ইনসাইড থট

আমরা আপনাদের কার্যক্রমের অডিট চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 21/02/2021


Thumbnail

যারা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন এবং যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দল, বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলের কার্যক্রমের অডিট দেখার দায়িত্ব আমাদের এবং এই অডিট আপনাদের দিতে হবে। অডিট বলতে আমাদের দেশে সকলেই বোঝায় যে কত টাকা নিলেন কোনও সরকারি অফিস বা মন্ত্রনালয় বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সেই টাকা পয়সাগুলি আইনমাফিক খরচ হয়েছে কিনা সেটি জানানো হয় এবং অডিটররা আসেন। সেটা জনগণের বিষয় না। আমার সেই অডিটের কথা বলছি না।  আমরা বলছি কার্যক্রমের অডিটের কথা। যেমন মহামান্য রাষ্ট্রপতি তার দায়িত্ব যে সঠিকভাবে পালন করছেন সেটা জনগণের কাছে স্পষ্ট।  আমরা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে সেটা খুব পরিস্কারভাবে বুঝতে পারি। 

তারপরে যদি বলা হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অন্ততপক্ষে প্রতিদিন ১৬ ঘন্টার কমে নয়, বিভিন্ন প্রকারের কাজ করেন, এগুলো তার বক্তব্য থেকে তার লেখা থেকে এবং তার বিভিন্ন কার্যক্রম থেকে আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি। সুতরাং তার অডিটও অত্যন্ত পরিস্কার। কিন্তু তার পরে যদি যাই তাহলে প্রথমে আমি সরকারে আসি।  সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয় তাদের কার্যক্রম কিভাবে চালাচ্ছেন সেগুলির কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো জনগণের জানার অধিকার আছে।  কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানাবেন।  এটাই গ্রহণযোগ্য কিন্তু তাদের কার্যক্রমের অডিট আজ পর্যন্ত, জনগণের যেটুকু অন্তত জানার অধিকার সেটা আমরা জানতে পারছি না।  যেমন, সরকারের ওপরে যখন বিভিন্ন চাপ আসে অর্থাৎ তারা চাপে ফেলেতে চান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যিনি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক এবং তিনি এই করোনাকাল থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক উন্নতিসহ প্রতিটি কাজ সুন্দরভাবে করছেন। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই যারা তাকে পছন্দ করেন না অথবা যারা বিভিন্ন কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে চান তারা আক্রমণ করেই যাবে।

এখানে একটি কথা বলা প্রয়োজন যে, যারা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আছেন বা দলে আছেন তারা মনে করেন বিরোধীদল বলতে কেবল বিএনপিকেই বােঝায়। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণ। সঠিক ধারণ হচ্ছে, বাংলাদেশে বর্তমানে কমবেশি যাই হোক না কেনও জনগণ দুইটি ভাগে বিভক্ত। একটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী এবং তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদর্শিত পথের অনুসারী।  আর অন্যটি হচ্ছে সামগ্রিকভাবে সকলে।  এখানে কোনও দলকে আলাদা করার কিছু নেই। 

মননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক পদক্ষেপের কারণেই আমরা এগিয়ে আছি।  কিন্তু নাম্বারের দিক থেকে অবশ্যই যারা এই আদর্শের বিপরীতে আছেন তারা খুব একটা পিছনে নেই। বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে এবং বিদেশে তাদের যোগাযোগ এবং তারা বিভিন্ন জায়গায় লবি সৃষ্টি করার ব্যাপারে অবশ্যই আওয়ামী লীগের কাছাকাছি অবস্থান করছে।  তার প্রমাণ হলো ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে তারা আক্রমণ করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বব্যাপী সকলের যে ধারণা সেই ধারণাতে কিভাবে পরিবর্তন করা যায় তার জন্যে কাজ করে চলেছেন। তাহলে যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কেবিনেট এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজ করছেন তাদের দায়িত্ব হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি ব্যাপারে যখন কোনও বক্তব্য ওঠে সেই বক্তব্যটি প্রয়োজনবোধে একসাথে বসে তার কি উত্তর হবে সেটি ঠিক করা। উত্তরগুলা এলোমেলোভাবে না দিয়ে সঠিকভাবে প্রতিটি জিনিষকে নির্দিষ্ট করে উত্তর দিতে হবে। 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যারা আক্রমণ করে তারা এতো কাঁচা না।  যাতে বিশ্ববাসী এবং আমাদের জনগণও সেটাকে বিশ্বাস করে সেইভাবেই তারা করে।  সুতরাং এর উত্তর খুব সুনির্দিষ্ট হতে হবে এবং সকলে মিলে বুঝে করতে হবে। এটা করলেই আমরা জনগণরা যে অডিটটি চাই সেটি পেয়ে যাবো। 

এবার দেখলাম আল জাজিরায় যে একটি মিথ্যা এবং ২০-২৫ বছরের ঘটনা একসাথে এডিট করে একের পর এক তারা মিশিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলো সেইটার সঠিকভাবে উত্তর একমাত্র বাংলা ইনসাইডারের সৈয়দ বোরহান কবীর ছাড়া আর কেউ ওইভাবে দেয়নি।  এখন কিছু কিছু লেখা শুরু হয়েছে ঠিকই কিন্তু তারা বলছেন লেখা প্রয়োজন তারা নিজস্বভাবে কোনও কিছু দিচ্ছেন না।  আর যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহকর্মী তারা মনে হয় এই ঘটনার পরে ঢালাওভাবে একটি বক্তব্য দিয়ে মুখে টেপ লাগিয়ে বসে রয়েছেন।  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন এই সমস্ত সহকর্মী দ্বারা কাজ হবে না তাহলে আমাদের ট্যাক্সের টাকায় তারা বিভিন্ন সুযোগসুবিধা ভোগ করবেন সেই বিষয়ে অবশ্যই আমাদের অডিটের প্রয়োজন আছে।

জননেত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় ক্ষমতার উৎস হচ্ছে প্রান্তিক সমর্থকগোষ্ঠি।  যারা গ্রামে-গঞ্জে আছে, যারা তেমন কিছু দল থেকে বা রাষ্ট্র থেকে পায় নি। তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রদর্শিত পথে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের কোনও বিনিময়ের দরকার হয় না।  

আমার প্রশ্ন হচ্ছে যারা দলের বিভিন্ন পর্যায়ে আছেন হঠাৎ করে তাদের মুখে কেনো টেপ পড়লো।  এটা তো গ্রহণযোগ্য নয়। তাদেরও অডিট করতে হবে। সুতরাং আমি দাবি করছি যে, যারা এইভাবে দলের বিভিন্ন পদে আছেন তাদের কাজেরও একটি অডিট হওয়া প্রয়োজন। অডিটের একটি অংশ জনগণের জন্য, তার দাবিদার অবশ্যই আমরা এবং একটি অংশ দলের প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। সুতরাং অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং দলীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলের অডিট প্রকাশিত হবে সেটাই আমরা আশা করি। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭