কালার ইনসাইড

ওটিটি বনাম প্রেক্ষাগৃহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 27/02/2021


Thumbnail

সময়ের স্রোতে ভাসতে ভাসতে আজ আমরা এক উন্নত প্রযুক্তির পৃথিবীতে এসে পৌঁছে গেছি। যেখানে সবার হাতে এখন মুঠোফোন সেই সাথে ইন্টারনেট। চাইলেই যখন খুশি যে কোন জায়গায়, যে কোন পরিস্থিতিতে বিনোদনের স্বাদ উপভোগ করতে পারি। সুতরাং বলতেই পারি বিনোদনের চাবিকাঠি আজ হাতের মুঠোয় ধরা দিয়েছে। আর এই ডিজিটাল মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে আর এক ডিজিটাল প্লাটফর্ম নাম ওটিটি।  ওটিটি এমন একটি প্রচার মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে যাতে মুক্তি পেতে শুরু করেছে নব নির্মিত নাটক, সিনেমা, সিরিয়াল নাটকসহ আরো অনেক অনুষ্ঠান। খুব অল্প সময়ে মাধ্যমটি বেশ জনপ্রিয়তার সাথে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে গেছে। তাছাড়া অনেকেই এই মাধ্যমটির জন্যই কন্টেন্ত তৈরী করছেন। তবে ওটিটি মাধ্যমে সিনেমা মুক্তি শুরু হয়েছে করোনার কারণে। এর আগে এই মাধ্যমে শুধু ধারাবাহিক নাটক বা পুরনো সিনেমাই দেখানো হতো।

ওটিটি মাধ্যমে সিনেমা মুক্তির সূচনা হয় ২০২০ এর করোনা সময়ে। সারা বিশ্বে করোনার মহামারির কারনে সকল প্রেক্ষাগৃহে ঝুলেছে তালা। এর মাঝে প্রযোজক, পরিচালকদের হাতে নব নির্মিত সিনেমা। সিনেমার প্রচারণা শেষ করে মুক্তির অপেক্ষায় কতদিন আর বসে থাকা যায়। দর্শকের চাহিদা কি অনিশ্চিত এই করোনার সময়ের মাঝে ধরে রাখা সম্ভব হবে! এমন সংশয় থেকেই আসলে ওটিটি মাধ্যমে সিনেমা মুক্তির প্রথা চালু হয় হলিউডে ডিজনির `স্কুবি ডু` সিনেমা মুক্তির মধ্য দিয়ে। এর পর বলিউডেও দেখা যায় একই ঘটনা ঘটতে। একে একে কয়েকটি সিনেমা মুক্তির খবর পাওয়া গেল বলিউডের। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে প্রেক্ষাগৃহ গুলোর হবে? নতুন উদ্দ্যমে যারা আবার হল নির্মান শুরু করেছেন, অনেকে নতুন করে সংস্করণ করেছেন তাদের তো তবে পথে বসতে হবে। একে তো দিন দিন সিনেমার অভাব দেখা দিচ্ছে তার উপর যদি এমন হয় তবে আর উপায় কি?

তবে অনেকেই বলছেন ওটিটি শুধু সময়ের চাহিদা ছিল। প্রেক্ষাগৃহের জায়গা কখনোই এই প্লাটফর্ম কেড়ে নিতে পারবেনা। আর তাছাড়া বর্তমানে একেকটি সিনেমায় যত বেশি বাজেট ধরা হয় সেই অর্থে ওটিটি মাধ্যম থেকে তেমন একটা লাভ পাওয়া যাবেনা। আবার অনেক নির্মাতা বলছেন, দুটো সম্পূর্ণ আলাদা মাধ্যম। একটা অন্যটার পরিপূরক হয়ে উঠবে বলে মনে হয় না। এখনকার পরিস্থিতিটা একেবারেই সাময়িক। কয়েকমাস পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই ধাক্কাটা ধীরে-ধীরে কাটিয়ে ওঠা যাবে। টেলিভিশন যখন প্রথম এলো লোকে বলেছিল আর কেউ হলে যাবে না। কই তেমনটা তো হয়নি।

যদি এমনটাই হয় তবে আর দুঃশ্চিন্তা কি। এখন সব প্রেক্ষাগৃহ খুলে দেওয়া হয়েছে। নতুন সিনেমা গুলো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথায় শোনা যাচ্ছে সব খানে। সামনে আরো অনেক সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সেগুলোও আশা করা যায় মুক্ত হবে প্রেক্ষাগৃহের মাধ্যমে। সবাই তাই এমনি চাওয়া দুটো মাধ্যম যেন নিজেদের মতো করে সমান্তরাল পথে চলে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭