ইনসাইড বাংলাদেশ

আশরাফই শেষ কথা?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 05/09/2017


Thumbnail

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসন বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে। ১৯৯৬ সাল থেকে টানা চার মেয়াদের সাংসদ হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। শুধু তাই নয়, ১৯৭০ সালের নির্বাচন থেকেই এ আসন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। দেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম থেকে শুরু করে প্রায় সব নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই এ আসনে জয়ী হয়েছেন।

গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে সৈয়দ আশরাফই এখানকার শেষ কথা। আগামীতেও তাই হবে-এমন নিশ্চিয়তা দেওয়া যায় না। কারণ আগামী সংসদ নির্বাচনে সৈয়দ আশরাফ অংশগ্রহণ নাও করতে পারেন।
বিষয়টা অবশ্য ইতিবাচকই। কারণ তিনি হতে পারেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। আর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে এই সংসদের মেয়াদ শেষ হবার আগেই। অর্থাৎ সৈয়দ আশরাফ রাষ্ট্রপতি হলে এখানকার মনোনয়ন নিয়ে এত বছর পর নতুন করে ভাবতে হবে আওয়ামী লীগকে।

এদিকে কথার পিঠে কথা হোক আর যাই হোক, সৈয়দ আশরাফকে এই আসনে শেষ কথা বলে মানতে রাজি নয় স্থানীয় বিএনপিও। আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দী বিএনপির দাবি, আসনটি মূলত তাদেরই। তাদের অন্তকোন্দলকে কাজে লাগিয়ে এখানে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয় আওয়ামী লীগ। আর এই কোন্দলে ধানের শীষের টিকিটপ্রত্যাশী এখানে অনেক।

এত মনোনয়নপ্রত্যাশীকে সামলাতে এবং আশরাফের বিপরীত হিসেবে তাই কেন্দ্র থেকে বিএনপিও হেভিওয়েট প্রার্থী পাঠাতে পারে বলে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। অবশ্য স্থানীয় বিএনপি কেন্দ্রের ‘আরোপিত’ প্রার্থীকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয়। তবে শেষ পর্যন্ত নৌকা নিয়ে আশরাফ না এলে বিএনপিও কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ দিয়ে কাউকে পাঠাবে না বলে জানা গেছে। অর্থ্যাৎ সবমিলে এই আসনে অন্তত প্রধান দুই দলেই প্রার্থী নির্ধারণ নির্ভর করবে আশরাফ ইস্যুতে। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামকে প্রয়োজনে প্রার্থী করে পাঠাতে পারে দল।

এদিকে বিএনপির স্থানীয় নেতারাও কৌশল আঁটছেন নিজেদের মতো করে। তাঁরা মনে করেন- সৈয়দ আশরাফ টানা দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, সে কারণে কেন্দ্রকে নিয়েই বেশি ভাবতে ও সময় দিতে হয়েছে তাঁর, তাছাড়া মন্ত্রীত্বের কাজতো আছেই, সর্বপরি আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে সাধারণ মানুষের বা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দূরত্ব অনেক বেশি। এই বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরে, এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চায় বিএনপি।

অবশ্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের মতে, টানা দুই মেয়াদ তাদের দল সরকারে থেকে জেলা শহর ও গোটা হাওরাঞ্চলসহ ১৩ উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। তাই এই আসনটি আওয়ামী লীগই পাবে। এমনকি সৈয়দ আশরাফ প্রার্থী হতে না পারলেও আওয়ামী লীগই আসনটি পাবে।

এদিকে বিএনপির স্থানীয় অনেক নেতাই দলীয় মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন কেন্দ্রে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হিলালী, সদর উপজেলা সভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু, সাবেক পৌর মেয়র আবু তাহের মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আ ঈ ম ওয়ালি উল্লাহ রব্বানী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া, অসীম সরকার বাঁধন, বিএনপি কেন্দ্রীয় তথ্য সেলের অন্যতম পরিচালক ক্যাপ্টেন (অব.) সালাহ উদ্দিন আহমেদ সেলু, যুগ্ম সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেলসহ অনেকে।

বাংলা ইনসাইডার/এমএএম/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭