ইনসাইড ট্রেড

‘করোনায় মার্চ পর্যন্ত বেঁচে থাকা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 06/10/2020


Thumbnail

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে বিশেষ চিকিৎসা, রোগীদের করনীয়সহ বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন ল্যাবএইড গ্রুপের ব্যবস্থাপরা পরিচালক ডা. এ এম শামীম। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান। 

বাংলা ইনসাইডারঃ করোনার চিকিৎসা নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ

ডা. এ এম শামীমঃ জ্বর, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, মুখের রুচি কমে যাওয়া, গন্ধ না পাওয়া। এই লক্ষণগুলোর যেকোনো দুই/একটা দেখা দিলেই দ্রুতসময়ের মধ্যে ভালো কোনো হাসপাতালে পরীক্ষা করতে হবে। তবে পরীক্ষা করানোটা বাধ্যতামূলক।

বাংলা ইনসাইডারঃ করোনা চিকিৎসায় কোন প্রতিবন্ধকতা লক্ষ করছেন?

ডা. এ এম শামীমঃ সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে করোনা টেস্ট না করা। মানুষ ভয়ে পরীক্ষা করায় না। দেখি না কি হয়, পরে টেস্ট করবো এভাবে ৭ দিন যখন পার হয় তখন ওই রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে চলে যায়। তখন পরীক্ষা করা কিংবা হাসপাতালে ভর্তি হলেও রোগীর অবস্থা তখন কঠিন হয়ে পড়ে, এভাবেই রোগীর মৃত্যু হয়। বিশেষ করে উচ্চ শ্রেণির লোকজন করোনা লুকায়, টেস্ট করে না।

বাংলা ইনসাইডারঃ চিকিৎসার ধরনটা যদি বলতেন

ডা. এ এম শামীমঃ প্রথম দিকে ধরনটা কিছুটা স্বাভাবিক থাকে এবং সহজেই চিকিৎসায় ভাল হয়। কিন্তু যখন দেরিতে হাসপাতালে যায় তখন চিকিৎসার ধরন পাল্টে যায়। তখন চিকিৎসা কঠিন হয়ে পরে। লক্ষণ দেখা দিলে শুরুতেই High resolution CT scan, Blood d dimer, C reactive protein, ferritin টেস্ট করতে হবে। এই পরীক্ষার ওপরেই নির্ভর করবে চিকিৎসার ধরন। যদি একদম নরমল থাকে তাহলে আইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিন খেলেই ঠিক হয়ে যাবে। তবে অবশ্যই বাসায় থাকতে হবে। রোগীর অবস্থা একটু কঠিন হলে আইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিন, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি, খুব বেশি হলে একটা অ্যান্টিভাইরাল খেয়ে বাসায় থাকলে অবশ্যই ঠিক হয়ে যাবে। আর কাঁশি-শ্বাসকষ্ট বেশি হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

বাংলা ইনসাইডারঃ করোনার ভ্যাকসিন কবে আসতে পারে, আপনি কতটা আশাবাদি?

ডা. এ এম শামীমঃ করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে আশাবদি তবে কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু সেই সময়টা পর্যন্ত বেঁচে থাকাটা আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জের। এজন্য সবসময় সতর্ক থাকতে হবে, নিজেকে নিজেই বাঁচাতে হবে।

বাংলা ইনসাইডারঃ করোনা নিয়ে বিশেষ পরামর্শ

ডা. এ এম শামীমঃ যতদূর সম্ভব বাসায় থাকতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সপ্তাহে ৭ দিনের পরিবর্তে ১ দিন বাজার করলে ভাল। এছাড়া বাইরে বেড়ানো কমাতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। বিশেষ করে ৪৫ বছর বা এর বেশি বয়সের মানুষের জন্য করোনার ঝুঁকিটা অনেক বেশি। সুতরাং সতর্কতার কোন বিকল্প নেই। শুরুর দিকে চিকিৎসা নিলে শতভাগ সুস্থতা।

বাংলা ইনসাইডারঃ করোনায় ল্যাবএইডের বিশেষ কোনো উদ্যোগ

ডা. এ এম শামীমঃ ১. আামর কাছে করোনাভাইরাস স্বাধীনতা যুদ্ধের মত মনে হচ্ছে, তাই সহযোগীতা বাড়িয়ে ল্যাবএইডে ভর্তি কোনো রোগীর আর্থিক সমস্যার বিষয়টা আমার বিবেচনায় নিচ্ছি, ছাড় দিচ্ছি।

২. ল্যাবএইডে ৬ থেকে ৮ ঘন্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষার ফলাফল দেয়া হয়। যা এই মূহুর্তে খুবই দরকারি। কারণে পরীক্ষার ফলাফল পেতে দেরি হওয়ায় রোগীর অবস্থা জটিল হয়ে যায়, এতে করে মৃ্ত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। এজন্য আমরা দ্রুত ফলাফল দেয়ার জন্য ৪টি পিসিআর মেশিন দিয়ে ৪টা গ্রুপ কাজ করায় দ্রুতসময়ের মধ্যে নির্ভূল পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। করোনা যুদ্ধে সবাই মিলে একসাথে কাজ করতে হবে। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭