ইনসাইড আর্টিকেল

বিএনপিতে চাঞ্চল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 16/08/2017


Thumbnail

হঠাৎ করেই নয়া পল্টনে বিএনপি অফিসে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। অফিসের স্থায়ী বাসিন্দা রিজভী আহমেদের কাছে আসছে নানা খাবার। মন্ত্রিপরিষদের কোন দপ্তর রেজভী পাবেন, তা নিয়েও চলছে নানা আলাপ আলোচনা। শুধু রিজভী কেন, বিএনপির কোন নেতা কোন মন্ত্রণালয় পাবেন তা নিয়ে আলোচনার বিরাম নেই। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে যোড়শ সংশোধনী সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পর বিএনপিতে এসেছে উৎসবের আমেজ। বিএনপির অনেক নেতাই বলছে, কিচ্ছু করতে হবে না, এমনিতেই বিএনপি ক্ষমতায় চলে আসবে। সচিবালয়ে বিএনপিপন্থী আমলা, পুলিশে সমভাবাপন্ন পুলিশ কর্মকর্তার তালিকা তৈরি হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক গ্রুপ তো আগে থেকেই সক্রিয় ছিল। এদের এখন ব্যস্ততা। কে কত ‘নির্যাতিত’ হয়েছেন তার ফিরিস্তি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি তালিকা তৈরি হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের। দেখে নেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন। কাকে কী সাজা দেওয়া হবে, তাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

কিন্তু এসব কিছুই করা যাবে তখনই যখন বিএনপি ক্ষমতায় যাবে। বিএনপি এরকম ক্ষমতার ঘ্রাণ পাচ্ছে কীভাবে-সেটাই এক বড় প্রশ্ন। বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি আগামী নির্বাচনে যাচ্ছে মোটামুটি নিশ্চিত। আর নির্বাচনে গেলেই…।

কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কিংবা সহায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা থেকে বিএনপই সরে আসবে কীভাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি নেতাদের আশা, একটা সমঝোতা হবে। এবার আওয়ামী লীগ আর একা নির্বাচন করতে পারবে না। একজন বিএনপি নেতা তো বলেই বসলেন, ‘আমাদের কিছু করতে হবে না, একতরফা নির্বাচন এবার আন্তর্জাতিক মহলই প্রত্যাখ্যান করবে।’ তাঁর মতে ভারতও ২০১৪ র অবস্থানে নেই। কংগ্রেস সরকার আওয়ামী লীগের প্রতি যতটা সহানুভূতিশীল ছিল ততটা নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার নয়। বিজেপি ‘অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচনের পক্ষে বলেই বিএনপির নেতারা মনে করছেন। বিএনপি নেতারা খুব চাপা কণ্ঠে বলছেন, ‘চমক আসছে।’

বিচারপতি সিনহাকে প্রধান বিচারপতি করার সময়ও বিএনপি নেতা, যিনি সিনিয়র আইনজীবীও বটে বলেছিলেন, ‘আমাদের ট্রাম্প কার্ড।‘ এখন তাঁর হাসি অনেক চওড়া হয়েছে। খোলামেলাই বলছেন, ‘আরও খেলা এখনো বাকি আছে।’ কী খেলা সে ব্যাপারে মুখ খুলছেন না কেউই। তবে সবাই একটা কথাই বলছেন, বেগম জিয়া দেশে ফিরলেই সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।

বিএনপি এখন সরকারের গোপন খবর গুলো পাচ্ছে। সরকারের মধ্যে নানা অস্থিরতা চলছে, এটাও তাদের নজরে এসেছে। এছাড়াও ষোড়শ সংশোধনীর রায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা সহায়ক সরকারের দাবিকে আবার সামনে নিয়ে এসেছে। ‘এখন এই রায় নিয়ে যদি কেউ হাইকোর্টে রিট করে ‘এরকম অপরিপক্ক সংসদকে, আকার্যকর সংসদকে অবিলম্বে ভেঙ্গে দিতে হবে। এই সংসদ জনঅংশগ্রহণমূলক নয়।’ তখন কোর্ট যদি রায় দেয়, এই সংসদ অবৈধ, তখন সরকার কী করবে?

বিএনপির একজন আইনজীবী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ আদালতকে দিয়ে অনেক কিছু করিয়েছে। ৫ম সংশোধনী বাতিল করিয়েছে, জিয়াউর রহমানকে অবৈধ শাসক বানিয়েছে। কোর্টে রাজনীতির বিষয় তারা এনেছে। এখন এসব রাজনৈতিক বিতর্কও কোর্টে উঠতেই পারে।’ ষোড়শ সংশোধনীর রায়ই না বেগম জিয়ার স্থায়ী জামিন, বিভিন্ন নেতাদের জামিন দেখে আশায় বুক বেঁধেছে বিএনপি। রিট করার জন্য কাগজপত্রও তৈরি করছেন নেতারা। রাজপথে যা পাননি, আদালতে তা পাবার আশায় বুঁক বেঁধেছে।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭