ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনা, মেরকেল নাকি….

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/09/2017


Thumbnail

বিশ্বজুড়ে সবার চোখ এখন নরওয়ের দিকে। আর মাত্র ক’দিন, তারপরই ঘোষিত হবে নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০১৭। আজ সকালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য গঠিত উপদেষ্টা কমিটি ৩ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা চূড়ান্ত করেছে। যদিও প্রতিবছর, আগস্টে চূড়ান্ত বৈঠক হয়ে যায়, কিন্তু এবছর ১১ সেপ্টেম্বর নরওয়ের পার্লামেন্ট বা STORTING এর নির্বাচনের কারণে, উপদেষ্টা কমিটি গঠন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে। নোবেল কমিটি প্রভাবশালী সদস্য হলেন এদের পার্লামেন্ট মনোনীত সদস্যরা। উপদেষ্টা কমিটি যে নাম দেবে তা চূড়ান্ত করার জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করে এই পার্লামেন্ট বা STORTING। ৫ সদস্যের প্যানেল নোবেল শান্তি পুরস্কারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। এরা নরওয়ের শিক্ষাবিদ এবং নোবেল কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এই কমিটির ক্ষমতা এতোই যে, তারা উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশকৃত নাম বাদ দিয়ে, অন্যকোনো নামও বিবেচনায় নিতে পারেন। এই চূড়ান্ত নির্বাচক কমিটির সভা ডাকা হয়েছে আগামী ৪ এবং ৫ অক্টোবর। সেখানে আজকের তিনটি নাম থেকে বা অন্যকেনো ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হবে।

অসলোতে নরওয়ের পার্লামেন্টে আজই রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিপীড়ন নিয়ে এক প্রস্তাব পাশ হয়েছে। যেখানে ‘বর্বরতা পরিহার করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য’ মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। নরওয়ের নব নির্বাচিত পার্লামেন্ট (STORTING) ঝুলন্ত। ১৬৯ আসনের পার্লামেন্টে লেবার পার্টি ৪৯টি আসন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলেও কনজারভেটিভ (৪৫) এবং প্রগ্রেস (২৭) এর কোয়ালিশন সরকার, যাদের লিবারেল এবং খ্রিস্টান ডেমোক্রেটরা সমর্থন দিয়েছে। বিভক্ত এই পার্লামেন্ট সর্বসম্মত ভাবে ‘শরাণার্থী’ ইস্যুকে বর্তমান সময়ে ‘শান্তির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

ঐতিহাসিক ভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারে নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এবার শান্তি পুরস্কারে শরণার্থী একটি বড় ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচিত হবে। নোবেল কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা সদস্য এবং ওসলো ইউনিভার্সিটির রেক্টর স্টোলেন সিভেন, ৯ সেপ্টেম্বর এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বলেছেন, ‘শরণার্থী সমস্যা বিশ্ব শান্তির জন্য এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় হুমকি।’ নরওয়ের একাধিক শিক্ষাবিদের সঙ্গে কথা বলে, স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেছে, নাটকীয় কোনো কিছু না ঘটলে, শরণার্থী নিয়ে কাজ করা দুজন ব্যক্তি বা একটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কেউ একজন নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০১৭ বিজয়ী হবেন। শরণার্থী নিয়ে কাজ করা দুই ব্যক্তির একজন হলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যজন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। আর এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান হলো হোয়াইট হেলমেট। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, আজ যে ৫ সদস্যের চূড়ান্ত নির্বাচক কমিটি গঠিত হয়েছে, তাঁদের কাছে উপদেষ্টা কমিটি এই তিনটি নামই পাঠিয়েছে। প্রত্যেকটি নামের সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণী রয়েছে। এই সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে কেন তাঁর নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত এবং তাঁর প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো কী তা উল্লেখ আছে। তবে এই তিনটি নামের কেউ নাকি অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এবছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পাবে তা বোঝা যাবে ৬ অক্টোবর নরওয়ের সময় সকাল ১১ টায়।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭