ইনসাইড টক

`‌‌‌‌‌লকডাউনের ফলে সারাদেশে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে`‌

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 05/04/2021


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, এভাবে লকডাউন দেয়ায় সারাদেশে করোনা সংক্রমণ ছড়াবে। যেহেতু সবাই যার যার মতো করে গ্রামে যাচ্ছেন ফলে শহর থেকে করোনার জীবাণু নিয়ে গ্রামের মানুষের মধ্যে বিস্তার করবে। এতে করে আগে যে ৩১ টা জেলায় করোনা সংক্রমণ ছিলো এখন সেটা সারাদেশে বিস্তার করবে। 

চলমান লকডাউন এবং করোনা পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ। পাঠকদের জন্য ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান

ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত গ্রামের মানুষের করোনা সংক্রমণের অবস্থা কিছুটা হলেও ভালো। কিন্তু এই লকডাউন দেয়ার ফলে সেখানেও আর নিরাপদ থাকলো না মানুষ। শহর থেকে মানুষ গ্রামের ছুটে যাচ্ছেন। ফলে সেখানে তারা আক্রান্ত হবেন। গ্রামে যেহেতু হাসপাতাল একটু দূরে এবং সেখানকার মানুষ একটু কম সচেতন তাই তাদের মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি থাকবে। লকডাউন মানে হচ্ছে সবকিছু বন্ধ করে দেয়া কিন্তু এখন তা দেখা যাচ্ছে না। ঢাকা শহরে বাস কম চললেও বাকি সবকিছুই চলছে সমান গতিতে। ফলে এখন যে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে সেটা বলা মুশকিল। যেহেতু কার মধ্যে করোনার জীবাণু রয়েছে সেটা বোঝা যায় না তাই সবাইকেই নিরাপদ রাখার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বাধ্য করতে হবে। তবে লকডাউনে গ্রামের ছুটি কাটাতে গেলে এই লকডাউনের তেমন ফায়দা হবে বলে মনে হয় না। 

ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, যেভাবে লকডাউন হচ্ছে তাতে করে করোনার সংক্রমণ কমবে না। এভাবে আস্তে আস্তে বেড়ে যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে কমতে শুরু করবে তখন বোঝা যাবে সংক্রমণ কমছে এখন আল্লাহ আমাদের ভরসা। করোনা যেভাবে বাড়ছে সেই পরিস্থিতিতে লকডাউনের ঘোষণা। যে লকডাউনে সবকিছুই চলছে। শুধু নামেমাত্র লকডাউন। আর এখন দেশের আর্থিক যে পরিস্থিতি তাতে করে যাদের আর্থিক সামর্থ আছে শুধু তারাই লকডাউন মানবে, বাকিরা মানবে না। যার ঘরে খাবার নেই সে কিভাবে ঘরে থেকে লকডাউন মানবে।

করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু দেশে করোনা মোকাবেলার সব ধরনের অবকাঠামো, ভালো হাসপাতাল, চিকিৎসা ব্যবস্থা, টিকাদান কর্মসূচি চলমান এবং টিকার ব্যবস্থাও রয়েছে। ফলে আমাদের এখন দরকার হলো সচেতনতা। সচেতন হতে হবে ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য। এ ছাড়া ভ্যাকসিনের বিকল্প হিসেবে তিনটি কাজ অবশ্যই করতে হবে। মাস্ক পড়তে হবে, সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে এবং হাত ধোঁয়াটা চালু রাখতে হবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭