ইনসাইড পলিটিক্স

কি হচ্ছে ফরিদপুরে!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 17/10/2020


Thumbnail

প্রশাসনের সঙ্গে ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন এর বিরোধ এখন রাজনৈতিক বিরোধে রূপ নিয়েছে। ফরিদপুরে দ্বিধাবিভক্ত আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ এই ঘটনাকে তাদের পক্ষে কাজে লাগাতে চাইছে।

আজ নিক্সন চৌধুরীর পক্ষে-বিপক্ষে মানববন্ধন ডাকা হয়েছিল। সেই মানববন্ধন নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টির আশঙ্কায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। নিক্সনের ঘটনার পর থেকে আওয়ামী লীগ সেখানে বিভক্ত। নিক্সন চৌধুরী আওয়ামী লীগের হলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমপি হয়েছিলেন কিন্তু সেখানকার আওয়ামী লীগের মূল নেতা কাজী জাফরউল্লাহ।

কাজী জাফরউল্লাহ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যও বটে কিন্তু এলাকার জনপ্রিয় নেতা হিসেবে নিক্সন তাকে অনেক আগেই টপকে গেছেন। আর এই  সুযোগে নিক্সনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাইছে। কাজী জাফরউল্লাহ পন্থিরা মনে করছেন নিক্সনকে যদি গ্রেফতার করা যায় তাহলে ফরিদপুর-৪ আসনেরই শুধু নয়, পুরো ফরিদপুরেই জাফরউল্লাহর একচ্ছত্র কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

ফরিদপুরের আরেকটি আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারর হোসেন অনেকদিন ধেরেই নিষ্ক্রিয়। ফরিদপুরে যখন শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছিল সেই অভিযানের পর থেক তিনি এলকায় যাচ্ছেন না।  ওই শুদ্ধি অভিযানে যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল তাদের অধিকাংশই ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ঘনিষ্ঠ। ফরিদপুর-২ আসনের এমপি সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বয়সের ভারে এলাকায় সেভাবে সক্রিয় না। অন্যদিকে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমানও এলাকায় নিষ্ক্রিয়। গত নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনের মনোনয়ন পান সাবেক আমলা মনজুর হোসেন বুলবুল, তিনিও এলকায় যান না।

 এখন ফরিদপুরের রাজনীতিতে কাজী জাফরউল্লাহ বনাম নিক্সন চৌধুরীর কর্তৃত্বের লড়াই। জেলা প্রশাসক নিয়ে যে ঘটনা সেটি এখন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে রুপ নিয়েছে। এই ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে দুই পক্ষই এলাকায় নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭