ইনসাইড পলিটিক্স

বিদ্রোহীদের নিয়ে দ্বৈত অবস্থানে আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 09/02/2021


Thumbnail

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যারা দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন, তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। শুধু বিদ্রোহী প্রার্থী নয়, বিদ্রোহীদের মদদ দাতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের পরাজিত করে যারা বিজয়ী হয়েছে, তাদের বরণ করে নেয়া হচ্ছে। তারা আওয়ামী লীগে আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ছিলো বিদ্রোহী প্রার্থী। আওয়ামী লীগের নেতা মাহাবুবুল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, এস.এম. কামাল, বিপ্লব বড়ুয়া ছুটে গিয়েছিলেন চট্টগ্রামে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিষ্ক্রিয় করতে। কিন্তু তাদের অব্যাহত তৎপরতার পরও ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে বিজয়ী হন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এদের মধ্যে আটজনই আ.জ.ম নাছিরের সমর্থক। বিজয়ী হবার পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, তাদের এখন বরন করে নেয়া হচ্ছে। যে সব ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থীরা জিতেছেন, তাদের ওয়ার্ডে সম্বর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত থাকছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে যারা পরাজিত হয়েছেন, তারা যেন পালাবার পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। এরকম একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন ‘আওয়ামী লীগের নেতারা বললেন, নির্বাচনে দাড়াতে। দাঁড়ালাম। চট্টগ্রামের নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থী দাড় করিয়ে আমাকে হারিয়ে দিলো। এখন বিদ্রোহী প্রার্থী এবং তার ক্যাডারদের অত্যাচারে আমি এলাকা ছাড়া। এখন নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থীকে মালা দিচ্ছে, আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

শুধু চট্টগ্রাম নয়, সারাদেশে একই চিত্র। ‘বিদ্রোহী প্রার্থী জিতলে আমার হারলে বহিষ্কার।’ আওয়ামী লীগ কার্যত: এই নীতি অনুসরণ করে চলছে। এর ফলে, এক নতুন সংকটে পরেছে দলটি। বিদ্রোহী প্রার্থীরা এখন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া নয়, বরং জেতার জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নামছে। তারা মনে করছে যদি শেষ পর্যন্ত জিতে যাই, তাহলে সাত খুন মাফ। আর হারলে রাজনীতি শেষ। একারণে আওয়ামী লীগকে হারাতে তারা আরো মরিয়া হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা বলেছেন, বিজয়ী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে, পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। তারা মনে করছেন, একজন প্রার্থী তখনই বিদ্রোহী হন, যখন তার পেছনে মদদ থাকে এবং তার প্রভাব থাকে। কাজেই তাকে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি না দেয়া হলে বিদ্রোহ এবং অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটানো সম্ভব হবে না।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭