ইনসাইড থট

মানুষ মানুষের জন্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 22/09/2017


Thumbnail

গত বেশ কিছুদিন হলো পত্রপত্রিকার পৃষ্ঠার দিকে আর তাকানো যাচ্ছে না। মানুষের নিষ্ঠুরতার কথা পড়তে ভালো লাগে না। এরকম খবর পত্রপত্রিকায় ছাপা হলে নিজের অজান্তেই চোখ ফিরিয়ে নেই। একাত্তর সালে আমাদের এরকম নিষ্ঠুরতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছিল তখন চোখ ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো উপায় ছিল না। আমাদের চারপাশেই ঘটনাগুলো ঘটেছিল। মনে হচ্ছে সেই দিনগুলো বুঝি আবার ফিরে এসেছে, আমি না চাইলেও আবার সেরকম ঘটনাগুলো দেখতে হচ্ছে, শুনতে হচ্ছে। একজন মা তাঁর মৃত সন্তানের সঙ্গে মুখ লাগিয়ে শূণ্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে এরকম দৃশ্য সহ্য করা কঠিন। কিন্তু এখন আমরা সবাই জানি খবরের কাগজের এরকমই একটা ছবির পেছনে এর চাইতেও ভয়ংকর নির্মম আরও হাজারটি কাহিনী আছে। রোহিঙ্গাদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, মেয়েদের নিপীড়ন, গণ নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে, নারী পুরুষ শিশুদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই ভয়ংকর অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবার জন্য একজন দুজন নয়, চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এত অল্প সময়ে এত বেশি শরণার্থী আর কোথাও প্রাণ বাঁচানোর জন্যে হাজির হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থাকতো। এই মুহূর্তে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা কমে হাতে গোনা পর্যায়ে চলে এসেছে। তাদের বেশিরভাগই সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। বহুদিন থেকে মিয়ানমার এটিই করতে চেয়েছিল তারা শেষ পর্যন্ত এটি করতে পেরেছে। পৃথিবীর মানুষের সমালোচনা কিংবা ধিক্কার এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দিতে পারলে মিয়ানমার তাদের বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত চূড়ান্ত সমাধানই শেষ পর্যন্ত করে ফেলতে পেরেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম চূড়ান্ত সমাধানের কোনো আভাস নেই। ইসরায়েল নামক রাষ্ট্রটি এর সবচেয়ে স্পষ্ট উদাহরণ। জোর করে একটি জায়গা থেকে সব অধিবাসীকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে ইসরায়েল রাষ্ট্রটি তৈরি করা হয়েছে, বিশ্ব বিবেকের তাতে একটি আচড়ও পড়েনি। কাজেই হঠাৎ করে রোহিঙ্গাদের জন্য পৃথিবীর মানুষ ব্যাকুল হয়ে উঠবে আমি একবারও সেটি মনে করি না।

আমার নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছি আমাদের পাশের দেশ ভারতবর্ষের এই রোহিঙ্গা বিপর্যয় নিয়ে কোনো মাথাব্যাথ্যা নেই। চীন এবং রাশিয়া মোটামুটি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে তারা মিয়ানমারের পক্ষে। একাত্তরে যখন বাংলাদেশে গণহত্যা চলছিল, আমাদের চোখের সামনে যখন শুধু মানুষের লাশ এবং লাশ ঠিক তখন আমরা শুনতে পেতাম এটি ‘পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়’ এতদিন পর সেই একই ভাষায় একইভাবে আমরা শুনতে পাচ্ছি-রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়টি হচ্ছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়! ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ আমেরিকা ‘রিফিউজি’ বা শরণার্থী নিয়ে রীতিমতো এলার্জি আছে তাই বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে তাঁদের কোনো গরজ থাকার কথা নয়। নিউইয়র্ক থেকে শেখ হাসিনা সেটা সোজা ভাষায় আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। সদা হাস্যময় মিয়ানমারের জেনারেল সাহেব ইউরোপে খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব-‘তিনি সারা পৃথিবীতে খুবই দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অং সান সুচিকে সাধারণ মানুষজন ইন্টারনেটে একটু গালমন্দ করেছে, চোখ মুখ বন্ধ করে এই সময়টা পার করে দিলেই পৃথিবীর মানুষ এর কথা ভুলে যাবে। আমি প্রত্যেকদিন ইন্টারনেটে বিবিসিতে একবার চোখ বুলিয়ে দেখি, এর মাঝেই প্রত্যেহিক খবরে এখন রোহিঙ্গাদের কোনো খবর নেই! প্রাণ বাঁচানোর জন্য লাখ লাখ নারী শিশু পুরুষের নিজ বাসভূমি ছেড়ে অন্যদেশে আশ্রয় নেওয়ার খবরটির গুরুত্ব বিশেষ অবশিষ্ট নেই। কাজেই মোটামুটি অনুমান করা যায় মিয়ানমার তাঁদের রাখাইন রাজ্যটি মোটামুটি ঝামেলা মুক্ত করে ফেলেছে, সেখানে আর কোনো রোহিঙ্গা নেই। কাজটি করতে হয়তো অনেক সময় লাগতো কিন্তু অনেক দ্রুত করে ফেলা গেছে। রোহিঙ্গাদের চরমপন্থী দল আরসা পুলিশ মিলিটারির ঘাঁটি আক্রমণ করে অল্প কিছু পুলিশ মিলিটারিকে মেরে পুরো কাজটি খুব সহজ করে দিয়েছে। এখন মিয়ানমারের বিশাল মিলিটারি বাহিনী খুবই ‘যৌক্তিক’ ভাবে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা করতে পারছে। এভাবে যে গণহত্যা করা যায় আমরা আমাদের চোখের সামনেই অনেক বার হতে দেখেছি।


শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পাওয়া ভদ্রমহিলা অং সান সুচি সেদিন তাদের টেলিভিশনে একটা বক্তৃতা দিয়েছেন। বক্তৃতায় তিনি কী বলবেন মোটামুটি অনুমান করা যেতো- এবং মোটামুটি সেটাই বলেছেন। একাত্তরে বাংলাদেশে এক কোটি শরণার্থী ভারতবর্ষে আশ্রয় নিয়েছিল, পৃথিবীর বেশ কিছু দেশ যখন সেটা নিয়ে পাকিস্তানের ওপর চাপ দিয়েছিল তখন কোনো এক পর্যায়ে পাকিস্তান মিলিটারি শরণার্থীদের ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছিল। সেই আহ্বান শুনে একজন শরণার্থীও ফিরে যায়নি। কেন যাবে? পাকিস্তান মিলিটারিরাও জানতো সেই ফাঁকাবুলি। শরণার্থীরাও জানতো সেটা ধাপ্পাবাজি। নিজের জীবন নিয়ে কে ধাপ্পাবাজির ফাঁদে পা দেবে? মিলিটারির গুলি খেয়ে মারা যাওয়া থেকে অনাহারে রোগে শোকে কলেরায় মারা যাওয়াটাই তাদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছিল। শরণার্থী ক্যাম্পে তখন প্রায় আট থেকে ১০ লাখ লোক মারা গিয়েছিল।

এবারে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ভদ্রমহিলা পাকিস্তান মিলিটারি থেকে এক কাঠি সরেস। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যাচাই বাছাই করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নেওয়া হবে।’ করার প্রক্রিয়া কী আমরা এখনো জানি না। যাঁরা প্রাণ নিয়ে পালিয়ে এসেছে তাদের কাছে কী কাগজপত্র প্রমাণ হিসেবে আছে আমার জানা নেই। সবচেয়ে বড় কথা এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির কোনো নাগরিক্ত নেই। ব্যাপারটা আমি বুঝতেই পারি না, একজন মানুষ একটি দেশে থাকে কিন্তু সে এই দেশের নাগরিক নয়। দেশের সংবিধানের কথাগুলো লেখা থাকে সেই দেশের নাগরিকের জন্য-কাজেই যারা সেই দেশের নাগরিক নয় তাঁদের জন্য রাষ্ট্রের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। যার অর্থ রোহিঙ্গা শিশু লেখাপড়া করতে পারবে না। অসুস্থ হলে চিকিৎসা পেতে পারবে না। বাসে ট্রেনে উঠতে পারবে না- দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারবে না। সবচেয়ে ভয়ংকর কথা দেশের সুনাগরিকেরা যদি কিছু রোহিঙ্গা কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলে সেটা অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না? রোহিঙ্গা মেয়েরা যেহেতু নাগরিক নয় কাজেই তাদের নিপীড়ন করাও নিশ্চয়ই গুরুতর অপরাধ নয়! যে রাষ্ট্রে কিছু মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয় সেই দেশের সংবিধানটি দেখার আমার খুবই কৌতুহল!

শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পাওয়া ভদ্রমহিলা শরনার্থীদের যাচাই বাছাই করে ফিরে যাওয়ার প্রকিওয়ার কথা বলে অবশ্যি স্বীকার করে ফেলেছেন যে শরনার্থী বলে কিছু একটা আছে। আমি ভেবেছিলাম তিনি সেটাই অস্বীকার করবেন। চীন রাশিয়া এবং ভারতবর্ষ পাশে থাকলে যে কোন মিথ্যে খুব জোর দিয়ে বলা যায়। নাফ নদীর এপার থেকে যখন দেখা যায় রাখাইন রাজ্যের গ্রামে গ্রামে আগুন জ্বলছে তখন আগুনটাকে অস্বীকার করা একটু কঠিন হয়ে যায় তখন রাখাইন রাজ্যের কর্মকর্তারা বলেছে মানুষগুলো নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। এর চাইতে নিষ্ঠুর কৌতুক আর কী হতে পারে!

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ভদ্রমহিলার বক্তব্যের সবচেয়ে চমকপ্রদ বক্তব্য হচ্ছে যে তাদের দেশের মিলিটারিরা সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখের পর আর কিছু করেনি। বক্তব্যটিকে সোজা বাংলা অনুবাদ করলে এরকম শোনাবে ‘আগস্টের ২৪ তারিখ থেকে আমাদের মিলিটারি রোহিজ্ঞাদের নির্বিচারে হত্যা করেছে , মেয়েদের নিপীড়ন করেছে ,বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। রোহিঙ্গারা প্রাণ বাঁচানোর জন্য বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। মোটামুটি সবাইকে যেহেতু তাড়িয়ে দেওয়া গেছে এখন হত্যা করার জন্য আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তাই সেপ্টেম্বরের পাঁচ তারিখ থেকে হত্যা ধর্ষণ বাড়ি জ্বালানো বন্ধ আছে। তবে এই কথাটি মিথ্যা, সেপ্টেম্বরের পাঁচ তারিখের পরেও রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের গ্রাম পোড়ানো হয়েছে, তাদের ওপর হামলা হয়েছে।

সবচেয়ে বড় কথা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ভদ্রমহিলার বক্তব্য শুনে মনে হলো, সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখে মিলিটারি অ্যাকশন বন্ধ করার জন্য তিনি সারা পৃথিবী থেকে এক ধরনের বাহবা কিংবা সম্ভব হলে শান্তির জন্যে দ্বিতীয় আরেকটি নোবেল পুরস্কার আশা করছেন। তা না হলে এতো বড় গলায় এতো বড় একটা মিথ্যা কীভাবে বলা হয়?

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মিয়ানমারে ছুটে গিয়েছিলেন, সামরিক শাসন শেষ হয়ে মিয়ানমার গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে সেই আনন্দে সারা পৃথিবী উদ্বাস্তু হয়ে নৃত্য করেছে। রোহিঙ্গা বিপর্যয়ের কারণে আমরা এখন মিয়ানমারের প্রকৃত গণতন্ত্রের ছবিটা দেখতে পাচ্ছি। তাদের সংসদের শতকরা ২৫ ভাগ সিট মিলিটারিদের জন্যে,শুধু তাই নয় তিনি বিল পাশ করতে হলে শতকরা ৭৫ ভাগ ভোট পেতে হয়। যার অর্থ কোনো বিল পাশ হবে এবং কোনো বিল পাশ হবে না সেটি সেই দেশের মিলিটারি ঠিক করে দেয়। মজা এখানেই শেষ না। সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে মিলিটারি কিন্তু দেশটাকে পৃথিবীর সামনে উপস্থাপন করার জন্য রয়েছে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া সারা পৃথিবীর শ্রদ্ধা এবং ভালবাসায় সিক্ত ফটোজেনিক একজন ভদ্রমহিলা। কি মজা!

আমি দেশ, রাজনীতি, অর্থনীতি কিছুই বুঝি না সাধারণ মানুষের কমনসেন্স দিয়ে সবকিছু বোঝার চেষ্টা করি। একেবারে মৌলিক যে বিষয়গুলো কমনসেন্স দিয়ে বুঝতে হবে সেটি হচ্ছে এই পৃথিবীতে সব মানুষের সম্মাণ নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। পৃথিবীটাকে নানান দেশে ভাগ করা আছে। সব দেশের দায়িত্ব নিজের দেশের মানুষকে সুখে শান্তিতে বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য করা। গায়ের রং মুখের ভাষা কিংবা ধর্মের জন্য কাউকে পছন্দ না হলেই তাঁকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া যাবে না। ইসরায়েল কিংবা মিয়ানমার সেটা করতে পারবে না। তাদের যত বড় খুঁটির জোরই থাকুক। কিনা সেটা অন্যায় সেই কথাটি আমরা উচ্চ কণ্ঠে বলতে পারব। আমার ‘উচ্চকন্ঠ’ আমার চারপাশের মানুষের কান পর্যন্ত পৌছায় কিন্তু একজন নোবেল পুরস্কার পাওয়া মানুষ সেই একই কথা বলেন তখন সেই কথাটা সারা পৃথিবীর বিবেককে নাড়া দেয়। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে যখন বলা হয় এটি হচ্ছে একটা জাতিকে নি:শেষ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া তখন একটুখানি হলেও পৃথিবীর সব মানুষের উপর বিশ্বাস আরও একটুখানি ফিরে আসে।

এর মানে আরও একটি ব্যাপার আছে। পৃথিবীতে বৈচিত্র হচ্ছে সৌন্দর্য। একটা দেশের মানুষের ভেতর যত বৈচিত্র থাকবে সেই দেশটি হবে তত সম্ভাবনাময়। এর সবচেয়ে বড় উদাহরন হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এই দেশে পৃথিবীর সব দেশের, সব জাতির মানুষ রয়েছে, সত্যি কথা বলতে কী এটি একটি বড় দেশ নয়, এটি একটি ছোট পৃথিবী। সে কারণে এই দেশটি এতো উন্নত হতে পেরেছে। এই মূর্হুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য দেশটির প্রকৃত সৌন্দর্যকে অঙ্গীকার করে এটাকে বৈচিত্রহীন দেশে পরিচিত করার চেষ্টা করছে। আমাদের দেশের মানুষের মাঝে বৈচিত্র খুব বেশি নয়, সে জন্যে যে কয়েকজন আদিবাসী বা ভিন্ন কালচারের মানুষ রয়েছে তাদেরকে আমাদের বুক আগলে রাখার চেষ্টা করতে হয়। মিয়ানমারের জন্যেও সেই কথাটা সত্যি, তাদের দেশের শতকরা নব্বইভাগ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মালস্বী, কাজেই যে কয়জন ভিন্ন ধর্মের মানুষ রয়েছে তাদের মূল্যবান সম্পদের মত বুক আগলে রক্ষা করার কথা ছিল। মিয়ানমারের জেনারেলদের সেই সৌন্দর্য অনুভব করার ক্ষমতা নেই, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের কাছে আপদ বালাই। তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে তাদের শান্তি। বলতে কোনো দ্বিধা নেই তারা আধুনিক পৃথিবীর মানুষ এখনো হতে পারেনি। তাদের জন্যে আমাদের করুণা হয়।

বাংলাদেশি হিসেবে আমি অনেক গর্ব অনুভব করি যখন দেখতে পাই আমাদের দেশটি হতভাগ্য রোহিঙ্গাদের বুক আগলে রক্ষা করার জন্যে এগিয়ে এসেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাদের দেখতে শরনার্থীদের শিবিরে গিয়েছিলেন, তখন একজন বিদেশী সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘এই রোহিঙ্গাদের আপনি কতোদিন রাখবেন’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন,‘কতোদিন; এরা সবাই মানুষ পৃথিবীর সবাই লাভ ক্ষতির হিসেব করছে’। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী সেই লাভ ক্ষতির হিসেব করেননি, একেবারে পরিস্কারভাবে বলছেন, তিনি মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭