কোর্ট ইনসাইড

সামিয়া রহমানের মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 01/04/2021


Thumbnail

একাডেমিক গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ মিথ্যা ও মানহানিকর উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান করা মামলা সিআইডি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দিয়ে আগামী ২০ মে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে বুধবার সামিয়া ওই ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে এ মামলার আবেদন করেন। ওইদিন বিচারক বাদীর জবানবন্দি শেষে আদেশ অপেক্ষমান রাখেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর সামিয়া রহমান এবং ক্রিমোনলজি বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের বিরুদ্ধে প্লেজারিজমের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি শিকাগো জার্নালের ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ই-মেইলের ভিত্তিতে সামিয়া রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সহযোগী অধ্যাপক হতে ডিমোশন দিয়ে সহকারী অধ্যাপক (অবনমিত) দিয়ে যে শাস্তির সুপারিশ করে তা সম্পূন্ন মিথ্যা, ভুয়া ও বানোয়াট এবং সৃজিত। ওই তারিখে শিকাগো জার্নাল থেকে অফিসিয়ালি সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোনো ই-মেইল কখনোই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-মেইলে পাঠানো হয়নি। এলেক্স মার্টিন বলে শিকাগো জার্নালে কেউ কখনো কাজ করেনি। এমনকি শিকাগো প্রেসেও এলেক্স মার্টিন বলে কোনো ব্যক্তি নেই।

সামিয়া রহমান দাবি করেন, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ভুয়া ই-মেইল আইডি তৈরি করে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য দিয়ে মেইলটি করেছিলেন। আর যে ই-মেইলের ওপর ভিত্তি করে তাঁকে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়, সেই ই-মেইলের কোনো সফট কপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে পাঠায়নি।

সামিয়া রহমানের অভিযোগ, বিবাদীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রতারণা বা ঠকানোর/জালিয়াতির অপর কোনো ব্যক্তির পরিচয়/ছদ্মবেশ ধারণ করে তার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ করেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া ও অপর শিহ্মক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের যৌথভাবে লেখা ‘আ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার : আ কেস স্ট্যাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের নিজস্ব জার্নাল সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউয়ে প্রকাশিত হয়। তখন অভিযোগ ওঠে, ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর ১৯৮২ সালে প্রকাশিত ‘দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’ শীর্ষক নিবন্ধ থেকে পাঁচ পৃষ্ঠার মতো হুবহু নকল করেছেন তারা।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭