ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধান বিচারপতি অপসারণে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 17/08/2017


Thumbnail

প্রধান বিচারপতির অপসারণ চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গত ১৬ আগস্ট রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে অপসারণ প্রক্রিয়া নিয়ে কথা হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিট থেকে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে অ্যাটর্নি জেনারেল এবং আইনমন্ত্রী ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে বিভিন্ন ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য এবং অসঙ্গতি তুলে ধরেন। এই রায়কে ‘পূর্ব পরিকল্পিত’ এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত মনে করছে সরকার। এই রায়ের অসামঞ্জস্যপূর্ণ অংশগুলো এক্সপাঞ্চ করার জন্য আওয়ামী লীগ এবং সরকার আলাদা আলাদা ভাবে রিভিউ আবেদন করবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এই রায় নিয়ে নয়, প্রধান বিচারপতির একাধিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আসাদাচারণের অভিযোগ তুলছে সরকার। এ ব্যাপারে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে তদন্ত করার নির্দেশ দিতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপন করা হবে।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হবার পর; সুপ্রিম কোর্ট আবার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল প্রতিস্থাপন করেছে। সংবিধানের ৯৬(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছেঃ-
‘একটি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থাকিবে যা এই অনুচ্ছেদে কাউন্সিল বলিয়া উল্লেখিত হইবে এবং বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারকের মধ্যে পরবর্তী যে দুজন কর্মে প্রবীণ তাহাদের লইয়া গঠিত হইবে।’

সে হিসেবে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্‌হা, বিচারপতি মো: আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞা এবং বিচারপতি  সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সমন্বয়ে সুপ্রিম জুডেশিয়াল কাউন্সিল গঠিত। তবে, যদি প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হয় তাহলে ৯৬(৩) অনুযায়ী তিনি কাউন্সিলের সদস্য থাকতে পারবেন না। বলা হয়েছেঃ- ‘তবে শর্ত থাকে যে কাউন্সিল যদি কোনো সময়ে কাউন্সিলের সদস্য এই রূপ কোনো বিচারকের সামর্থ্য বা আচরণ সম্পর্কে তদন্ত করেন, … তাহা হইলে কাউন্সিলের যাহারা সদস্য আছেন, তাহাদের পরবর্তী যে বিচারক কর্মে প্রবীণ তিনিই অনুরূপ সদস্য হিসেবে কার্য করিবেন।’

সেক্ষেত্রে, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এরকম তদন্তে তিনি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সদস্য থাকতে পারবেন না। তার বদলে বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী কাউন্সিলের সদস্য হবেন।

সংবিধানের ৯৬(৫) অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতিকে এ ধরনের তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। ৯৬(৫)(ঘ) অনুযায়ী গুরুতর অসদাচারণের অভিযোগ পেলে রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে তদন্ত করতে এবং তদন্ত তাঁকে অবহিত করার জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে নির্দেশ দিতে পারেন।
 
তবে, আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে তারা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে যাবেন না। বরং, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অসাদাচরণের সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণ তাঁদের কাছে আছে। প্রধান বিচারপতির কিছু গোপন কথোপকথন এবং কাজ অসদাচরণের পর্যায়ে পড়ে বলে আওয়ামী লীগ মনে করছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে এসব তথ্য প্রমাণ উপস্থাপিত হবে।
 
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭