ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজনীতিতে রোহিঙ্গা ইস্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 06/09/2017


Thumbnail

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক রাজনীতি অনেক বেশি ঢুকে পড়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশকে খুব সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মতে, বানের জলের মতো রোহিঙ্গা স্রোত বাংলাদেশে ঢুকতে দিলে এই সমস্যার আপাতত সমাধান হতো বটে। তবে স্থায়ী সমাধানের দিকে যাওয়া হতো না। তার চেয়ে বাংলাদেশ তাদের প্রতি মানবিক থেকে খাদ্য, চিকিৎসা ইত্যাদি দিয়ে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে, এটাই ভালো হয়েছে। কারণ এর ফলে বিষয়টির বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরেও পড়ছে। তারা এই নিয়ে কথাও বলছে। মিয়ানমারকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষাভাবে চাপে রাখতেও চাইছে তারা। এর ফলে সমস্যার সমাধান না হলেও সমাধানের দিকে এগুচ্ছে। তবে যতটুকু এগুচ্ছে, ততটুকুই স্থায়ী সমাধানের দিকে এগুচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে দলমত নির্বিশেষে একমত থাকতে হবে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের সেন্টিমেন্ট নিজেদের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টায় রাজনৈতিক বক্তব্য না দেওয়ার পরামর্শ দেন তারা। কারণ এর ফলে শুধু বাংলাদেশের ক্ষতি হবে তা নয়, রোহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্যয়ও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর মেয়াদী হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে।

এ প্রসঙ্গে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির অবস্থানের বিষয়েও দ্বিমত পোষণ করেন তারা। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিএনপির পরামর্শ মেনে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঢুকতে দিলে বর্তমান বিশ্ব সম্প্রদায় যেটুকু কথা বলছে বা মিয়ানমারকে চাপ দিচ্ছে তাও দেবে না। কারণ সমস্যটি দৃষ্টির আড়ালে চলে যাবে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিষয়টিকে বিএনপি গভীরভাবে দেখছে না। তাদের হাতে কোনো ইস্যু নেই । তাই ইস্যু খরা কাটাতে বলার প্রয়োজনে কথা বলে যাচ্ছে দলটি।

তারা বলছেন, জন্ম থেকেই বিএনপি রোহিঙ্গাদের দলে ভিড়িয়ে রাজনীতি করেছে। সঙ্গে আছে জামায়াত। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা রোহিঙ্গাদের ভোটার বানিয়ে ‘ভোট ব্যাংক’ তৈরির চেষ্টা করছে। অর্থের বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়ি তোলার সুযোগ করে দিচ্ছে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট করে দিয়ে বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায় ব্যবহার করছে রোহিঙ্গাদের। তবে এসব অপকর্মে যখন যে দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকে, সে দলের স্থানীয় নেতারাই একাট্টা।

কুটনৈতিক পর্যবেক্ষরা বলছেন, পাকিস্তানের নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের মিয়ানমার বিষয়ক দূত ইয়াংহি লি আহ্বান জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিরুদ্ধে অং সান সু চি যেন সরব হয়। তবে সুচি এখন জান্তাদের পক্ষে। আর এপারের শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গাদের উপর চলমান অমানবিক-নিষ্ঠুর নির্যাতনে বিষয়ে নীরব। যদিও মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা চট্টগ্রামে তাঁর জন্ম। রোহিঙ্গাদের দু:খ-দুর্দশার কথা তিনি অনেক বেশি অনুধাবন করতে পারার কথা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির অবস্থান বিষয়েও কথা বলেন তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বিষয়ে বিভিন্ন মহলে ড. ইউনূসের সমালোচনা হলেও বিএনপি কিছু বলছে না। এর কারণ হিসেবেও রাজনৈতিক ‘ক্ষুদ্র’ দৃষ্টিভঙ্গিকে দেখেন বিশেষজ্ঞরা।


বাংলা ইনসাইডার/এমএএম/জেডএ




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭