ইনসাইড হেলথ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর: ডিজি বনাম পরিচালক লড়াইয়ে অস্থিরতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 19/10/2020


Thumbnail

 

সংকট থেকে কিছুতেই যেন বেরুতে পারছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দুর্নীতি, অনিয়মের চক্র থেকে বেরুতে না বেরুতেই নতুন অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে সিএমএসডির পরিচালকের দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। এর ফলে সরকারি হাসপাতাল গুলোতে বিভিন্ন সামগ্রীর সংকট হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিএমএসডি করোনা সংকটের শুরুতেই চিকিৎসকদের সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) এবং মাস্ক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পরে।

স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে, এন ৯৫ বলে যে মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে তা আসলে এন-৯৫ মাস্ক নয়। সে সময় সিএমএসডির পরিচালক ছিলেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো: শহীদুল্লাহ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর তিনদিন এ ব্যাপারে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করেন। বিতর্কের মুখেই সরে যেতে হয় বিগ্রেডিয়ার শহীদুল্লাহকে। তার বদলে প্রশাসন ক্যাডারের একাদশ ব্যাচের মেধাবী কর্মকর্তা আবু হেনা মোরশেদ জামানকে সিএমএসডির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

এ নিয়ে বিএমএ এবং স্বাচিপ ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। তারা দাবি করে চিকিৎসকদের জন্য নির্ধারিত এই পদটি প্রশাসন ক্যাডারকে দেয়া সঠিক হয়নি। এ নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েও তারা স্মারক লিপি প্রদান করে। সে সময় মোরশেদ জামানকে সিএম এসডির পরিচালক পদে পদায়ন করা হয়, তখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি গ্রেড-১, অর্থাৎ সচিব মর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন। কাজেই সিএমএসডির পরিচালককে তার অধীনে কাজ করতে কোন সমস্যা হয়নি।

বিতর্ক এবং সমালোচনার মুখে আজাদ পদত্যাগ করেন। নতুন মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো: খুরশীদ আলমকে। তিনি গ্রেড-৩ অর্থাৎ যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা। প্রথমে তাকে পূর্ণ মহাপরিচালক করা হলেও, পরে ভারপ্রাপ্ত করা হয়। তাকে এখন পর্যন্ত গ্রেড-২ করা হয়নি। ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান ব্যক্তি, তার অধস্তন একজন কর্মকর্তার জুনিয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সিএমএসডি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি অংশ। তাই এর পরিচালক অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অধীন। মহাপরিচালক নিম্ন পদের হওয়ার কারণে, সিএমএসডির পরিচালক তার (মহাপরিচালকের) ডাকা বৈঠকে যোগ দেন না। কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনতে নতুন পরিচালক সতর্কতা অবলম্বন করছেন। ফলে হাসপাতালের নিত্য প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন কেনাকাটাও বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক পরিচালককে চিঠি দিয়েও, সমাধান পাননি। বিষয়টি এখন বিএমএ এবং স্বাচিপ পর্যন্ত গড়িয়েছে।

বিএমএ’র একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা এ ব্যাপারে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তার মতে, ‘সিএমএসডির পরিচালক পদে আমলা দেয়াটাই একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো। পরিচালক হিসেবে কাজ করতে গেলে তাকে অবশ্যই অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অধীনে কাজ করতে হবে।’

স্বাচিপের একজন নেতা দাবি করেছেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চেইন অব কমান্ড নষ্ট হয়ে গেছে।’ তবে মন্ত্রণালয় বলছে, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত। এই সমস্যা দূর করতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭