কালার ইনসাইড

‘যুবতী রাধে’ গান নিয়ে বির্তক: মুখ খুললেন চঞ্চল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 24/10/2020


Thumbnail

‘যুবতী রাধে’ গানটি নতুন করে গেয়ে প্রশংসিত হয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী ও মেহের আফরোজ শাওন। কিন্তু সরলপুর নামের একটি ব্যান্ড এই গানের কপিরাইট তাদের দাবি করার পর পরই শুরু হয় জটিলতা।

 আপত্তির মুখে ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলতে হয়েছে চঞ্চল ও শাওনের গাওয়া গানটি। সরলপুর ব্যান্ড সদস্যদের এমন আচরণে কষ্ট পেয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী।

চঞ্চল জানালেন, গান নিয়ে এই ধরনের জটিলতা একেবারেই কাম্য নয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকগানের পদরচয়িতা কে বা কারা, তা জানা যায় না। লোকমুখে শুনতে শুনতে একটা পর্যায়ে এসেছে। ঐতিহ্যবাহী পদগুলো আমাদের সংস্কৃতির বিশাল শক্তি। এটাকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। চুরি–ডাকাতি করে নিজের দখলে নেওয়া, আমি করেছি কিংবা লিখেছি, এমন ভাব দেখানো মোটেও উচিত না।

চাইলেই কোনো মানুষ এই ধরনের পদ লিখতে পারে না! এই ধরনের পদ, একটু কারেকশন করে আমার বলা খুবই অন্যায়। এ রকম অসংখ্য গান, কবিতা ছোটবেলায় প্রচুর শুনেছি। সবার মুখে মুখে ছড়িয়েও আছে। কেউ যদি ব্যক্তিগত ফায়দার জন্য নিজের বলে চালিয়ে দেয়, তাহলে সেটা খুবই দুঃখজনক।’

কপিরাইট নিবন্ধন কর্মকর্তা জাফর রাজা চৌধুরী জানান, সরলপুর ব্যান্ড ‘যুবতী রাধে’ গানটি নিজেদের লেখা, সুর করা ও তৈরি হিসেবে ২০১৮ সালের ৪ জুন কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন নেয়। কয়েক মাস পর ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল সুমি মির্জা নামের একজন শিল্পী আপত্তি তুলে বলেন, গানটি ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’–এর ‘যুবতী রাধে’ গানের নকল।

এরপর কয়েকটি শুনানি হয়। তখন সরলপুর ব্যান্ড ২০১২ সালের একটি রেফারেন্স দেয়, যেখানে দেখা যায়, চ্যানেল নাইনের একটি অনুষ্ঠানে তারা গানটি গাওয়ার সময় বলেছে, এই গানের ৩০ পারসেন্ট তাদের সংগ্রহ আর ৭০ পারসেন্ট তাদের রিমেক করা।

কপিরাইটের বিষয়টি তুললে চঞ্চল চৌধুরী বললেন, ‘আইনগতভাবে “যুবতী রাধে” গানের কপিরাইট এখন যেহেতু সরলপুর ব্যান্ডের, এ জন্য তাদের কিন্তু নিজেদের ইউটিউবে আপলোড করার সময় কপিরাইটের বিষয়টি উল্লেখ করা উচিত ছিল। কিন্তু তারা যা করেছে, এটা আশা করিনি। আমরা কেউ কিন্তু জানি না, এই গানের কপিরাইট অন্য কারও। জানি না বিধায় তাদের কৃতজ্ঞতা দেওয়া হয়নি। আর জানবই–বা কী করে, এই গান তো সরলপুর ব্যান্ড নিজেদের ইউটিউবের ক্রেডিট লাইনে কথা ও সুর নিয়ে কিছুই বলেনি।

এ প্রসঙ্গে আগের দিন ব্যান্ডের সদস্য মারজিয়া তুরিন বলেন, ‘দ্যাট ওয়াজ আওয়ার মিসটেক। আমরা কখনো ভাবিনি যে গানটি আমরা রিলিজ করার আগে, অ্যালবাম আকারে বের করার আগে এভাবে কেউ করে ফেলবে। আমরা তো আসলে খুব ইয়াং একটা ব্যান্ড। অনেক কিছু জানতাম না। এখন সেগুলোর মাশুল দিচ্ছি আরকি। অনেক কিছু শিখেছি।’

কথায় কথায় চঞ্চল বললেন, ‘বেশি কষ্ট পেয়েছি, আমরা সবাই সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কাজ করছি। তারাও শিল্পী, গান গায়; আমরাও টুকটাক গান করি।

 আলোচনার মাধ্যমে তাদের ক্রেডিট দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা অসম্মতি জানিয়েছে। এখন তো অবস্থা যা দেখছি, এই ক্রেডিট তাদের মোটেও প্রাপ্তি না। এটা তারা কপিরাইট করিয়েছে, কেমনে করেছে সেটা পরের কথা। ইউটিউব থেকে মুছে না দিয়ে আলোচনায় বসতে পারত।’



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭