ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা সেনা কর্মকর্তাদের বললেন, একটাকেও ছাড়বো না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 10/02/2021


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গ্রেপ্তারের ঠিক দেড়মাস পর গ্রেপ্তার হন বেগম জিয়া। বেগম জিয়া ছিলেন সর্বশেষ ক্ষমতাসীন দলের নেতা, প্রধানমন্ত্রী। তার এবং তার পুত্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা গল্প-কাহিনী ছিলো মানুষের মুখে মুখে। কিন্তু তার (বেগম খালেদা জিয়া) গ্রেপ্তারের আগেই শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার, তত্বাবধায়ক সরকারের লক্ষ্য এবং সততা প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল। তত্বাবধায়ক সরকার অবশ্য শেখ হাসিনা আর বেগম জিয়ার ব্যাপারে ভিন্ন কৌশল নিয়েছিল। সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য ছিলেন আসলে তত্বাবধায়ক সরকারের মূল চালিকা শক্তি, তারা মাইনাস ফর্মুলা বাস্তবায়নের কৌশল হিসেবে শেখ হাসিনাকে আগে গ্রেপ্তার করেছিলেন। তারা ভেবেছিলেন, শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করলে আওয়ামী লীগের জন্য শেখ হাসিনাকে মাইনাস করা সহজ হবে। অন্যদিকে খালেদা জিয়াকে রেখেই বিএনপির ভাঙ্গন দ্রুত এগুচ্ছিলো। বিএনপি মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বেগম জিয়ার নেতৃত্বকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। বিএনপিতে খালেদার পক্ষে যারা ছিলেন, তারা হয় আটক অথবা পলাতক। বেগম জিয়াকে গ্রেপ্তার বিলম্বের আরেকটা কারণ ছিলো তার সাথে সমঝোতা। তত্বাবধায়ক সরকারের একটি অংশ মনে করেছিল, খালেদা জিয়ার সঙ্গে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা সহজতর হবে। তিনি যেহেতু ক্যান্টনমেন্টে থাকেন, তাই সেখানে তার সঙ্গে কথাবার্তা বলা অনেক স্বাচ্ছন্দ্যের। কিন্তু বেগম জিয়া কিছুতেই তারেক জিয়ার ব্যাপারে নূন্যতম ছাড় দিতে রাজী ছিলেন না। আগস্টে বেগম জিয়াকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল যে, তারেক কে বাদ দিয়ে তিনি এবং কোকো দেশের বাইরে চলে যাবেন। কিন্তু বেগম জিয়া তারেকের ব্যাপারে অনড় থাকায় সমঝোতার উদ্যোগ ভেস্তে যায়। এসময় বেগম জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে কিছু চাঞ্চল্যকর দুর্নীতির তথ্য প্রমান আসে সেনা গোয়েন্দাদের হাতে। এই বাস্তবতায় বেগম জিয়া ও তার ছোট ছেলে কোকোকে গ্রেপ্তারের কোনও বিকল্প ছিলো না মঈন ইউ আহমেদের হাতে। ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর বেগম জিয়ার মঈনুল রোডের বাসায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। বেগম জিয়ার মূল ফটকে বেল বাজানোর দীর্ঘক্ষণ পর বেরিয়ে আসেন বেগম জিয়া। এসময় যৌথ বাহিনীর কর্মকর্তারা তাকে এবং তার পুত্রকে নিয়ে যেতে চাইলে, বেগম জিয়া চ্যালেঞ্জ করেন। ওয়ারেন্ট চান। এক পর্যায়ে ক্ষুদ্ধ খালেদা জিয়া মঈন ইউ আহমেদের সঙ্গে কথা বলতে চান। যৌথ বাহিনী কোকোকে গাড়িতে ওঠালে, বেগম জিয়া ক্ষোভে ফেটে পরেন। তিনি বলেন ‘আমি তোমাদের চেহারা ভুলবো না। একটাকেও ছাড়বো না। সব গুলোকে দেখে নেবো।’

আগামীকাল পর্ব-৩৩: কোকোর মাদক সমস্যা।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭