ইনসাইড টক

‘মন্ত্রণালয় এবং চিকিৎসক সংগঠনগুলোর মধ্যে সমস্যা আছে’


প্রকাশ: 25/11/2020


Thumbnail

স্বাস্থ্যখাতের সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ’র) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজম্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং চিকিৎসক সংগঠনগুলোর দ্বন্দ্বের কারণ জানতে চাইলে এই চিকিৎসক নেতা বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ যদি ডাক্তারদের কাছ থেকে না নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নেয়া হয় তাহলে সমস্যাতো হবেই। এছাড়া স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য কিছু পদ নির্ধারিত থাকলেও যেখানে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বসানোর কারণ বর্তমান স্বাস্থ্য সচিবের সাথে চিকিৎসক সংগঠনের দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে যদি এই নিয়ম চলতে থাকে তাহলে একটা সময় পর স্বাস্থ্যখাতে বড় ধরনের সমস্যা হবে।

করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ নিয়ে ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘করোনার প্রথম ওয়েভের সময় বাংলাদেশের তেমন প্রস্তুতি ছিলো না কিন্তু দ্বিতীয় ওয়েভের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ সময় পেয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে সরকার ইতিমধ্যে হাসপাতালের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে এবং চিকিৎসকদেরও করোনা নিয়ে আতঙ্ক কমেছে। ফলে এই ওয়েভ মেকাবেলা করাটা হয়তো কিছুটা সহজ হবে। তবে কিছু বিষয়ে আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপের মতো দেশে যেখানে আইসিইউ এর সংকট সেখানে বাংলাদেশে শতভাগ আইসিইউ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। তবে অক্সিজেনসহ অন্যান্য সামগ্রির জোগান বাড়ানো হয়েছে।’

করোনায় জনসচেতনতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ মনে করেন করোনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব শুধুমাত্র সরকার এবং ডাক্তারদের। কিন্তু করোনা মোকাবেলায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা হচ্ছে জনগণের। সরকার গাইডলাইন দিবে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি করবে কিন্তু এসব গাইডলাইন বা স্বাস্থ্যবিধি মানার দায়িত্ব জনগণের। কিন্তু আমরা এখনও দেখছি করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদাসীনতা। তবে করোনা মোকাবেলায় মাস্ক পড়ার কোনো বিকল্প নেই। শুধুমাত্র মাস্ক পড়েই অনেকাংশে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব।’

ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী আরো বলেন, ‘শুরুর দিকে ডাক্তারদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক ছিলো, রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছিলো কিন্তু এখন মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে সহনীয় অবস্থায় এসেছে। তবে চিকিৎসকরা এখনও মানষিক সমস্যার মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে জুনিয়র চিকিৎসক যারা করোনা ওয়ার্ডে কাজ করেন তাদের জন্য থাকার আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ তারা বাড়িতে গেলে তাদের থেকে পরিবারের অন্যরা আক্রান্ত হবেন অথবা পরিবারের সদস্যদের থেতে তারা আক্রান্ত হবেন। সরকার যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করছে করোনার জন্য সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র যারা করোনার ইউনিটে কাজ করছেন তাদের থাকার জায়গা করে দেয়া বড় বিষয় নয়। এছাড়া করোনায় মৃত চিকিৎসকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন কিন্তু সেই প্রণোদনা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এই প্রণোদনা যদি বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে ডাক্তারদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি হবে এবং করোনা চিকিৎসায় ডাক্তাররা আরো বেশি ভূমিকা রাখবেন।

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭