ইনসাইড বাংলাদেশ

কোভিড-১৯ : কর্মী ছাঁটাই ও কম লোকবল দিয়ে চলছে দেশের পোশাক খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 22/10/2020


Thumbnail

বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের পর কমে যায় এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পোশাক খাতের ক্রয় আদেশ। তাছাড়া লকডাউনের কারণে দেখা দেয় পণ্যের কাঁচামালের সরবারাহ সংকট। যার প্রভাব পড়ে উত্পাদনে। আর উত্পাদন কমায় ছাঁটাই হতে হয় বহু শ্রমিককে।

এ অঞ্চলের ১০টি  বড় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের সাপ্লাই চেইন, কারখানা ও শ্রমিকদের ওপর সমীক্ষা করে গত বুধবার এই রিপোর্ট প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা, আইএলও।

গবেষণায় বলা হয়, ২০২০ এর প্রথম ৬ মাসে এশিয়ার পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলো থেকে ক্রেতা দেশগুলোর আমদানি ৭০ শতাংশ কমেছে। আর এরজন্য দায়ী করা হচ্ছে ভোক্তাদের চাহিদা, সরকার লকডাউন ব্যবস্থা এবং পোশাক উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হওয়াকে।

২০২০ সালের মে মাসের নমুনা তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশের সরবরাহকারিদের মধ্যে কেবল মাত্র ৩.৯ শতাংশই তাদের পুরো কর্মক্ষমতা ধরে রেখেছে। ‌এছাড়া ৪৩ শতাংশ কারখানাই কম লোকবল দিয়ে অস্থায়ীভাবে বা অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিচালিত হচ্ছে।

শ্রমিক ছাঁটাই যেমন বেড়েছে তেমনি আবারও চালু হওয়া কারখানাগুলোর বেশির ভাগই কম লোকবল দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।

আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পটিয়াইনেন বলেন, সৌভাগ্যজনকভাবে অনেক পোশাক রপ্তানিকারক গত কয়েক মাস ধরে আবারও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। সেইসাথে, বাংলাদেশি এ প্রতিষ্ঠানগুলো এবং এর শ্রমিকদের চলমান মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করাসহ সবার জন্য নিরাপদ পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে হচ্ছে।

এছাড়া, তৈরি পোশাক খাতের কর্মীদের আয়, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান রক্ষা এবং মহামারি চলাকালীন নিয়োগকর্তাদের সহায়তার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর।

কর্মস্থলে সংক্রমণ কমাতে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত একটি জাতীয় পেশাগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য নীতিমালা তৈরির জন্য সুপারিশ করেন তিনি।

আইএলও আঞ্চলিক কার্যালয়ের শ্রম অর্থনীতিবিদ ক্রিশ্চান ভাইজেলাহন বলেছেন, লকডাউনের কারণে এ অঞ্চলের পোশাক শ্রমিকরা দুই থেকে চার সপ্তাহের জন্য বেকার হয়ে গিয়েছিল। আর কারখানা চালু হবার পর ৫জন শ্রমিকের মধ্যে ৩জন তাদের কাজ ফিরে পেয়েছেন। এছাড়া ২০২০-এর দ্বিতীয় প্রান্তিকে কর্মরত পোশাক শ্রমিকদের অনেকেরই বেতন কমেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার দেরিতে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করেছে।

সংস্থাটি তাদের গবেষণায়, শ্রমিক বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের বৈষম্য কমানো এবং সামাজিক সুরক্ষা বাড়ানো ওপর জোর দিয়েছে।

আইএলও’র হিসেবে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় সাড়ে ৬ কোটি লোক পোশাক শিল্পে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আর বিশ্বের পোশাক শ্রমিকদের প্রায় ৭৫ শতাংশই এ অঞ্চলের।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭