ইনসাইড বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগের নূরু রাজাকার কলঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 04/03/2021


Thumbnail

দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ জাতির পিতার আদর্শের দল, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে নেতৃত্বদানকারী দল। জাতির পিতা স্বাধীন সর্বভৌম বাংলাদেশে রাজাকারদের বিচার করেছিলেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করা নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং ধর্মভিত্ত্বিক রাজনীতি নিষিদ্ধের বিধান সংবিধানে সংরক্ষণ করেছিলেন। 

দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথে হাঁটতে পারেনি। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে নানা রকম সমঝোতা এবং আপোস রফা করতে হয়েছে। সেই রকম একটি ধারায় বিভিন্ন স্থানে রাজনীতিবিদদের বদলে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, সামরিক-বেসামরিক আমলা এবং নানা রকম মানুষকেই মনোনয়ন দিতে হয়েছিলো। আর সেই ধারায় একাত্তরের রাজাকার মওলানা নূরুল ইসলামকে মনোনয়ন দিয়েছিলো। মনোনয়ন দেয়ার পর জামালপুর থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। বিজয়ী হয়েই তিনি ক্ষান্ত হয়ননি, আওয়ামী লীগের ১৯৯৬ সালের মন্ত্রিসভায় ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এটি আওয়ামী লীগের জন্য বিব্রতকর এবং কলঙ্কিত অধ্যায় কারণ যে দলটি রাজাকার-আলবদরদের বিরুদ্ধে সেই দলের মন্ত্রিসভায় নূরু মওলানার মতো রাজাকার স্থান পায় সেটি নিয়ে সমালোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক।

আওয়ামী লীগ অবশ্য প্রথম দিকে বলার চেষ্টা করেছিলো যে নূরুল ইসলাম রাজাকার নয় কিন্তু পরবর্তীতে সেটি এড়িয়ে যায় আওয়ামী লীগ। আর এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগও রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয়। তবে ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা উল্লেখ করে এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্যমে আওয়ামী লীগ সেই কলঙ্ক থেকে নিজেকে এবং জাতিকে মুক্ত করে।

আগামীকাল: যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে রক্তের পতাকা



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭