কালার ইনসাইড

অর্ধেক বয়সী নায়িকাদের সঙ্গে জুটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 25/08/2017


Thumbnail

একটু বেমানান হয়ে যায় না? সময়ের স্রোতে বয়সটা তো আর থেমে থাকে না। বয়স বাড়ার সঙ্গে অনেকে নিয়মিত অভিনয়টাও চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু টেলিভিশন নাটককে ঘিরে নতুন যে প্রশ্ন উঠেছে। তা হলো জুটিতে বয়সের ব্যাবধান। এক জন অভিনেতা জুঁটি বাধছে তাঁর হাটুর বয়সের কোন অভিনেত্রীর সাথে। তা দেখে দর্শকের ভ্রু কুচকানো, চোখের তৃপ্তি হারিয়ে ফেলছে। কেন হারিয়ে যাচ্ছে? এটা কি বেমানান না! পঞ্চাশের কোঠার কোন অভিনেতা তাঁর অর্ধেক বয়সেরও কম কোন অভিনেত্রীর সাথে প্রেমের দৃশ্যালাপ করছে।

নিশ্চয়ই নাটক দেখতে গিয়ে আপনারও কোন না কোন সময় এমনটা মনে হয়। অনেকে মনে করেন টেলিভিশন নাটক দর্শক হারানোর অন্যতম এটি একটি কারণ। কারণ গল্পের সাথে দর্শক জুটি প্রথায়ও বিশ্বাস করে। আর সে জুটি নানা সময়ে বাংলাদেশের টিভি নাটকে গড়েও উঠেছে।

সময়ের ব্যবধানে অনেক অভিনেত্রী অভিনয় থেকে সরে গিয়েছে। দর্শকও চাচ্ছে নতুন মুখ। কিন্তু একটা নতুন মুখকে প্রমোট করার জন্য দরকার কোন স্টার। আর তাই বাংলাদেশে এমন প্রথার চালু হয়েছে। এমন অনেক অভিনেতা আছেন যারা কমপক্ষে গত ২০ বছরের অধিক সময় ধরে অভিনয়ে আছেন। প্রায় প্রতি বছর তাদের জুটি গড়ছে আর ভাঙছে।এক জেনারেশন থেকে আরেক জেনারেশন। প্রেমের গল্পে আর প্রেমের দৃশ্যে নিয়মিত অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। একটা সময়ে এসে দর্শকের চোখে তা বিরক্তীর কারণ হয়ে দাড়ায়।

সেই আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকে যারা টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করেছেন। তাদের বেশিরভাগই এখন তারকা অভিনেতা। নির্মাতা কিংবা টেলিভিশন কর্তাদের কাছে তাদের একটা ডিমান্ড আছে। কিন্তু তাদের সাথে জুটি হয়ে অভিনয় করবে কে ? পরিচালকরা এ প্রজন্মের কাউকে জুটি করে দিচ্ছে। গল্প যা-ই হোক তারা জুটি হয়ে স্বামী স্ত্রীর চরিত্র সহ প্রেমিক-প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করছে। আপাত দৃষ্টিতে এটা নাটকের জন্য কী হতে পারে অনেকেরই প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু একটু ভেবে দেখুন । এই অসময় বয়সের প্রেম ভালবাসার গল্প আপনার কতক্ষন ভাল লাগবে ? বিরক্ত হয়ে অন্য চ্যানেলে হলে যেতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রেও টিভি দর্শক হারাচ্ছে। না হয় আজিজুল হাকিম- জিনাত হাকিম, শহীদুজ্জামান সেলিম-আফসানা মিমি, আফজাল হোসেন- সুবর্ণা মুস্তফা কিংবা মাহফুজ আহমেদ- শমী কায়সারদের জুটির অভিনেতাগন কি এ প্রজন্মের মেহজাবিনদের সাথে অভিনয় করলে তা দর্শকরা গ্রহন করবে?

আপনি নিজে বলুন, এমন অসম বয়সের কয়টা নাটক আপনার ভালো লেগেছে। গল্পের প্রয়োজনে কিছু হতে পারে। তাই বলে এই ট্রেন্ডটা তো চলতে পারে না।

এবার একটু হিসেবে যাওয়া যাক। কার বয়স কত ? জাহিদ হাসানের বয়স পঞ্চাশ , তার প্রায় সমবয়সী মাহফুজ আহমেদ। তাঁদের চেয়ে কিছুটা বড় তৌকির আহমেদ। তার বয়স ৫২। তাদের চেয়ে বড় শহীদুজ্জামান সেলিম। সঠিক বয়সটি জানা না গেলেও অনেকেই বলে থাকেন পঞ্চাশের ঘর তিনি আরো অনেক আগে ছুয়েছেন। তার কাছাকাছি বয়সের হবে আজিজুল হাকিম। ১৯৭৭ সালে আজিজুল হাকিমের টিভি পর্দায় অভিনয় শুরু। তারিক আনাম খানের বয়স ৬৪ বছর। তার প্রায় সম বয়সী আফজাল হোসেন।

এমন বয়সের অভিনেতাদের সাথে জুটি হচ্ছেন মেহজাবিন, শখ , সারিকা , টয়া , স্পর্শিয়ারা। যাদের বয়স তাদের অর্ধেকের চেয়ে খুব বেশি হবে না। এভাবেই হয়তো চলবে। তাতে কার কী? দর্শক তো ভিড়ছে ভিনদেশী চ্যানেলে।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭