ইনসাইড গ্রাউন্ড

কেমন হল চ্যাম্পিয়নস লিগ ড্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 25/08/2017


Thumbnail

গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এ নিয়ে টানা দুইবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতল লস ব্লাঙ্কোসরা। এই রেকর্ড কোন দলের নেই এখন পর্যন্ত। মাদ্রিদ ম্যানেজার জিনেদিন জিদানের যাদুর কাঠির পরশে গত দেড় বছরে রিয়াল মাদ্রিদের আমূলে পরিবর্তন ঘটেছে। আর এই পরিবর্তনের ফল তো দল পাচ্ছেই সঙ্গে খেলোয়াড়রাও নিজেদের ক্যারিয়ারে নতুন নতুন অর্জন যোগ করতে পারছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার মোনাকোতে উয়েফার সেরা খেলোয়াড়দের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়ে গেলো। একই সঙ্গে হয়ে গেছে ২০১৭-১৮ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ড্র। মোট ৩২টি দলকে আট গ্রুপে ভাগ করে দেয়া হয়েছে, যেখানে প্রতি গ্রুপে আছে চারটি করে দল।

সব গ্রুপেই বেশ ভালো ভারসাম্য রয়েছে। বিশেষ করে গ্রুপ “এইচ” হল এবারের ডেথ গ্রুপ যেখানে আছে রিয়াল মাদ্রিদ,বরুশিয়া ডর্টমুণ্ড,টটেনহ্যাম এবং অ্যাপোয়েলের মত দল। এবার আসুন ৩২ দলের কে কোন গ্রুপে পড়েছে বাঁ কার কি অবস্থা সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক আরও বিস্তারিত ভাবে…

গ্রুপ এ
এই গ্রুপে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বেনফিকা, এফশি বাসেল এবং সিএসকে মস্কোর মত দল। ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সেরা ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বাদে বাকি তিন ক্লাবই চ্যাম্পিয়ন লিগে আহামরি কোন সাফল্য এখনও পায়নি। তারা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যদিও গত কয়েক মৌসুম থেকে আবেশ ভুগছে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন অবসর নেওয়ার পর থেকে তাই এ গ্রুপে পড়াটা তাদের জন্য সুখবড়। যদিও গত মৌসুমে নতুন ম্যানেজার হোসে মরিনহোর জাদুতে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে রেড ডেভিলরা।

গ্রুপ বি
বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে এ গ্রুপে আরও আছে পিএসজি,আন্ডারলেখট,সেল্টিক। বায়ার্ন মিউনিখ আর পিএসজি এই গ্রুপ থেকে পরবর্তী রাউন্ডে ওঠার সুযোগ সব থেকে বেশি কারণ শক্তিমত্তার বিচারে এই দুইদলই এগিয়ে। এদিকে কয়েকদিন আগেই নেইমারকে দলে ভিড়িয়ে নিজেদের শক্তি আরও বাড়িয়ে নিয়েছে পিএসজি।

গ্রুপ সি
কন্তের চেলসির সঙ্গে এ গ্রুপে আছে মারদাঙ্গা ম্যানেজার ডিয়েগো সিমিওনের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। সঙ্গে আরও আছে রোমা এবং কারাবাগ। এ গ্রুপ থেকে আসলে কে পরের রাউন্ডের যাবে সেটা অনুমানের উপায় নেই কারণ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কিংবা রোমা চেলসির সঙ্গে ভালো ভাবে যুদ্ধে নামার জন্য প্রস্তুত।

গ্রুপ ডি
এই গ্রুপে এক সঙ্গে আছে বার্সেলোনা এবং জুভেন্টাসের। জুভেন্টাসের কাছেই গত মৌসুমে সেমি ফাইনালে হেরেছিলো বার্সেলোনা। এবার একই গ্রুপে হওয়ায় লড়াইটা শুরু থেকেই জমে উঠবে। দুই লেগে এক গোলও জুভেন্টাসকে দিতে পারেনি মেসি-নেইমার-সুয়ারেজরা। অন্যদিকে এ গ্রুপের আরও দুইদল হচ্ছে অলিম্পিয়াকোস এবং স্পোর্টিং সিপি।

গ্রুপ ই
গ্রুপ ই’টা তুলনামূলক সহজ বলা যেতে পারে। এখানে আছে স্পার্তাক মস্কো, লিভারপুল, মারিবোর এবং সেভিয়া। লিভারপুল আর সেভিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিতে প্রস্তুত আছে স্পার্তাক মস্কোও।

 

গ্রুপ এফ
ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে শাখতার দোনেতস্ক এর পাশাপাশি নাপোলি আর ফেনর্ড আছে এই গ্রুপে। নাপোলি বেশ কয়েক মৌসুম ধরে বেশ ভালো খেলছে। সিটির সঙ্গে পাল্লা দিতে এই গ্রুপ থেকে কেউ পারলে সেটা হবে নাপোলি।

গ্রুপ জি
মোনাকো,বেসিকতাস,পোর্তো এবং আরবি লিপগিজ নিয়ে গড়া গ্রুপ জি। এই গ্রুপে মধ্যম সারির চার দলই যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। আর চ্যাম্পিয়নস লিগে সবাই সবার সেরাটাই দিতে চায়। কারণ এটা ইউরোপের সেরাদের মঞ্চ। এখানে ভালো করলেই কেবল সাফল্য পাওয়া সম্ভব।

গ্রুপ এইচ
গ্রুপ এইচকে “গ্রুপ অফ ডেথ” বললে একদমই ভুল বলা হবে না। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে আরও আছে বরুশিয়া ডর্টমুণ্ড, টটেনহ্যাম এবং অ্যাপোয়েলে। বরুশিয়া ডর্টমুণ্ডের কাছে কয়েক মৌসুম আগে রিয়াল মাদ্রিদ চার গোল খেয়েছিলো। আর ইংলিশ দল টটেনহ্যামা ছে দারুণ ফর্মে। যদিও তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগের রেকর্ড ভালো নয় তবুও বর্তমান দল নিয়ে তারা ভালো কিছু করার ক্ষমতা রাখে।

চ্যাম্পিয়নস লিগ হচ্ছে সেরাদের লড়াইয়ের জায়গা। একবার পা হড়কে গেলে ফিরে আসার সুযোগ খুব একটা থাকে না। সেক্ষেত্রে ছোট দল গুলোও চাইবে যে এই পর্যায়ে তাদের সেরাটা দিয়ে ভালো কিছু করতে আর সবার নজর কাড়তে। আর রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বার্সেলোনা, জুভেন্টাসের মত দল চাইবে চ্যাম্পিয়ন হতে। রিয়াল মাদ্রিদ যদিও টানা দুই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন তারা এবার হ্যাট্রিক শিরোপা জয়ের মিশনে নামবে তাদের কোন সন্দেহ নেই।

বাংলা ইনসাইডার/এনআই/ডিআর



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭