ইনসাইড গ্রাউন্ড

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা ক্রিকেটাররা কেমন করছেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/01/2021


Thumbnail

বিভিন্ন কারণে ক্রিকেটাররা নিষিদ্ধ হয়ে খেলা থেকে দূরে থাকতে হয়েছে। খেলার বাইরে থেকে নিজেকে যতই ফিট রাখা হোক না কেন, মাঠে নিজেকে মেলে ধরে বেশ বেগ পেতে হয় সে খেলোয়াড়কে। আর মাঠে ফিরে সে খেলোয়াড়রা নিজ ছন্দে ফিরেছেন নাকি ব্যাক ফুটে চলে গিয়েছেন তা নিয়েই আজকের আলোচনা।

সাকিব আল হাসান

২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর, এক বছরের নিশেধাজ্ঞার কবলে পরেন সাকিব। জুয়াড়ির কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার তথ্য গোপন করায় সাকিব আল হাসানকে ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিলো আইসিসি৷ তবে দোষ স্বীকার করায় এক বছর পর, অর্থাৎ ২০২০ সালে ক্রিকেটে ফিরেন সাকিব৷

তবে খেলায় ফিরলেই সব কিছু আবার আগের মতো হয়ে যায়না। একবছরের আগের রূপ ফেরাটা কতটা কঠিন তার প্রমাণ মেলে বঙ্গবন্ধু কাপে। ব্যাটে-বলে খেলতে পারেননি সাকিব। তবে তার মধ্যেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলে সুযোগ পান। দলে ফেরার পর কেমন করতে পারেন তা দেখার বিষয়। তবে বিশ্ব মানের এর অভিজ্ঞ বাংলাদেশী অল রাউন্ডারের নিজের আসল রূপে ফিরতে সময় লাগবেনা এটা সবাই জানে।

শেন ওয়ার্ন

নিশেধাজ্ঞার মধ্যে বাদ যান নি অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট শেন ওয়ার্নও। ২০০৩ সালে বিশ্বকাপের আগে তার ক্রিকেট খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। বিশ্বকাপের আগে তার ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসে, ২০০৪ সালে তিনি ক্রিকেটে ফিরেন ওয়ার্ন। তবে অস্ট্রেলিয়ার আর ওয়ানডেতে সুযোগ পাননি ওয়ার্ন। তবে টেস্ট ক্রিকেট চালিয়ে যান ২০০৭ সাল পর্যন্ত। 

মোহাম্মদ আমির

২০১০ সালের অগাস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে অর্থের বিনিময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে নো বল করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১১ সালের নভেম্বরে লন্ডনের একটি আদালত ১৯ বছর বয়সী আমিরকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়। তবে কারাগারে ভালো আচরণের পুরস্কার হিসেবে তিন মাস কারাভোগ করে মুক্তি পান তিনি। তবে ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরে ২০১৫ সালে।

দলে ফেরার পর উত্তেজনার কমতি ছিলনা সবার মাঝে। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা বলেই দিসিল ফিরে এসেছে তাদের বোলিং শক্তি। তবে কিছুদিন ভাল খেলার পর খেই হারিয়ে ফেলে আমির। পারফর্মেন্সের ঘাতটিতে দলেও সুযোগ হচ্ছলো না তার। পরবর্তীতে নানা বিতর্কে জড়িয়ে ২০২০ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে আবসর নেন পাকিস্তানি এর ফাস্ট বোলার।

অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস

নিশেধাজ্ঞারদের কথা আসলে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসকে বাদ দেয়ার বিকল্প নেই। অস্ট্রেলিয়ার নির্ভরযোগ্য একজন অল রাউন্ডার ছিলেন তিনি। ব্যাটে-বলে ভালো পারফরম্যান্স থাকা সত্ত্বেও ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়া দল থেকে বাদ পড়েন শৃঙ্খলাজনিত কারণে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের আগে টিম মিটিংয়ে অংশ না নিয়ে মাছ ধরতে যাওয়া, কিংবা মদ্যপানজনিত কারণগুলো অস্ট্রেলিয়া দলের ইমেজের বিরুদ্ধে চলে যাওয়ায় বাদ পড়াটা স্বাভাবিকই ছিল।

পরবর্তীতে দলে ফিরে তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেন নি সাইমন্ডস। পরবর্তীতে ৩৬ বছর বয়সে ২০১২ সালে সকল প্রকার ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭