উপরে এবং কাগজে আঁকি, কিন্তু আমি পরিত্যাক্ত বর্জ্য যেমন চিনার পাতা, কাঠের ব্লক, ভাঙা কাপ, ডিমের খোসা এবং পাথরের উপরেও আঁকতে পছন্দ করি। আমি মনে করি কোনো কিছুই ফেলনা না, আপনি যদি এই দৃষ্টিকোন থেকে দেখতে পারেন এবং আপনি তখন এসকল পরিত্যাক্ত জিনিসের উপরে আঁকতে পারবেন তখন এগুলো খুব সুন্দর দেখাবে”।

তার এই আঁকাআঁকি নিয়ে তার পিতা মাতার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তাবিস বলেন, বর্তমানে আমি মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করছি, আমার বাবা মা সব সময়েই আমাকে উৎসাহ দেয় আমার আঁকাআঁকি এবং মেডিকেল পড়াশোনা দুটোর ব্যাপারেই।

তথ্যসূত্রেঃ "টাইমস অফ ইন্ডিয়া"



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭