ইনসাইড বাংলাদেশ

মধ্যবর্তী নির্বাচন: কার দাবী?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 17/10/2020


Thumbnail

রাজনৈতিক অঙ্গনে হঠাৎ করেই মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রসঙ্গ এসেছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা এবং গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাষ্টি ড: জাফরউল্লাহ চৌধুরী গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবী করেন। তিনি বলেন ‘ দেশের একমাত্র চিকিৎসা সুষ্ঠু নির্বাচন।’ ডা: জাফর উল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যকে অনেকেই মেঠো বক্তৃতা মনে করেছিলেন। কারণ, বার্ধক্যের বিড়ম্বনায় থাকা এই চিকিৎসক কখন কি বলেন, তা সম্ভবত তিনি নিজেও জানেন না। কাজেই, মধ্যবর্তী নির্বাচন সংক্রান্ত ডা: জাফর উল্লাহর বক্তব্য হালে পানি পায়নি। কিন্তু এই মেঠো রাজনৈতিক বক্তব্যকে লুফে নিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমন শুরুর পর থেকেই ঘরে বসে বিবৃতি দেন ওবায়দুল কাদের।

তার নিজের মন্ত্রণালয়ের কর্মকান্ডের উদ্বোধন কিংবা আনুষ্ঠানিকতায় তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য রাখেন। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নিয়মিত ব্রিফিং এ ওবায়দুল কাদের বলেছেন ‘মধ্যবর্তী নির্বাচনের মতো মধ্যবর্তী টালবাহানার দরকার নেই। যথা সময়ে নির্বাচন হবে, জনগনই সরকার ঠিক করবে।’ হঠাৎ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ‘গুরুত্বহীন’ একটি রাজনৈতিক বক্তব্যকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুললেন কেন, সে নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।

তার প্রত্যেকটি বক্তব্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক ভাবে অগুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তির কথার জবাব দিয়ে ইস্যু টিকে কেন তিনি গুরুত্বপূর্ণ করলেন? এনিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। এই আলোচনা আরো বেশী হচ্ছে যখন, ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পরপরই ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরও মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। নূর আজ এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে, দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হবে।’ ডা: জাফর উল্লাহ চৌধুরী এবং নূর এরা দুজনই মূলধারার রাজনৈতিক প্রতিনিধি নন। কিন্তু এরা দুজনই রাজনীতিতে ‘তৃতীয় শক্তি’র পেছনে ক্রীড়ানক শক্তি বলে অনেকে মনে করেন। একারণেই, তাদেরকে নানাভাবে রাজনীতির লাইম লাইটে আনার চেষ্টা চলে বলেও অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন। ডা: জাফর উল্লাহর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে কিছু গণমাধ্যম করোনা আক্রান্ত জাফর উল্লাহকে ‘অতিমানব’ বানানোর চেষ্টা করেছিল।

ঐ গণমাধ্যম বাংলাদেশের বিরাজনীতিকরনের প্রবক্তা। নূরকেও ডাকসুর ভিপি কারা কিভাবে বানিয়েছিল-তা রহস্যময় এক অধ্যায়। তৃতীয় শক্তির এই দুই ব্যক্তি যখন হঠাৎ করেই মধ্যবর্ত্তী নির্বাচনের দাবী তোলেন, আর ঐ দাবীকে নিয়ে যখন শাসক দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কথা বলেন, তখন মনে হতেই পারে কেউ কি বাজারে ‘মধ্যবর্তী নির্বাচন’ ইস্যুকে আনতে চান কিনা? কারণ, বাংলাদেশের প্রধান প্রধান কোন রাজনৈতিক দলই এখন মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা ভাবছে না, বলছে না। তাহলে ওবায়দুল কাদের কেন হঠাৎ এই ইস্যুকে লুফে নিলেন?



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭