ইনসাইড পলিটিক্স

কি আছে বেগম জিয়ার মুচলেকায়?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 19/01/2021


Thumbnail

গত বছরের ২৫ মার্চ ৬ মাসের বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি পান বেগম জিয়া। সেপ্টেম্বরে একই শর্তে তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয় আরো ৬ মাস। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার জামিনে মুক্তি সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে ‘জামিনকালীন সময়ে তিনি (বেগম জিয়া) তার বাসভবনে থেকে চিকিৎসা করাবেন।’ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারের নির্বাহী আদেশে যে জামিনের শর্ত দেয়া হয়েছে, সেটিই একমাত্র শর্ত। এর বাইরে কোন গোপন শর্ত নেই। কিন্তু বেগম জিয়ার দল বিএনপি বলছে, বেগম জিয়া আসলে মুক্ত নন। তার হাত পা বাঁধা। একারনেই তিনি কোন কথা বলতে পারছেন না। নূন্যতম রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করতে পারছেন না। বিএনপি নেতৃবৃন্দ এধরনের কথাবার্তা বললেও, বেগম জিয়া এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকেও নীরবতা পালন করা হচ্ছে। ফলে, বিএনপির নেতারা এখন সরকারের বদলে বেগম জিয়া এবং তার পরিবারের প্রতিই অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। তারা জানতে চান, কি আছে খালেদা জিয়ার জামিনের শর্তে?

বিএনপির অধিকাংশ নেতাই এখন বিশ্বাস করেন, বেগম জিয়া গোপনে মুচলেকা দিয়ে জেল থেকে বেরিয়েছেন। তারা এই মুচলেকার বিষয়বস্তু জানতে চান। ২০১৮র ৭ ফেব্রুয়ারি একটি দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত হয়ে জেলে যান বেগম জিয়া। ২৫ মাস কারাভোগ করেন তিনি। জেল থেকে বেরুনোর পর তার বাসভবন ফিরোজা থেকে একদিনের জন্য বের হননি। দুই ঈদ ছাড়া অন্য কোন দিন, বিএনপি নেতৃবৃন্দের সংগে দেখাও করেননি। তার চারজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক ঘুরে ফিরে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। বাসায় ৮ জন কর্মচারী থাকলেও, প্রায় প্রতিদিনই খাবার আসে ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের বাসা থেকে। বাসায় টিভি আছে, ল্যান্ড ফোন আছে, মোবাইল ফোনও আছে।

কিন্তু বেগম জিয়ার মোবাইল ফোন তার কাছে থাকে না। প্রতিদিনই বেগম জিয়া স্কাইপে লন্ডনে তার নাতনীদের সংগে কথা বলেন। ইদানিং ছেলের সংগেও খুব একটা কথা হয় না। বেগম জিয়ার বাসায় পত্রিকাও রাখা হয় না। ফিরোজার গেটে সৌজন্য কপি হিসেবে দৈনিক দিনকাল এবং নয়া দিগন্ত যায়। কিন্তু সেগুলো গেটের স্টাফরাই পড়েন। ফিরোজার সামগ্রিক বিষয় দেখাশোনা করেন শামীম ইস্কান্দার এবং সেলিনা ইসলাম। ভাই বোন প্রতিদিনই একাধিকবার ফিরোজায় যান। বেগম জিয়ার সবকিছুই দেখভাল করেন তারাই। বিএনপি নেতারা বলেছেন, কোন রকম রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়াবেন না, এরকম শর্তেই বেগম জিয়া জামিন নিয়েছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র রায় মনে করেন ‘বেগম জিয়াকে হয়তো কোন অপমানজনক শর্তে মুক্তি দেয়া হয়েছে। যেটি বলতে তার পরিবারও সংকোচ বোধ করে।’ তবে বিএনপির নেতৃবৃন্দ মনে করেন, বেগম জিয়াকে যে শর্তেই মুক্তি দেয়া হোক, ‘আপোষহীন’ নেত্রীর উচিত, জনগনের কাছে তা প্রকাশ করা। তা না হলে তার সারাজীবনের অর্জন ধুলোয় লুটাবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭