লিভিং ইনসাইড

যৌনতা যাদের কাছে ফ্যাশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 11/10/2020


Thumbnail

 

শিউলি আক্তার (ছদ্মনাম)। বয়স ২৬ কি ২৭। থাকেন রাজধানীর কামরাঙ্গির চরে। ছোট্ট এক রুমের বাসা। ছোট্ট একটা সোফা সেট, একটা ফ্রিজ আরও কিছু দরকারি জিনিসপত্র। সবকিছু মিলিয়ে শারমিনের গুছানো সংসার। কিন্তু সাজানো এই সংসারে শুধু কর্তাই নেই। শারমিন বিবাহিত না অবিবাহিত- তা কেউ জানে না। অবশ্য বিবাহিত বলেই পরিচয় দেন। যদিও স্বামীসহ শারমিনকে আজ অব্দি কেউ দেখে নি। শারমিনের চলে কি করে। উপার্জনই করে কে- এই সবকিছুই যেন এক রহস্য। এসব নিয়ে গুঞ্জনেরও শেষ নেই।

তবে রাজধানী ঢাকায় এই রকম বেশ কিছু এলাকায় রয়েছে। মিরপুর, বনশ্রী, উত্তরা কিংবা কামরাঙ্গির চরসহ কয়েকটি এলাকায় শারমিনদের বাস। এরা কেউ বিবাহিত, কেউ অবিবাহিত। কিন্তু বিয়ে নিয়ে এদের কোন মাথাব্যাথা নেই। বরং চুক্তিবদ্ধ সম্পর্কের বাইরেই এরা সুখি। কাউকে ফোন করলেই বাজার-সদাই এসে পরে। ইচ্ছা প্রকাশ করলেই চলে যাওয়া যায় কক্সবাজার বা কুয়াকাটা। সেইসাথে কারও প্রতি কোন রকম প্রতিশ্রুতি নেই। ধরা বাঁধা নিয়ম নেই। সামাজিকভাবে সন্দেহ করার কোন সুযোগও নেই। এভাবেই চলছে তাদের যৌন জীবন। এভাবেই মিটছে তাদের জৈবিক চাহিদা। আর মৌলিক চাহিদা তো বটেই।

এই শহরের অলিতে-গলিতে, প্রতিটি ইট-পাথরের যেমন গল্প রয়েছে। তেমনি গল্পময় শারমিনদের জীবন। যৌনতা তাদের কাছে ফ্যাশন। যৌবন তাদের পুঁজি। আর বিছানায় পুরুষের বদল মানেই তাদের কাছে রোমান্টিসিজম। তারা অর্থের জন্য সখ্যতা করে। প্রেম করে, যৌন সুখ দেয়। আর দেয় প্রেমিকার আদর কিংবা চুম্বন। তবে এর জন্য অর্থও খরচ করতে হয় বেশ। অনেকটা রক্ষিতার মতোই তাদের ভরণপোষণেরও দায়িত্ব নেন কেউ কেউ। তবে কলকাতার বউবাজার কিংবা বাগবাজারের মতো আনুষ্ঠানিকতা এখানে নেই। এখানে সম্পর্ক অনানুষ্ঠানিক। আপনার ইচ্ছে হল- কয়দিন মধু খেয়ে মৌমাছির মতোই উড়ে যেতে পারেন। মৌমাছি যেমন বিনিময়ে ফুলের পরাগায়ন করে দেয়। আপনাকেও বিনিময় হিসেবে অর্থ দিতে হবে। আর আনন্দ! সেটা নিজের মতো করেই নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কারণ তারা ঘন ঘন সঙ্গী বদল করে না। যত দিন আপনার কাছে অর্থ আছে, ততদিন তো নয়ই। তাদের কাছে যৌনতা মানেই ফ্যাশন। তাদের কাছে যৌনতা মানেই আনন্দ, যৌনতা মানেই বিলাসিতা।

এই রাজধানীতে যারা যৌনতা বেচে, তাদেরও একটা শ্রেণি রয়েছে। বিনিময় বা পারিশ্রমিকের মাধ্যমেই এই শ্রেণি ভেদ গড়ে উঠে। শ্রেণি ভেদের এই তালিকায় শারমিনদের অবস্থা বেশ ভালই বলা চলে। কারণ তাদের সকল খদ্দেরই থাকে পেশাজীবী। ফলে আর্থিক বিষয় নিয়ে কোন ঝামেলা হয় না। তবে কোন কোন সময় খারাও অবস্থাও যায় বলে জানান একজন। রিচি (ছদ্মনাম) নামে একজন জানান, ‘অনেক সময় বাসা ভাড়া নিয়ে বিপদে পড়তে হয়। অবশ্য এই রকমটা যে সব সময় হয়, তা নয়। তবে কম বেশী অনেকেরই হয়’। অবশ্য তখন কোন না কোন খদ্দেরকে কল দিলে টাকা ঠিক চলে আসে বলেও জানান রিচি।                    

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭