নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 13/01/2021
একটা সময় ছিল পরিবার বলতেই আমরা বুঝতাম যেখানে মা-বাবা, ভাইবোন, দাদা-দাদী, চাচি-চাচী সবাই মিলে ছিল একটি পরিবার। সেই পরিবারের মাঝেই ছিল, হাসি-কান্না, আনন্দ, কোন্দল। এখন পরিবার মানে বাচ্চাদের কাছে শুধু বাবা-মা। যৌথ পরিবার এখন গ্রামেও দেখা যায় না। পরিবার ছোট হওয়ার সাথে সাথে মানুষের মধ্যে নৈতিকতার স্খলন বেড়েছে বহুগুণে। মানুষের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন হ্রাসের ভয়াবহতা আমাদের চোখের সামনে হরহামেশাই লক্ষণীয়। তার বাস্তবিক উদাহরণ সম্প্রতি মাস্টার মাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থী আনুশকাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় আসামি দিহানকে গ্রেপ্তার।
বর্তমানে পরিবারের প্রায় প্রতিটি সন্তান মানসিক অবসাদে ভুগছে। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, একাকীত্ব বোধ থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছে প্রায় বেশিরভাগ বাচ্চারা। এক্ষেত্রে যৌথ পরিবার কমে যাওয়া অনেক অংশে দায়ী। প্রায় প্রতিটি পরিবারে এখন বাবা মা দুইজনই চাকরি করছে। কর্মব্যস্ততার পর বাচ্চাদের বাসায় এসে ঠিকমতো সময় দেয়াও হয়ে ওঠেনা। এতে করে বাচ্চারা তাদের মনের কথা কাউকে শেয়ার করতে পারেনা। যেহুতু এখন যৌথ পরিবারে বাচ্চারা থাকছেনা তাই বাচ্চাদের লম্বা একটা সময় বাসায় একাই থাকতে হচ্ছে যার কারণে আস্তে আস্তে তাদের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। যৌথ পরিবারের থাকলে একটি বাচ্চা বাবা মাকে কাছে না পেলেও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে তার মনের ভাব আদান-প্রদান করতে পারে যেটি একক পরিবার হওয়ার কারণে তারা বঞ্চিত।
একক পরিবার হওয়ায় বাচ্চাদের লালন-পালনের দায়িত্ব আয়া, বুয়াদের কাছে দেয়া হয়। এতে করে বাচ্চারা যেই নীতি-নৈতিকতা পরিবার থেকে শিখতে পারছে সেটি আয়া, বুয়াদের কাছ থেকে শিখতে পারছেনা। যার প্রভাব তাদের ভবিষ্যতে পরছে।
তরুণ সমাজের পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্ততা তাদের রন্ধে রন্ধে প্রবেশ করেছে। এর বহুমাত্রিক কারণের একটি হচ্ছে বাচ্চারা একা বাসা পেয়ে পর্ণ দেখার সুযোগ পাচ্ছে হরহামেশা। যৌথ পরিবার থাকাকালীন এই সময়টুকু বাচ্চারা গল্প করা কিংবা বাস্তবভিত্তিক কাজে ব্যয় করতো।
তাই যৌথ পরিবারের প্রয়োজনীয়তা যে বাচ্চাদের লালন পালনের জন্য উপযোগী সেটি ঘুরেফিরে সামনে আসছে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭