লিট ইনসাইড

ঈদের আগেই মারা গিয়েছিল ছাগলটা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 01/09/2017


Thumbnail

বাবার সঙ্গে গরু কিনতে যাওয়া হয়নি কখনো। ছোট বেলায় আব্বু-আম্মুকে হারিয়ে, ঈদ আনন্দ অনেকটাই ফিকে আমার জন্য। তারপরও ঈদের মজা বলতে ছোট বেলার ঈদের কিছু স্মৃতি মনে জানালায় উঁকি দেয়।

সবার আগে মনে পড়ে একটি ঘটনাই। তখন আমি অনেক ছোট। আগের আমলের বাসা আমাদের। বাড়ির উঠোনে কোরবানির প্রস্তুতি চলছে। আমি বারান্দায় বসে দেখছি। সেবার গরুর সঙ্গে একটা ছাগলও কোরবানি দিয়েছি আমরা। ঈদের বেশ কয়েকদিন আগেই কেনা হয়েছিল ছাগলটিকে। দিন পার করতাম ছাগলের সঙ্গে সময় কাটিয়েই। অনেক প্রিয় সেই ছাগলটাকে যখন কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল, তখনই শুরু হয় আমার কান্না। নাকের সর্দি আর চোখের পানি মিলেমিশে একাকার। আব্বু তখনো ছিল। আমার কান্না থামানোর অনেক চেষ্টা করেছিল। অবশেষে হার মেনে, আমাকে ঠাণ্ডার সিরাপ খাইয়ে ঘুম পাড়ানো হয়। ঘুম থেকে উঠেও খুজছিলাম আমার ছাগলটিকে। এই ঘটনার আধো আধো আমার মনে আছে, বাকিটা শোনা বড়দের কাছ থেকে।

এখন ঈদের আনন্দ তেমন একটা নেই। মজা যাই হয় তা শুধু গ্রামের বাড়ি গেলেই। গরুকে খাওয়ানো, গরু সাজানো, ঈদের আগের রাতে ভাগ্না-ভাগ্নি, কাজিনদের সঙ্গে পটকা ফোটানো বেশ আনন্দের এখনো। এক ছাগলকে এতোটাই খাওয়াই, যে কোরবানির আগের রাতে সেটি মরে যায়।

কোরবানির ঈদে একটা মজা আজও করা হয়। চাঁদ রাতে মেহেদি লাগাই বড়দের হাতে। বিনিময়ে সালামী নিই। সেই টাকাও আবার খরচ হয় সবার জন্যই। বড়রা অনেক তালবাহানা করলেও আমাদের কাছে হার মানতেই হয় তাদের। এখনতো আমাকেও বড়দের কাতারে পড়তে হয়। এইতো গত কোরবানি ঈদের ঘটনা। মেহেদির সব টাকা ভাগ্না-ভাগ্নিরা জব্দ করে নেয় পুরোটাই। এখন চাকরি করি, তাই নাকি টাকা নিতে নেই আমার।

সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুই বদলে গেছে। সবাই আমরা ব্যস্ত এখন। প্রতিবার না হলেও দু একটা ঈদে সবাই একসঙ্গে হই। এবারতো ঈদের দিনও অফিস করতে হবে। চোখের পলকেই কেটে যাবে ঈদ। তবে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে কাটাবো বেঁচে যাওয়া ঈদটুকু আমার।

বাংলা ইনসাইডার/আরএস/জেডএ




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭