ইনসাইড আর্টিকেল

ভ্যাকসিন কি নতুন সংকটে ফেলবে বিশ্বকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 04/12/2020


Thumbnail

ভ্যাকসিন নিয়ে নতুন শঙ্কা। এরই মধ্যে ফাইজারের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। বুধবার, ২ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার বায়ো এন টেকের ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে দেশটি। আগামী মঙ্গলবার থেকে এই ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রও হয়তো এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবে।ইতোমধ্যে বাজারে দুইটি ভ্যাকসিন এসেছে। প্রথমে এলো রাশিয়ার স্পুটনিক ভ্যাকসিন। তারপর এলো চীনের ভ্যাকসিন। তারপর এখন ফাইজারের ভ্যাকসিন আসছে। এর পর কিছুদিনের মধ্যে ফাইজারের পাশাপাশি মডার্নের ভ্যাকসিনও আসবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। 

এদিকে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে কিছু জটিলতা থাকলেও শেষ পর্যন্ত এ ভ্যাকসিনটিও বাজারে আনবে তারা। করোনা থেকে বাঁচার জন্য সারা বিশ্বই ভ্যাকসিন নিয়ে তাড়াহুড়া করছে। কারণ করোনা এমন একটা ব্যাধি যে ব্যাধিটা খুবই ছোঁয়াচে। তাই লোক ডাউন, সামজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মানা ছাড়া এটা থেকে পরিত্রাণের উপায় নেই। অথচ বাস্তবতা হলো, আমাদের জীবন, জীবিকা ও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে চলা ইত্যাদির জন্য দীর্ঘদিন লোক ডাউনে থাকা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না। কোনো দেশেই এখন লোক ডাউন মানছে না এবং স্বাস্থ্য বিধি মানতে চাইছে না। এই বাস্তবতায় সবগুলো দেশ সমঝোতার পথে যাচ্ছে। ভ্যাকসিনের জন্য ঝুঁকে পড়েছে। কিন্তু তাড়াহুড়া করতে গিয়ে এই ভ্যাকসিনগুলো মানসম্মত কিনা, এই ভ্যাকসিনগুলো সত্যি-সত্যি কার্যকর কিনা বা এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিরকম সেটি নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা হচ্ছে না, এমনটাই মনে করছেন  বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা আরও মনে করছেন যে তারা তারাহুড়া করতে যেয়ে যেভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তা আরেকটা নতুন সংকট তৈরি করতে পারে।

সংকটগুলোর মধ্যে প্রথমত হয়েছে যে এই ভ্যাকসিনগুলো কার্যকর নাও হতে পারে, দ্বিতীয়ত এই ভ্যাকসিনের পার্শপ্রতিক্রিয়ায় অন্য রকম ক্ষতি হতে পারে। তৃতীয়ত আমরা জানি না যে এই ভ্যাকসিনগুলো যখন মানব দেহে দেওয়া হবে তখন মানব দেহের অন্যকোনো অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ক্ষতি হবে কিনা। তার জন্য একটা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য দীর্ঘ গবেষণা ও অনেকগুলো ধাপ অতিক্রম করতে হয়। এবং এগুলো একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার। যেহেতু করোনায় গত এক বছর ধরে বিশ্বকে অস্থির করে তুলেছে। সে জন্য ভ্যাকসিনের জন্য বিশ্ব মরিয়ে হয়ে উঠেছে। 

এখন এই ভ্যাকসিনগুলো প্রয়োগ করার ফলে আবার আমরা নতুন কোন সংকটের মুখে পর্ব কিনা সেটা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে সমস্যা ও বিতর্কের  দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেখানে যারা মারা গেছেন তারা কিভাবে মারা গেছেন সেই তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই তথ্য উপাত্ত এখনো পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকা দিচ্ছে না। একইভাবে মডার্ন ও ফাইজারের ভ্যাকসিন নিয়ে যে তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়েছে তার বিশ্বাস যোগ্যতা নিয়েও কেও কেও প্রশ্ন তুলেছে। যেমন করে করে রাশিয়ান ভ্যাকসিন ও চীনা ভ্যাকসিন নিয়েও এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মুখ খুলেনি তাই শেষ পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনগুলো আমাদের উপকারের বদলে ক্ষতি করবে কি না সে ইস্যুটি নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭