ইনসাইড পলিটিক্স

সংকট বাড়ছে আওয়ামী লীগে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/01/2021


Thumbnail

টানা বারো বছর ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। সরকার পরিচালনাতেও বড় ধরনের কোন চাপ নেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। কিন্তু দলের ভেতর নানা সমস্যা ক্রমশ: দৃশ্যমান হচ্ছে দলটির। দলটি যেন এখন নিজেরাই নিজেদের সংগে যুদ্ধ করছে। অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিভিন্ন নেতাদের লাগামহীন ভাবে পরস্পরকে আক্রমণ, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমপিদের অবস্থান, ছোট খাট বিষয়ে দলের সভাপতির দিকে তাকিয়ে থাকার প্রবণতা দলটি ক্রমশ: সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্রুত এই সমস্যা কাটিয়ে তুলতে না পারলে, ভবিষ্যতে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই দলটি সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল হয়ে পরবে। আওয়ামী লীগে বর্তমানে যে সংকট গুলো দৃশ্যমান, তার মধ্যে রয়েছে :

১. আওয়ামী লীগ বনাম এম.পি লীগ: আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বলছেন, প্রতিটি জেলাতেই এখন দুটি আওয়ামী লীগ। একটি ত্যাগী এবং পরীক্ষিতদের নিয়ে আওয়ামী লীগ। অন্যটি, এমপিদের তল্পিবাহক, স্তাবক এবং সুবিধাভোগীদের আওয়ামী লীগ। এই দুই আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বে ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে দলটি। বেশীর ভাগ জেলায় দিবস ভিত্তিক কর্মসূচী হচ্ছে দুটি। একটির আয়োজন করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। অন্যটির আয়োজক এমপির লোকজন।

২. নৌকাকে হারাতে মরিয়া আওয়ামী লীগ: পৌরসভা নির্বাচন গুলোতে দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষই আওয়ামী লীগ। যেসব পৌরসভায় এমপির পছন্দের ব্যক্তি মনোনয়ন পাননি, সেখানে এমপি ও তার কর্মী বাহিনী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে নৌকা প্রতীকের বিরোধিতা করছেন। অনেক স্থানেই এমপি তার পছন্দের ব্যক্তিকে স্বতন্ত্র দাড় করিয়ে দিয়েছেন। দলের কেন্দ্র থেকে বার বার বলা হচ্ছে, দলীয় প্রতীকের বিরুদ্ধাচারণকারীদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। কিন্তু তারপরও যেন এই সংকট থেকে বেরুতে পারছে না আওয়ামী লীগ।

৩. প্রকাশ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি: আগেও আওয়ামী লীগের নেতারা একে অন্যকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখতেন। কিন্তু এবার নিক্সন চৌধুরী আর কাদের মির্জার বিরোধ শালীনতার সব সীমাকে অতিক্রম করেছে। এক নেতা আরেক নেতাকে ‘পাগল’ কিংবা নেশা আসক্ত বলাটা কতটা রাজনৈতিক শিষ্টাচার সম্মত সে প্রশ্ন উঠেছে।

৪. দলে চেইন অব কমান্ড নেই: আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় সংকট হলো দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পরেছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে মানছে না স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাও দলীয় ফোরামের বাইরে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করছেন।

৫. সভাপতির দিকেই তাকিয়ে সবাই: কেউ কোন দায়িত্ব নিচ্ছেনা। বক্তৃতা বিবৃতির বাইরে দলের সাংগঠনিক কাজ করছে,হাতে গোনা ক’জন। সব সিদ্ধান্তের জন্য সবাই তাকিয়ে থাকেন আওয়ামী লীগ সভাপতির দিকে। তার উপর প্রচণ্ড চাপ তৈরী হচ্ছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭