ইনসাইড থট

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য কীর্তিসমূহ-শেষ পর্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/11/2020


Thumbnail

বাংলাদেশের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতির ভাগ্যোন্নয়নে স্রষ্টার আশির্বাদ এবং তাকে ঘিরেই চলছে আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ। দেশবাসী এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব সিদ্ধান্তের জন্য তার দিকেই তাকিয়ে থাকে। যে কোন সংকটে এদেশের মানুষ এখন তাকিয়ে থাকেন শেখ হাসিনার নির্দেশনার অপেক্ষায়। সাম্প্রতিক সময়ে মহামারী করোনা সংকট মোকাবেলায় শেখ হাসিনা যে দূরদর্শিতা এবং মেধার পরিচয় দিয়েছেন, তাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জনআস্থা আরো বেড়েছে। দেশি বিদেশি সংবাদ মাধ্যমসহ বিভিন্ন তথ্য উপাত্তে প্রকাশিত হয়েছে, ‘বর্তমান বৈশ্বিক মহামারীতে পৃথিবীর আর কোন রাষ্ট্রনেতাকে এভাবে জনগণের কথা বলতে ও শক্তি-সাহস জোগাতে দেখা যায়নি‘। 

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র আয়তনের জনবহুল একটি উন্নয়নশীল দেশ হয়েও শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বে  সারা বিশ্বের নিকট নানা কারণে মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের নিবিড় সমন্বিত ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবহার এবং দারিদ্র দূরীকরণ, বৃক্ষরোপণ, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকের ইতিবাচক পরিবর্তন প্রভৃতি ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার ভূমিকা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন এই বাংলাদেশকে আজকের অবস্থানে আসতে অতিক্রম করতে হয়েছে হাজারো প্রতিবন্ধকতা। যুদ্ধ বিধ্বস্ত, প্রায় সর্বক্ষেত্রে অবকাঠামোবিহীন সেদিনের সেই সদ্যজাত জাতির ৪৯ বছরের অর্জনের পরিসংখ্যান অহংকার করার মত। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮টি লক্ষ্যের মধ্যে শিক্ষা, শিশুমৃত্যুহার কমানো এবং দারিদ্র হ্রাসকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। নোবেল বিজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশ্বকে চমকে দেবার মতো সাফল্য আছে বাংলাদেশের। বিশেষত শিক্ষা সুবিধা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার কমানো, জন্মহার কমানো, গরিব মানুষের জন্য শৌচাগার ও স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান এবং শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম অন্যতম। শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম আদর্শ দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে একসময়ের ভঙ্গুর অর্থনীতির বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নে অপ্রতিরোধ্য। দেশের অভ্যন্তরে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী শক্তি, তথা কথিত সুশীল সমাজ ও তাদের পৃষ্ঠপোষক বিগ এনজিও ও বিগ বিজনেস সিন্ডিকেট, একটি শক্তিশালী মিডিয়া চক্র এবং দেশের বাইরে বিরাট প্রভাবশালী একটি আন্তর্জাতিক মহলের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য বিরোধিতা, শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে।


১৮ নভেম্বর ২০২০, বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ভাষ্য এরকম-‘২০১৯ এর শেষার্ধে ক্রিকেটার ইমরান খান মাত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের আগেই পাকিস্তানকে কল্যাণ রাষ্ট্র বানানোর ঘোষণা দেন। তখন রোল মডেল নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। ঠিক এ সময় পাকিস্তানের ‘দ্য নেশন’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি কলাম ‘দ্য বাংলাদেশ মডেল’ শিরোনামে এই লেখায় পাকিস্তানকে বাংলাদেশ হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাকিস্তানের একজন উন্নয়নকর্মীর এই প্রস্তাবনার সমর্থনে একে একে বক্তব্য-বিবৃতি আসে। গণমাধ্যমে প্রকাশ হতে থাকে কলাম। টেলিভিশনের টকশোতেও হয় আলোচনা। বলা হয়, পাকিস্তানের সামনে শেখার জন্য উদাহরণ হিসেবে যে কয়েকটি দেশ আছে, তার প্রধান হলো বাংলাদেশ। দাবি ওঠে পাকিস্তানকে বাংলাদেশের মতো বানানোর। রক্তাক্ত যুদ্ধের মাধ্যমে যে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে গেল, জন্মের ৫০ বছরের আগেই সেই দেশকে এখন রোল মডেল ভাবছে পাকিস্তানের মানুষ। 
শাবাশ শেখ হাসিনা!!!


পাকিস্তানের টকশোর পরিচিত মুখ, উন্নয়ন পরামর্শক জাইঘাম খান তার ‘দ্য বাংলাদেশ মডেল’ লেখায় লিখেছেন, বাংলাদেশ তো পাকিস্তানের মতোই একটা দেশ। ধর্মের প্রভাব এখানে খুবই গভীর। বেশির ভাগ মানুষ মুসলিম। তাদের বেশির ভাগ আবার সুন্নি। আমাদের চিন্তাভাবনা, জীবনাচরণে এত মিল। তাহলে পাকিস্তান কেন এখানে আটকে আছে, আর বাংলাদেশ এতদূর এগিয়ে গেছে। শুধু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নয়- অর্থনীতি, মানবিক উন্নয়ন সূচক, সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি সবক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে জাইঘাম খান বলেন, বাংলাদেশই হওয়া উচিত পাকিস্তানের উন্নয়নের মডেল। আমাদের যদি শেখার কিছু থাকে, সেটা বাংলাদেশের কাছে।  পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ‘ডন’-এ সে দেশের অন্যতম পরমাণু বিজ্ঞানী পারভেজ হুদভয় লেখেন, ’৫০ এবং ’৬০-এর দশকে পাকিস্তানিরা বাঙালিদের হেয় করত শারীরিক গঠনের কারণে। তারা মনে করত, কেবল ধান ফলাতে আর মাছ ধরাতেই বাঙালির কর্মদক্ষতা সীমাবদ্ধ ,... বাংলাদেশ কখনই অর্থনৈতিকভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। অথচ সেই পাকিস্তানের জনগন, বুদ্ধিজীবীগন, প্রচার মাধ্যম সকলেই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে ‘রোল মডেল‘ হিসাবে বেছে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে পরামর্শ দিয়েছেন।’ 


১৭ নভেম্বর ২০২০, বাংলাইনসাইডার এ প্রকাশিত সংবাদ: ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এখন টানাপোড়নের প্রধান বিষয় হয় দাড়িয়েছে বলে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের এই উন্নতি ভারতের যেন চক্ষুশূল হয়ে গেছে। আর এ কারণেই ভারত গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহল   হা-হুতাশ করছে।’ বাংলাদেশের আজকের সফলতা, সম্মান, সবকিছুইই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার সততা, দেশপ্রেম, সাহসিকতা, দুরদর্শী নেতৃত্ব, সঠিক নির্দেশনা ও দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসার কারণে। দেশ-বিদেশের গুণী ব্যক্তিবর্গ বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে যে মন্তব্য-মূল্যায়ন করেছেন তা তাঁর অনন্য কীর্তিসমূহকে জাস্টিফাই করে। যেমন- সাংবাদিক-সাহিত্যিক আব্দুল গাফফার চৌধুরীই কোন এক লেখায় লিখেছেন, ‘কাছের মানুষের বড়ত্বের পরিমাপ অনেক সময় কাছে থেকে করা যায় না। শেখ হাসিনারও করা যাবে না। কারণ এখন তিনি আমাদের বড় কাছে আছেন। আমাদের মাঝেই আছেন। কোনো দূর ভবিষ্যতে তিনি যখন থাকবেন না, তখন সেই শূন্যতা কতোটা অপূরণীয় তা বোঝা যাবে। বোঝা যাবে দেশের মাটিতে তিনি কতোটা অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা হয়ে উঠেছিলেন। হাসিনার নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য এই যে, তিনি ইন্দিরা গান্ধী বা মার্গারেট থ্যাচারের মতো লৌহমানবী হয়ে ওঠেননি। কিন্তু তাঁদের চাইতেও কঠিন সঙ্কটের সম্মুখীন হয়ে শক্ত ধাতুর মনের পরিচয় দিয়েছেন। যে সাহসের প্রমাণ দিয়েছেন, তা অনেক লৌহমানবীর মধ্যেও দেখা যায়নি। তিনি আরও লিখেছেন, আমি একবার বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলাম, শেখ হাসিনা আপনার মেয়ে না হয়ে ছেলে হলে ভালো হতো। বঙ্গবন্ধু জিজ্ঞেস করেছিলেন একথা কেন বলছো? জবাব দিয়েছিলাম, তাঁর চেহারায় আপনার সাহস, দৃঢ়তা ও তেজস্বিতা যতোটা দেখি, এতোটা আর কারো মধ্যে দেখি না। আপনার রাজনীতির যোগ্য উত্তরাধিকার তার হাতেই মানাতো ভালো। বঙ্গবন্ধু তাঁর ঠোঁটের পাইপে দীর্ঘ টান দিয়ে বলেছিলেন, “দরকার পড়লে হাসু তা পারবে। তাকে মেয়ে হিসেবে দেখো না। তার মধ্যে অনেক ছেলের চাইতেও বুদ্ধি, সাহস ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার শক্তি বেশি।” নিজের কন্যা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর এই চিন্তাভাবনা যে কতোটা সঠিক, বাংলাদেশের মানুষ এখন তা বুঝতে পারছে।’
প্রবীণ এই সাংবাদিক সাহিত্যিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অন্য একটি প্রকাশনায় লিখেছেন, ‘আমার বিশ্বাস, হাসিনার শাসনামল একদিন অতীতের হোসেনশাহী শাসনামলের মতো বাংলার ইতিহাসে একটি স্মরণীয় অধ্যায় হিসেবে সংযুক্ত হবে।’ 


সমাজবিজ্ঞানী অনুপম সেনের মতে, ‘শেখ হাসিনা একই সঙ্গে বজ্রের মতো কঠিন-কঠোর ও ফুলের মতো কোমল নেত্রী। তিনি পিতৃ-মাতৃহীন শিশু, বঞ্চিত শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে যেমন কেঁদে আকুল হন, তেমনি মানবতাবিরোধী গণহত্যাকারীরা, তার চেনা মানুষ হলেও, তারা যখন তাদের কৃত-অপরাধের জন্য যোগ্য শাস্তি পায়, তখন তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ে তা অনুমোদন করেন ‘।
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটেছে’। কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী মেরী ক্লদ বিবেউ বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ’।
১৯৯৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পার্বত্য শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউনেস্কো কর্তৃক প্রদত্ত ‘হুপে-বোয়ানি’ শান্তি পুরস্কার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ফেদেরিকো মেয়র বলেছিলেন, "জাতি গঠনে আপনার পিতার অনুসৃত পথ অবলম্বন করে আপনি দেশকে শান্তি ও পুনর্মিলনের পথে নিয়ে গেছেন। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আপনার উদ্যোগ ও নিষ্ঠা বিশ্বে শান্তির সংস্কৃতির দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে"।


১৯৯৬ সালে বেগম সুফিয়া কামাল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের আর্শীবাণী দিয়েছিলেন- ‘শেখ হাসিনা সাহসের সাথে সংগ্রামে এগিয়ে অগ্রবর্তিনী হয়ে আমাদের শ্রদ্ধা অর্জন করছেন আর ঘাতক মুষক গোপন থেকে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পদদলিত হবার আকাঙ্ক্ষায় কৃমিকীট হয়ে আত্মগোপন করছে। আল্লাহ সহায় হোন, শেখ হাসিনা অজেয় অমরত্ব লাভ করে সর্বদলের বিজয়েনী হয়ে বিরাজ করুন এই প্রার্থনা আজ সর্বজনার কাছে।’
জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব গুতেরেস মিয়ানমারের নির্যাতনের শিকার জনগোষ্ঠীকে মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়ায় বরাবরই বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার প্রশংসা করে আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে তাদের দুর্দশার কথা নিজ কানে শুনে এক বৈঠকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকৃত অর্থেই লক্ষণীয় ও শিক্ষণীয়’। নারী ও কন্যাশিশুদের শিক্ষা প্রসারে স্বীকৃতি স্মারক ‘শান্তি বৃক্ষ’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়ার সময় তাঁর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ইউনেস্কোর প্রধান। শেখ হাসিনাকে ‘সাহসী নারী’ অভিহিত করে জাতিসংঘের এ সংস্থাটির প্রধান বলেছেন, নারী ও কন্যাশিশুদের ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব মঞ্চের ‘জোরালো এক কণ্ঠ’। 
কলামিস্ট সুভাষ সিংহ রায়কে কলকাতায় তার এক সাংবাদিক বন্ধু বলেছিলেন, “তোমাদের হাসিনা যেন দশভুজা। দশ হাতে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছে।” 
কবি ছড়াকার আমীরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কবিতায় লিখেছিলেন-
‘তুমি মানেই
দেশনেত্রী চিরঞ্জীব,
বঙ্গবন্ধু কন্যা,
শতবছর জীবন তোমার
কর্মে গুণে অনন্যা ।
দীর্ঘ হোক ভালবাসা
বাংলাদেশ ধন্যা,
তুমি মানেই বাংলাদেশ
বঙ্গবন্ধু কন্যা।

বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব, গুণে ও সততায় আজ সারা বিশ্বে সমাদৃত। তাঁর সফলতায় মুগ্ধ হয়ে গুনীজনেরা ভুয়সী প্রশংসামূলক মন্তব্য করায় আমরা গর্ববোধ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা, কৃষি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রপ্তানীমূখী শিল্পায়ন, ১০০ টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, পোশাক শিল্প, ঔষধ শিল্প, রপ্তানী আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্থনৈতিক সূচক ঈর্ষা করার মত। পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা মেট্রোরেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহ দেশের উন্নয়নের আইকন । বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও বাংলাদেশের নন-তিনি সারা বিশ্বের সম্পদ।  দেশপ্রেমের মন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে,সংকীর্নতার উর্দ্ধে উঠে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান,- ‘আসুন দলমত নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি’। আমরাও সেটা চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দোয়া করি আপনি সুস্থ থাকুন, দীর্ঘ আয়ু লাভ করুন, বাড়তে থাকুক আপনার অনন্য কীর্তিসমূহ।

আগের পর্ব : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য কীর্তিসমূহ-৮



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭