ইনসাইড ইকোনমি

শেয়ার ধরে রাখা কি সবসময়ই লাভজনক?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 25/09/2017


Thumbnail

 

অনেকেই মনে করেন শেয়ার ব্যবসা  ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে।  ভাগ্য ভালো থাকলে এ ব্যবসায় সফল হওয়া যায় আর ভাগ্য খারাপ হলে লোকসানে পড়তে হয়। তবে সত্যি কথা হচ্ছে এ ব্যবসা অন্য পাঁচটা ব্যবসার মতো নয়। এখানে ব্যবসা করতে হলে শুধু মূলধন থাকলেই চলে না। থাকতে হয় বাজার সম্পর্কে ভালো ধারণা।সঠিক সময়ে সঠিক দামে  শেয়ার বেচা-কেনা করার দক্ষতা। একটু চেষ্টা করলে এটা সব ব্যসায়ীর পক্ষেই অর্জন করা সম্ভব। এজন্য কিছু কৌশল অবলম্বনের সঙ্গে বাজার নিয়ে স্টাডি করতে হবে। যেমন-শেয়ারবাজারে যখন দরপতন হয় বা ধস নামে, তখন বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী হুড়মুড় করে বাজার থেকে বের হয়ে যেতে থাকেন।ব্যস্ত হয়ে পড়েন লোকসানে হলেও হাতে থাকা শেয়ার ছেড়ে দিতে।এতে কি হয়? সেল প্র্রেসারে বাজার আরও পড়ে যেতে থাকে। আর বুদ্ধিমান বিনিয়োগকারীরা তখনই কোম্পানি বিশ্লেষণ করে সম্ভাবনাময় শেয়ার কিনে রাখে। আর বেশিরভাগ মানুষ যে শেয়ারটিতে ঝাঁপিয়ে পড়বে এবং প্রচুর সম্ভাবনাময় মনে করবে সে সময়ে ওই শেয়ারটি বিক্রির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।  

অনেক বিনিয়োগকারী আছেন, যারা শেয়ার যে দামে কিনেছেন তারচেয়ে দর অনেক বেড়ে যাওয়ার পরও শেয়ার বিক্রি করেন না। শেয়ার ধরে রাখেন। দাম আরও বাড়াবে এমন লোভে তারা এটি করে থাকেন। সবসময় কিন্তু এই শেয়ার ধরে রাখা লাভজনক হয় না। অনেক সময়ই  সেই লাভ পরে লোকসানে পরিণত হয়। তাহলে একজন বিনিয়োগকারি কখন শেয়ার বিক্রি করবেন?

উঠতি বাজারে শেয়ার বিক্রি করে লাভ হাতে নেয়ার বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে। বাজারে স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন হলেও অনেকেই লাভ তুলে নেন। এটি ডে-ট্রেডাররাই বেশি করে থাকেন। তারা সাধারণত ৩ দিনে শেয়ারের বেচাকেনা করেন। মৌলভিত্তি বিবেচনায় বা চলতি বাজার দরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে শেয়ারের দর যদি প্রত্যাশিত পর্যায়ে পৌঁছে তাহলে শেয়ার ছেড়ে দেওয়াই ভালো। এই পর্যায়ে ওই কোম্পানির সব শেয়ার ধরে রাখা উচিত হবে না। আমরা তো আগেই বলেছি, সঠিক বিনিয়োগের জন্য পোর্টফোলিও তৈরি করা প্রয়োজন।আর সব সসময়ই এটি পর্যালোচনাও করতে হবে।তাহলেও বোঝা যাবে কোন শেয়ারটির কি অবস্থা। এটি মূল্যায়ন করলেই বিনিয়োগকারী বুঝতে পারবেন কোন শেয়ারটি ধরে রাখতে হবে এবং কোনটি বিক্রি করতে হবে। কোন বিশেষ শেয়ারে যদি  লাভ করার সুযোগ থাকে, তাহলে সেই শেয়ারের কিছু অংশ বিক্রি করে বাকিটা ধরে রাখতে পারেন।সেই সাথে সম্ভাবনাহীন অথবা লোকসানি কোম্পানির শেয়ার লোকসানে হলেও বিক্রি করে দেওয়াই ভালো। এতে  লাভ -লোকসান দুটো হলেও দেখা যাবে  পোর্টফোলিও সুষম অবস্থায় রয়েছে ।এছাড়া, আপনি যে শেয়ার কিনেছেন সেই কোম্পানি সম্পর্কে সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কোম্পানির আর্থিক অবস্থা, প্রান্তিক হিসাব এবং পরিচালকদের শেয়ার ক্রয় বিক্রয়েও নজর রাখতে হবে। যদি দেখা যায় কোম্পানির আর্থিক অবস্থায় পরিবর্তন আসছে অর্থাৎ আর্থিকভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে বা ভ্যবসা সম্প্রসারণ করছে তাহলে ওই কোম্পানির শেয়ার ধরে রাখা যায়। আর এর বিপরীত খবর হলে ছেড়ে দেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।এছাড়া, যদি কোনো কোম্পানির ব্যবসায়িক সম্ভাবনা  বা বাজারের ওটা-নামা মূল্যায়নে ভুল হয়ে যায়, তাহলে প্রয়োজনে লোকসানে হলেও শেয়ার দেওয়া ভালো। এতে ভবিষ্যতে বড় ধরনের লোকসান থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

দেশের আর্থ-সামাজিক, বা রাজনৈতিক অবস্থাও শেয়ারবাজারে প্র্রভাব ফেলে। তাই শেয়ার বেচাকেনায় এটিও বিবেচনা করতে হবে।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭