ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

উপমহাদেশে ৮০ শতাংশ মাদকই আসে পাকিস্তান থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 30/09/2020


Thumbnail

 

উপমহাদেশের মোট ভাগের ৮০ শতাংশই মাদক আসে পাকিস্তান থেকে। দেশটি প্রতিবেশি দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে মাদক সরবারাহ করছে। সম্প্রতি ইউরোপিয়ানের ব্রাসেলস ভিত্তিক ইউরোপীয় মাল্টিমিডিয়া নিউজ ইউরো রিপোর্টে প্রকাশিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। এতে বলা হয়, পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসে তাদের পৃষ্ঠপোষকতার কথা সবাই জানে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে ইসলামাবাদের জড়িত থাকার অভিযোগ বেড়েই চলছে। মাদক চোরাচালান নিয়ে পাকিস্তানের বড় পরিকল্পনাও রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়া ডেমোক্র্যাটিক ফোরামের (এসএডিএফ) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাদক সন্ত্রাসবাদ শব্দটির সঙ্গে মাদক পাচার এবং সন্ত্রাসবাদ শব্দটি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। মাদক চোরাচালান পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটির মাধ্যমে পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের জন্য ফান্ড গঠন করছে এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে অসম যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে এবং কিছু বিদেশী নীতি লক্ষ্য অর্জন করছে। মাদক চোরাচালানের মাধ্যমে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর অর্থ উপার্জনের দিকে নজরদারি বাড়াচ্ছে। এর মধ্যে মাদক-সন্ত্রাসবাদ সবচেয়ে ভয়াবহ রূপগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা, জঙ্গি সংগঠনসহ মাদক পাচারের ক্ষেত্রে সবাই এক সঙ্গে কাজ করে।

এছাড়াও ইউরো রিপোর্টের ওই নিবন্ধে ভারতে ৮৭২ জন মাদক সেবীর মধ্যে এক সমিক্ষা করা হয়। এরমধ্যে সবাই ভারতের আদালত কতৃক দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাদের ওপর গবেষণা থেকে মাদক সেবী এবং ব্যবসায়ীসহ দণ্ডিত ব্যক্তিদের ভেতরের দৃষ্টিভঙ্গি জানা যায়।

তবে তাদের বেশির ভাগ্ মাদক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান থেকে এসব মাদক ভারতে প্রবেশ করছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে পাকিস্তানের মাদক বাণিজ্য এবং তা দিয়ে সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতার খবর ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা। এটা পরিষ্কার যে মাদক সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে পাকিস্তান ভারতে অস্ত্র, মাদক প্রবেশ করাচ্ছে। অবৈধ পথে আসা এসব মাদকের ৮৩.৯৪% পাকিস্তান, ৫.০৫% নেপাল এবং ৪.২৪% আফগানিস্তান থেকে আসে।

অপরদিকে গবেষণা থেকে স্কুল কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকের অপব্যবহার রোধে বিভিন্ন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে পুর্ণবাসনসহ কর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্যসুবিধা নিশ্চিতের ব্যবস্থা করতে হবে।

এদিকে ১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক স্বাক্ষাতকারে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ দাবী করেছিলেন, ভারত বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনার তহবিল গঠনের জন্য জঙ্গি সংগঠন আইএসসহ পাকিস্তানি বিভিন্ন সংস্থা মাদক পাচারে জড়িত রয়েছে। শরীফ আরো উল্ল্যেখ করেন, তৎকালিন আর্মি চিফ স্টাফ (সিওএএস)আসলাম বেগ এবং আইএসআই জেনারেল মহাপরিচালক (ডিজি) আসাদ দুরানী, দেশের গোপন সামরিক অভিযানের জন্য অর্থ সংগ্রহে হিরোইনসহ মাদক বিক্রিতে নীল নকশার প্রস্তাব করে ছিলেন।

 

তথ্যসূত্র: দি ইকোনোমিক টাইমস



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭