ইনসাইড টক

সংক্রমণ কমায় আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 04/10/2020


Thumbnail

দেশে করোনা ভাইরাস প্রার্দুভাবের পর গতকাল শনিবার চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ও মৃত্যুবরণ করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও সংক্রমনের হার নিম্নমুখী। করোনা ভাইরাসের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ এ বি এম আব্দুল্লাহ। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক মির্জা মাহমুদ আহমেদ।  

বাংলা ইনসাইডার: গত কয়েকদিন ধরে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমেছে। দেশে করোনার প্রকোপ কমে এসেছে একথা বলার সময় হয়েছে কী?


এ বি এম আব্দুল্লাহ: করোনা সংক্রমণ কমেছে এটা সত্যি। তবে করোনার প্রকোপ কমেছে কি না এটা বলা মুশকিল। সংক্রমণের হার নিম্নমুখী এটা ঠিক। মৃত্যুর ঝুঁকিও কিছুটা কমেছে।

তবে আর কিছুদিন না গেলে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না দেশে করোনার প্রকোপ কমেছে কিনা। আমরা সবাই আশস্কা প্রকাশ করছি শীতে করোনা প্রাদুভার্ব বাড়তে পারে।

তাছাড়া মানুষ এমনিতেই স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে শৈথল্য প্রর্দশন করছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে আমাদের অনীহা আছে। এখন যদি আমি বলি করোনার প্রকোপ কমে গেছে তাহলে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে আরও শৈথল্য প্রর্দশন করবে। 

সুতরাং সংক্রমণ কমায় আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে না নামলে করোনার প্রকোপ কমেছে এ কথা বলা যাবে না। 

আরও কিছু দিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলে বলা যাবে করোনার প্রকোপ কমেছে কি কমে নাই। বিশেষ করে শীত আসলে নিশ্চিত করে বলা যাবে।    আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে টিলেঢালা মনোভাব দেখাই তবে সামনের দিনগুলোতে ঝুঁকি আরও বাড়বে। 


বাংলা ইনসাইডার: করোনার সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবেলায় কি ধরনের প্রস্তুতি নেয়া উচিত বলে মনে করেন।

 এ বি এম আব্দুল্লাহ: স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। সচেতন হতে হবে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বিকল্প নাই। মাস্ক পড়তে হবে, নিয়মিত হাত ধুতে হবে, শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে কোন ছাড় দেয়া যাবে না।  


বাংলা ইনসাইডার: ভ্যাকসিনের অগ্রগতি নিয়ে কিছু বলুন


এ বি এম আব্দুল্লাহ: ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত ফাইনাল ট্রায়ালে আছে। ফাইনাল ট্রায়াল কবে শেষ হবে এটা এখনও নিশ্চিত না। ফাইনাল ট্রায়াল শেষ হলে বোঝা যাবে ভ্যাকসিন কেমন কাজ করে। ভ্যাকসিন যদি কাজ করে; তাহলে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য আবার অনুমতি নিতে হবে।  অনুমতি নেয়ার পর ফ্যাক্টরীতে ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। 

ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশগুলো যত কিছুই বলুক ভ্যাকসিন খুব দ্রুত আসবে বলে মনে হয় না। ভ্যাকসিন আসতে সময় লাগবে। ভ্যাকসিন দ্রুত আসলেও প্রথম দিকে খুব বেশি লোক পাবে মনে হয় না। পর্যায়ক্রমে আস্তে আস্তে সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে হবে।   

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭