ইনসাইড আর্টিকেল

করোনাকালে যেসব জিনিস ঘরে রাখা জরুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/04/2021


Thumbnail

এক বছরেরও অধিক সময় ধরে করোনার প্রকোপ চলছে। কখনো সংক্রমণের গতি বাড়ছে তো কখনো বা কমছে। তবে এর শেষ কবে সে ব্যাপারে কিছুই বুঝা যাচ্ছেনা। এবার আবারো নতুন করে সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করছেন শতাধিক মানুষ। এর প্রেক্ষিতে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে এবং নিজ উদ্দ্যোগে সতর্ক থাকতে হবে। করোনার সাথে লড়তে তাই কিছু জিনিস সবসময় বাড়িতে রাখা জরুরী। চলুন দেখে নেওয়া যাক করোনা মোকাবেলায় যেসব জিনিস হাতের কাছে রাখা জরুরি- 

স্বাস্থ্যকর খাবার
করোনার এই সময়ে ঘরে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা জরুরি। বিশেষ করে ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, আইভারকটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। স্পেনের বার্সেলোনা ইউনিভার্সিটির এক জরিপে দেখা যায়, ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খাওয়ায় করোনা সংক্রমণ ৮০ শতাংশ এবং মৃত্যু ৬০ শতাংশ কমেছে। তাই চিকিৎসকরা ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেতে বলছেন। করোনা থেকে বাঁচার জন্য নিয়মিত শাকসবজি ও ফল জাতীয় খাবার খান। 

মাস্ক
বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক সঙ্গে রাখতে হবে। এছাড়া ঘরে কেউ আক্রান্ত হলে উভয়কেই মাস্ক পরে থাকতে হবে। সার্জিক্যাল মাস্ক বার বার ব্যবহার করা যায় না। ঘরে ফিরে সেটি ফেলে দিতে হয়। তবে কাপড়ের তৈরি মাস্ক হলে ঘরে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো ধুয়ে ফেলা উচিত। প্রতিদিন ধোয়া সম্ভব না হলে সপ্তাহে অন্তত দুদিন মাস্ক ধোয়া উচিত। খোলা জায়গায় মাস্ক রাখা ঠিক নয়। 

হ্যান্ড স্যানিটাইজার
করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য নিয়মিত সাবান ও স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে বের হলে পকেটে অথবা ব্যাগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা বাঞ্ছনীয়। ঘর থেকে বের হওয়া এবং ঘরে প্রবেশের সময় স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। তারপর সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। মনে রাখবেন, করোনা থেকে বাঁচার জন্য পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই।

জীবাণুনাশক
ঘর পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হয়। মেঝে, বারান্দা, রান্নাঘর, টয়লেট এবং শিশু ও অসুস্থ রোগীর কক্ষ সবসময় জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। করোনা থেকে বাঁচার জন্য জীবাণুনাশক দিয়ে ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে।

থার্মোমিটার
কখনো শরীরের তাপমাত্রা বেশি মনে হলে থার্মোমিটার দিয়ে পরীক্ষা করুন জ্বর এসেছে কি না। কারণ করোনার অন্যতম উপসর্গ হলো জ্বর। তাই সামান্য জ্বরকেও অবহেলা করা উচিত নয়। যদি টানা তিনদিন জ্বর থাকে তাহলে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। 

অক্সিমিটার
অক্সিমিটার সাধারণত পালস অক্সিমিটার নামে পরিচিত। শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যথা, বুকে ব্যথার সময় অক্সিমিটারের সাহায্যে হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করা হয়। করোনা মহামারী থেকে রক্ষা পেতে ঘরে হাতের কাছে পালস অক্সিমিটার রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশের নিচে নামলে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭