লিভিং ইনসাইড

ঘরের কোন অংশ কতদিন পরপর পরিষ্কার করবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 18/04/2021


Thumbnail

সুস্থ থাকতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোন বিকল্প নেই। বিশেষ কর এই করোনা কালীন সময়ে আরও বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা উচিৎ। পরিষ্কার শুধু নিজেই থাকলে চলবে না, বসবাসের জায়গা অর্থাৎ ঘরের প্রতিটি অংশ রাখতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। ঘরের প্রতিটি অংশে কি পরিমান ময়লা জমে আছে তা যদি মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখা যেত। খালি চোখে এসব জীবানু দেখা যায় না। তাই ঘরের শুধুমাত্র মেঝেই নয়, পরিষ্কার রাখতে হবে ঘরের প্রতিটি কোন এবং বস্তু। অনেকেই আছেন প্রতিদিন ঘরবাড়ি পরিষ্কার করেন আবার অনেকেই সেই সময় পান না। আসুন দেখে নেই ঘরের বিভিন্ন জায়গা কবে আর কীভাবে পরিষ্কার করবেন।

চাদর এবং বালিশের কভার
উপর দিয়ে যতই পরিষ্কার দেখাক, বিছানার চাদর, বালিশের কভার বা পর্দা জাতীয় জিনিস অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করেন না। বিশেষ করে বিছানার চাদর ও বালিশের কভারে ঘাম, তেল, খুশকি ইত্যাদি মিশে অনেক বেশি নোংরা হয়। এগুলো নিয়মিত বিরতিতে পরিষ্কার না করলে নানারকম ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতি দুই সপ্তাহে একবার অন্তত এগুলো বিছানার চাদর ও বালিশের কভার, কুশন কাভার, কাথা ইত্যাদি গরম পানি দিয়ে ধোয়া উচিৎ।

বেসিন ও সিংক
এগুলো প্রতিদিন ধোয়া উচিৎ যেহেতু সবচেয়ে বেশি নোংরা হয়। সবচেয়ে বেশি নোংরা বলা হচ্ছে কারণ দাঁত ব্রাশ, মুখ ধোয়া, হাত ধোয়ার কাজে ব্যবহৃত হয় বেসিন। আর রান্নাঘরের সিংকে থালাবাসন ও খাবার জিনিস ধোয়ার কারণে এখানে ময়লা, খাদ্যকনার পাশাপাশি তেল ও নানারকম জীবাণু লেগে থাকে। তাই প্রতিদিনই একবার করে এগুলো পরিষ্কার করুন। বিশেষ করে সিংকে কাঁচা মাছ বা মাংস ধোয়ার পর অবশ্যই ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করুন।

কার্পেট, পাপোষ এবং রাগস
এক থেকে দুই সপ্তাহ পরপর এগুলো ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করা উচিৎ। আর বাড়িতে যদি পোষা প্রাণী থাকে সেক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে পরিষ্কার করুন। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার না থাকলে খোলা জায়গায় রোদে দিয়ে ঝাড়ু দিয়ে হলেও পরিষ্কার করুন। আর সেই সঙ্গে গরম পানি ও জীবাণুমুক্তকরন মিশিয়ে ওই জায়গার মেঝে মুখে ফেলুন।

বাথরুম
বলা হয় ঘরের এই জায়গায় সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই সপ্তাহে একদিন বাথরুম পরিষ্কার করুন। বাথরুমের সিংক এবং টয়লেটের ছয় ফিট নীচ পর্যন্ত ই.কোলি নামক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। তাই সপ্তাহে একদিন এগুলোতে জীবাণুমুক্তরন ছেটাতে হবে।এছাড়াও বাথরুমের শাওয়ারের পর্দা ও বাথটাবও অন্তত দুই সপ্তাহ পরপর ডিপ ক্লিন করুন।

তোয়ালে
গোসলের তোয়ালে স্ট্যাফ এবং ফেক্যাল ধরণের ব্যাকটেরিয়ার ভাণ্ডার বলা যায়।গা মোছার কাজে ব্যবহৃত গামছা বা তোয়ালে ভেজা থাকলে এসবের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও চুলে খুশকি হওয়ার জন্য দায়ি ফাঙ্গিও জন্মাতে পারে।অন্যদিকে রান্নাঘরের তোয়ালেতেও নানারকম ব্যাকটেরিয়া জন্মায়।তাই প্রতি সপ্তাহে একদিন এগুলো গরম পানি দিয়ে জীবাণুনাশক ব্যবহার করে ধুতে হবে। আর যদি কাঁচা মাছ মাংস ধরে হাত মোছেন, তাহলে সেদিনই ধুয়ে ফেলতে হবে।

বাসন মাজার স্পঞ্জ
একটি বাসন মাজার স্পঞ্জের প্রতি স্কয়ার ইঞ্চি জায়গায় কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া থাকবে। তবে এর সবগুলোই যে ক্ষতিকর, তা না। শুধু সাবান আর পানি দিয়ে ধোয়া তাই নিরাপদ না। স্পঞ্জগুলো সাধারণত ফুটন্ত পানিতে অন্তত দুই মিনিট ধরে ডুবিয়ে রেখে ধুতে হবে। দুইদিন পরপর এভাবে ধুলেই ভালো হবে।

দরজার হাতল ও নব
পুরো বাসা ঝকঝক করলেও আমরা দরজার হাতল, নব ইত্যাদি পরিষ্কারের কথা ভুলে যাই। অথচ এগুলোও কিন্তু জীবাণুর আধার। বিশেষ করে বাড়ির প্রধান দরজা, বাথরুম ও রান্নাঘরের দরজা।তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন এগুলো জীবাণুনাশক ব্যবহার করে মুছে ফেলতে হবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭