ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাত্রলীগ নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 12/08/2017


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে থাকেন ছাত্রলীগের কর্মী সুজিত। ছোটবেলা থেকেই পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন কাহিনী শুনে তাঁর বেড়ে ওঠা। মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ভূমিকার কথা শুনেও তিনি গর্ববোধ করেন। পরিবার আওয়ামী লীগ করায় সবসময়ই ইচ্ছা ছিল ছাত্রলীগ করে এগোনোর। কিন্তু বর্তমান ছাত্রলীগের বিভিন্ন অপবাদ, অভিযোগের কথা শুনে তিনি কিছুটা হতাশ।

গত সাড়ে আট বছরে দুর্নীতি, ছিনতাই, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানিসহ বিভিন্নভাবে ছাত্রলীগ খবরের শিরোনাম হওয়ায় সুজিতের মত আরও অনেকে এই সংগঠন নিয়ে হতাশ। কিন্তু জাতির জনকের হাতে গড়া এই ছাত্রসংগঠনের রয়েছে বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বড় অবদান। মুক্তিযুদ্ধসহ দেশ গড়ার যেকোনো আন্দোলনে তাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। তবে কি বর্তমানে ছাত্রলীগ তাদের ঐতিহ্য হারাতে বসেছে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বাংলা ইনসাইডারের এই প্রতিবেদনে, ছাত্রলীগ নিয়ে সুজিতের মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর মতামত তুলে ধরব আজ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের সোহান বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাংলাদেশের আন্দোলন, সংগ্রামে সবসময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। বর্তমানে ছাত্রলীগ সম্পর্কে বিভিন্ন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। গুটিকয়েক মানুষের জন্য এগুলো ঘটছে। এজন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোনোভাবেই দায়ী নয়। কারণ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মূলনীতিই হল শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি। ছাত্রলীগের বেশিরভাগ ছাত্র শিক্ষিত এবং মেধাবী। তাদের মাধ্যমেই দেশ একসময় উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাবে।

বঙ্গবন্ধু হলের আলামিন বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায় ছাত্রলীগের একজন ছেলে সারাদিন লীগের প্রোগ্রাম করে নিয়মিত ক্লাস করছে, রেজাল্টও ভাল করছে। অন্যদিকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয় এমন অনেকে ঠিকমত ক্লাস করছে না, ডিপার্টমেন্টেও তাঁদের রেজাল্ট ভালো নয়। এ থেকে বোঝায় যায় অনেক মেধাবী ছাত্র আছে ছাত্রলীগে।

অনেক সময় অনেক স্থানে ছাত্রলীগের বিভিন্ন অপকর্মের কথা টেলিভিশন ও পত্রিকায় দেখে মন খারাপ হয়। কিন্তু সব ভালোর মধ্যে কিছু খারাপতো থাকবেই। পত্রিকা বা টেলিভিশনে এই খারাপ দিকগুলোকেই তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উন্নয়নমূলক পদক্ষেপগুলোকে কখনো সামনে আনা হয় না।

সূর্যসেন হলের শাহাদাত বলেন, যারা মূলগত দিক দিয়ে ছাত্রলীগ করে তাঁরা কোনোসময়ই খারাপ কাজ করতে পারে না। জামাত বা স্বাধীনতাবিরোধীরা বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের ভেতর প্রবেশ করে এসব কাজ করছে। তাই ছাত্রলীগের নামে কোনো ধরনের অপবাদ বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ ছাত্রলীগের কর্মীরা থাকবে দেশ ও গণতন্ত্রের সেবায় নিয়োজিত।

ছাত্রদলের মতো যে কেউ ইচ্ছা করলেই কিন্তু ছাত্রলী্গের নেতা হতে পারবে না। তাকে অবশ্যই বর্তমান ছাত্র হতে হবে। এতকিছুর পরেও কিছু ঘটনা ঘটতেই পারে। আর ছাত্রলীগ মানেই যে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এটা কোনোভাবেই ঠিক নয়।

জগ্ননাথ হলের একজন ছাত্র বলেন, ছাত্রলীগের নামে বর্তমানে অনেক অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক আঘাতের সঙ্গেও তাঁদের জড়িত থাকার কথা ভেসে আসে। কিন্তু ছাত্রলীগের শুরুর দিকে কিন্তু ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সবাই দেশের উন্নতির জন্য কাজ করে গেছে। এখনো অনেক ছাত্রলীগ কর্মী দেশের উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। যেমনঃ উত্তরবঙ্গে গত শীতে ছাত্রলীগ সাধারণ মানুষকে সহায়তা করেছে। কিন্তু কিছু মানুষ ব্যক্তিগত স্বার্থে কাজ করায় তাঁর প্রতিফলন ঘটছে না।     

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএম/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭