ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার অনন্য ১২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 06/01/2021


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার টানা ১২ বছর দেশ পরিচালনা করছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং সরকার পরিচালনার ইতিহাসে এটি এক অনন্য অর্জন। আওয়ামী লীগের এক যুগ দেশ পরিচালনার সাফল্যের কৃতিত্ব প্রায় পুরোটাই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। তার বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারণেই আওয়ামী লীগের এই অর্জন। আওয়ামী লীগের এই সাফল্যের মূল নায়ক শেখ হাসিনা। এই এক যুগে শেখ হাসিনাও কিছু অসামান্য কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। এর মধ্যে শেখ হাসিনার এক ডজন অসামান্য কৃতি তুলে ধরা হলো:

১. উপমহাদেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি দিন প্রধানমন্ত্রী : এই উপমহাদেশে নির্বাচনের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি দিন প্রধানমন্ত্রীত্বের কৃতিত্ব ছিলো শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর। তিনি ১৬ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। শেখ হাসিনা সেই রেকর্ড ভেঙেছেন। প্রথম মেয়াদে ৫ বছর এবং এখনটানা ১২ বছর মিলিয়ে ১৭ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার এক অনন্য রেকর্ড গড়েছেন শেখ হাসিনা।

২. টানা জনপ্রিয়তার রেকর্ড: বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই মুহুর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি শেখ হাসিনা। জনপ্রিয়তায় তার ধারে কাছেও কেউ নেই। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও বিপুল জনপ্রিয়তার বিস্ময়কর রেকর্ডটিও শেখ হাসিনার।

৩. সততার অনন্য নজীর: ক্ষমতা এবং দুর্নীতি পাশাপাশি হাটে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এক্ষেত্রে অনন্য ব্যতিক্রম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা ১২ বছর মোট ১৭ বছর প্রধানমন্ত্রীত্বের দায়িত্ব পালন করলেও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোন অভিযোগ নেই।

৪. অপ্রতিদ্বন্দ্বি নেতৃত্ব: এই মুহুুর্তে শেখ হাসিনা অপ্রতিদ্বন্দ্বি। তার সমকক্ষ তো নয়ই, কাছাকাছি মানের নেতাও নেই। পুরো দেশ তার দিকে তাকিয়ে তার উপর নির্ভরশীল।

৫. সবচেয়ে পরিশ্রমী সরকার প্রধান: শেখ হাসিনার সাফল্যের সবচেয়ে বড় কারণ হলো তার পরিশ্রম। প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা পরিশ্রম করেন এই রাষ্ট্রনায়ক। বাংলাদেশ তো বটেই, বিশ্বের সবচেয়ে পরিশ্রমী এবং কর্মঠ সরকার প্রধান হিসেবে তিনি স্বীকৃতি পেয়েছেন।

৬. সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনন্য নজীর: সরকার পরিচালনা করতে গেলে একজন সরকার প্রধানকে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। একজন প্রধানমন্ত্রী বা সরকার প্রধানের সব সিদ্ধান্ত সঠিক হয় না। ভুল ত্রুটি মিলিয়েই মানুষ। গত বারো বছরে শেখ হাসিনা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খুবই কম। করোনা মোকাবেলা থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সবক্ষেত্রেই সঠিক সময়ে তার সঠিক সিদ্ধান্ত প্রশংসিত হয়েছে।

৭. মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত : বিশ্বে এই মুহুুর্তে সবচেয়ে মানবিক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন শেখ হাসিনা। তাকে বলা হয় ‘মাদার অব হিউম্যানিটি মানবিকতার এক অনন্য উদাহরণ শেখ হাসিনা।

৮. সহনশীলতার নতুন উপমা: গত এক যুগে শেখ হাসিনা নিজেকে একজন অসামান্য সহনশীল সরকার প্রধান এবং রাজনীতিবিদ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। দলের সহকর্মীদের ভুল, অনিয়ম, অযোগ্যতা যেমন তিনি ধৈর্য্য ধরে সহ্য করেছেন তেমনি প্রতিপক্ষের প্রতিও তিনি সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন।

৯. ক্ষমাশীলতার প্রতীক: গত এক যুগে শেখ হাসিনা নিজেকে ক্ষমাশীলতার এক প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে একদা তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বেগম খালেদা জিয়াকে যেভাবে নির্বাহী আদেশে তিনি জামিন দিয়েছেন তা রাজনৈতিক ইতিহাসে এক দৃষ্টান্ত।

১০. নীতির প্রশ্নে অটল: গত এক যুগে নীতির প্রশ্নে অটল ছিলেন শেখ হাসিনা। দুর্নীতি, অনিয়মকে প্রশ্রয় দেননি। দলের ভেতর দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণে কার্পন্য করেননি। এমনকি তার নিকটাত্মীয়রাও অনিয়ম করে পার পাননি। আওয়ামী লীগে শুদ্ধি  অভিযানে তার ঘনিষ্ঠজনরাও আক্রান্ত হয়েছেন।

১১. একক কারো উপর নির্ভর না করা: গত এক যুগে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন তিনি কারো উপর নির্ভরশীল নন। ব্যক্তিগত স্টাফ থেকে মন্ত্রী সভা, অদল বদল করে বিভিন্ন মেয়াদে চমক দেখিয়েছেন। একারণে ১২ বছর ক্ষমতায় থাকলেও প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে নি।

১২. এখনও নিরহংকারী: শেখ হাসিনার একটি অনন্য দিক হলো অহংকার তাকে স্পর্শ করেনি। দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার পরও তিনি একজন নিরহংকারী সাদামাটা মানুষ ।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭