ইনসাইড পলিটিক্স

তারেককে নিয়ে সেনা সদরে ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 21/01/2021


Thumbnail

সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের মূল ব্যক্তি ছিলেন আসলে জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ। ড: ফখরুদ্দিন আহমেদকে সামনে রেখে তিনিই সব কিছু করছিলেন। তার প্রধান করণীয় ছিলো ৫টি। প্রথমত, অন্তত ৫ বছর যেন এই নির্দলীয় সরকার থাকে তা নিশ্চিত করা। এজন্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে বশে আনা। যারা এব্যাপারে একমত হবে না, তাদের দমন করা, দ্বিতীয়ত; আওয়ামী লীগ, বিএনপির বাইরে রাজনীতিতে একটি তৃতীয় ধারা তৈরী করা। নির্দিষ্ট করে, দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে হটিয়ে দেয়া। তৃতীয়ত; আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়। চতুর্থত: দুর্নীতি বিরোধই অভিযানের মাধ্যমে জন আস্থা অর্জন, পঞ্চমত: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা।

দ্বিতীয় সপ্তাহে জেনারেল মঈন দুর্নীতি বিরোধই টাস্ক ফোর্স গঠন করেন। এই অভিযানে যারা নেতৃত্ব দেবেন সেই সব সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন সেনা সদর হলে। দুই ঘণ্টার এই বৈঠকে জেনারেল মঈন দুর্নীতি বিরোধই অভিযান কেন গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করেন। দুর্নীতিকেই তিনি দেশের এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন। বলেন ‘দুর্নীতি সমূলে উৎপাটন না করতে পারলে, বাংলাদেশের জনগণ উন্নত জীবন পাবে না।’ বক্তব্যের পর ডিজিএফআই প্রণীত শীর্ষ দুর্নীতিবাজদের একটি তালিকা সেনা কর্মকর্তাদের হস্তান্তর করেন। এসময় জেনারেল মঈন, এব্যাপারে সেনা কর্মকর্তাদের মতামত জানতে চান। এসময় একজন মেজর জেনারেল (পরবর্তীতে তিনি সেনা প্রধান হয়েছিলেন) বলেন ‘এই তালিকায় তারেক জিয়ার নাম নেই। বাংলাদেশে এখন দুর্নীতির প্রতীক হলো তারেক জিয়া এবং তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। অথচ শীর্ষ দুর্নীতিবাজদের তালিকায় তারেকের নাম নেই। তারেক জিয়াকে না ধরে বাংলাদেশে কোন দুর্নীতি বিরোধই অভিযান সফল হতে পারে না।’ এরপর একে একে সেনা কর্মকর্তারা তারেক জিয়া, কোকো, মামুনের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির ফিরিস্তি দিতে থাকেন। সেনা সদরে তারেক জিয়াকে নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে জেনারেল মঈন বলেন ‘তারেক জিয়া কেন দুর্নীতি করলে কেউ ছাড় পাবে না।’ সেনা কর্মকর্তারা অবিলম্বে তারেক জিয়ার নাম অন্তর্ভুক্তের দাবী জানান। মঈন তাতে সম্মতি দেন। অন্যভাবে বলা যায়, সম্মতি দিতে বাধ্য হন। তবে, তারেক জিয়াকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্তে সবচেয়ে খুশী হন একজন উপস্থিত সেনা কর্মকর্তা। তিনি হলেন মেজর জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। যদিও জেনারেল মাসুদ ছিলেন তারেকের আত্মীয়। কিন্তু তারেকের কারণেই তিনি সেনা প্রধান হতে পারেননি বলে গুঞ্জন ছিলো। মাসুদ বললেন ‘মামুনকে ধরলেই তারেকের সব তথ্য পাওয়া যাবে।’

আগামীকাল পর্ব ১৪: মামুনকে গ্রেপ্তার করে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭