নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 26/01/2021
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে কি মহানগরীতে একক নেতা হিসেবে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল? চট্টগ্রামের রাজনীতিতে নির্বাচনের আগে এই প্রশ্ন উঠেছে। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের যে ফলাফলই হোক না কেন, নওফেল যুগের সূচনা হবে চট্টগ্রাম মহানগরীতে। তার পিতা প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগরীর অবিসংবিদিত এবং একক নেতা ছিলেন। শেষ দিকে তার প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছিলেন আ.জ.ম নাছির। গত সিটি নির্বাচনে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে বাদ দিয়ে আ.জ.ম নাছিরের হাতেই নৌকা প্রতীক তুলে ধরা হয়েছিল। মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর মহানগরীতে ‘একক’ নেতা হিসেবে দাড়ান আ.জ.ম নাছির। কিন্তু মহিউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র নওফেল চৌধুরীকে আওয়ামী লীগ সভাপতি, একক উদ্যোগে রাজনীতিতে শক্ত ভিত্তি গড়ে দেন। আওয়ামী লীগের গত কমিটিতে শেখ হাসিনা নওফেলকে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। গত নির্বাচনে মহিবুল হক চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়, নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের মন্ত্রীসভায় উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান নওফেল। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি নওফেলকে মেয়র পদে প্রার্থী করার বিষয়টি ভেবেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতির সাথে দেখা করে এব্যাপারে ক্ষমা চান নওফেল। আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী মহিউদ্দিন পন্থী হিসেবে পরিচিত। ভালো ও সজ্জন মানুষ মেয়র নির্বাচিত হলেও মহানগরীতে কর্তৃত্ব করবে না, এটি নিশ্চিত। রেজাউল মেয়র নির্বাচিত হলে চট্টগ্রাম মহানগরীর নেতৃত্ব তাই নওফেলের কাছেই যাবে। কারণ একদিকে মেয়র পদ হারানো, তার বিরুদ্ধে পক্ষের মেয়র হওয়া এবং দলের নীতি নির্ধারকদের আস্থাভাজন না হওয়ার কারণে সংকটে পরবেন আ.জ.ম নাছির। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নির্বাচনে যে ফলাফলই হোক না কেন, সংকটে পরতে যাচ্ছেন আ.জ.ম নাছির। ফলে চট্টগ্রাম মহানগরীতে নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। মহিউদ্দিন চৌধুরীর পুত্রের হাতেই যেতে পারে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব। কিন্তু রাজনীতি এমন, এখন বিজ্ঞান যেখানে আগাম পূর্বাভাস দেয়া কঠিন।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭