ইনসাইড বাংলাদেশ

ভ্যাকসিন আতঙ্ক কাটাবেন কীভাবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 28/01/2021


Thumbnail

বাংলাদেশে ট্রায়াল পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সাড়ে ৩ টায় প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্বোধন করেছেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন যুগে প্রবেশ করলো। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, যখন বাংলাদেশ করানো সংক্রমণ শুরু হলো তখন মানুষের মধ্যে আগ্রহ-উদ্দীপনা ছিল যে, কবে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হবে, কবে আসবে সেই আগ্রহ-উদ্দীপনা এখন অনেকটাই নেই। এর কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করছেন যে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে সময়ের সাথে মানুষের মধ্যে এক ধরনের অনীহা তৈরি হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা জরিপে দেখা গেছে যে, ৫২ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন এর প্রতি অনাগ্রহী। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্বোধনী কার্যক্রম সম্পন্ন হলো, পাঁচটি হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেয়া হলো। ইতিমধ্যে দুইজন মন্ত্রী এবং একজন সচিব ভ্যাকসিন নিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এর ফলে মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন নেয়ার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।

তবে দেখা যাচ্ছে যে, এত সহজে ভ্যাকসিন এর প্রতি মানুষের অনীহা কাটবে না। এর কারণ, মানুষ প্রায় গত একবছর করোনাভাইরাসের সঙ্গে বসবাস করেছে। করোনাভাইরাস বাংলাদেশে সেইরকম ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারেনি। বরং এটা একটা স্বাভাবিক রোগের মত ছিল। এর ফলে মানুষ করোনাভাইরাসের সঙ্গে বসবাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। এর ফলে মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহণের আগ্রহটা খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভ্যাকসিন নিয়ে নানারকম অপপ্রচার, ভয়-ভীতি ইত্যাদি প্রচার করা হচ্ছে। যার ফলে মানুষের মধ্যে গুজব ছড়াচ্ছে এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।

ভ্যাকসিন গ্রহণে মানুষের যে অনীহা বাড়ছে সেটি বন্ধ করার জন্য যারা নীতিনির্ধারক রয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রয়েছেন তাদেরকে ভ্যাকসিন দিতে হবে এবং এটা দৃশ্যমানভাবে দেখাতে হবে। যেমন- দুইজন মন্ত্রী এবং একজন সচিব বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) ভ্যাকসিন নিয়েছে, এতে মানুষ কিছুটা আশাবাদী হয়েছে। এভাবে আরও অনেক মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধিদের যদি ভ্যাকসিন দেয়া হয় তাহলে মানুষ আরও বেশি আশাবাদী হবে।

দেশের সেলিব্রিটিদের আমরা প্রায়ই দেখি যে নির্বাচন হলে তারা প্রচার প্রচারণায় অংশ নেয় এবং বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তারা অংশগ্রহণ করে। এই সেলিব্রিটিরা যদি নিজেরা ভ্যাকসিন নেয় এবং ভ্যাকসিন নিতে মানুষকে উৎসাহী করে তাহলে মানুষের মধ্যে যে অস্বস্তি, অনীহা আছে সেটি কমে যাবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন যে, ক্রিকেটারদেরকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।

একদিকে দেশের সেলিব্রেটিরা, ক্রিকেটাররা যদি ভ্যাকসিন নেয় তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন দেয়ার প্রবণতা এবং আগ্রহ তৈরি হবে। অন্যদিকে, সরকার যদি ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার হচ্ছে তা বন্ধ করে ভ্যাকসিনের পক্ষে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালায় তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে ভ্যাকসিনের উপকারিতার বার্তা পৌঁছে যাবে।সরকার যদি ভ্যাকসিন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন এবং উৎসাহী করতে পারে, তাহলে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণে একটি সারাবিশ্বে একটি অনন্য নজির হবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭