ইনসাইড থট

শেখ হাসিনা মানেই পূর্ণতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 27/09/2017


Thumbnail

নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন এক আলাপচারিতায় বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনার রাজনৈতিক নেতৃত্বে আসা একটি দুর্ঘটনা। তাঁকে নেতৃত্বের জন্য গড়ে তোলা হয়নি। যেমন গড়ে তোলা হয়েছিল শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে কিংবা বেনজীর ভুট্টোকে। তিনি নেতৃত্বে এসে শিখেছেন। কখনো হোঁচট খেয়েছেন, পরাজিত হয়েছেন, বাধা পেয়েছেন। নানা প্রতিকূলতা, ঘাত-প্রতিঘাত এবং বাধা পেরিয়েই তিনি জনগণের নেতা হয়েছেন আগে, পরে হয়েছেন দলের নেতা। তিনি হলেন, পুড়ে সোনা হওয়ার মতো একজন মানুষ। এজন্যই তিনি মানুষের হৃদস্পন্দন শুনতে পান। মানুষের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে তিনি তাল মেলান। সময়ের সঙ্গে তিনি নিজেকে গড়ে তোলেন। এজন্য শেখ হাসিনা সব-সময়ই উজ্জ্বল, সব সময়ই জনপ্রিয়। তিনি প্রতিনিয়ত তাঁর অবস্থানকে অতিক্রম করছেন।’

শেখ হাসিনার জন্মদিন এলেই, এই কথাটা আমার কানে বাঁজে। সব সময় আমার মধ্যে এক প্রশ্ন জাগে, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের নৃশংসতা যদি না ঘটতো, তাহলে শেখ হাসিনা কি করতেন? অনেক দিন আমি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছি এবং অনেক গুলো উত্তর সাজিয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতা না হলেও শেখ হাসিনা একজন রত্নগর্ভা মা হিসেবেও খ্যাতির চূঁড়ায় থাকতেন। পৃথিবীতে এরকম ক’জন মা আছেন, যাঁর দু সন্তানই তাঁদের কর্মক্ষেত্রে বিশ্ব পরিচিত? প্রধানমন্ত্রী না হলেও শুধু একজন আদর্শ সন্তান হিসেবে তিনি কোটি মানুষের অনুকরণীয় হতেন। পিতা-মাতার প্রতি সম্মান কীভাবে দেখাতে হয়, সে আলোচনায়, লেখায় তাঁর নাম আসতো, তাঁকে নিয়ে চর্চা হতো।

ক্ষমতায় না থাকলেও, শেখ হাসিনা একজন আদর্শ বোন হতে পারতেন। শিল্প, সাহিত্য, কবিতায়, নাটকে কিংবা সিনেমায় তাঁর চরিত্র তৈরি করা হতো। ভাই বোনদের প্রতি তাঁর যে অনুভূতি ভালবাসা, তা তো যে কোনো সমাজের জন্যই এক দৃষ্টান্ত।

কিছু না করলেও, শুধু সাহিত্য চর্চা আর লেখালেখি করেই তিনি বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামালের মতো সুশীল ব্যক্তিত্ব হতে পারতেন। প্রয়াত সৈয়দ শামসুল হক, একদা দু:খ করে বলেছিলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) কেন যে সাহিত্য চর্চাটা নিয়মিত করলেন না, বাংলা সাহিত্য একজন ভালো লেখক পেত।’

রাজনীতি না করে একজন সমাজ সংস্কারক হিসেবেও তিনি খ্যাতির চূঁড়ায় যেতে পারতেন। নারীর অধিকারের যে ভাবনাগুলো তিনি তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে এনেছেন, তা অবলীলায় সামাজিক আন্দোলনের ইস্যু হতে পারতো। শুধু মায়ের নামে সন্তানের পরিচিতি। এই একটা বিষয়ই পুরো সমাজকে আলোড়িত করতো।

রাজনীতির ডামাডোলে না থাকলে, তাঁর মহানুভবতা, মানবিকতা নিয়ে এদেশের মানুষ গর্বে বুক ফোলাতো। তিনি নীরবে জাতির পিতা মোমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে যত শিশুর পড়ার খরচ যোগান, যত গরীব মানুষের চিকিৎসা করান-এসব তাঁর রাজনীতির আড়ালে লুকিয়ে থাকে। রাজনীতি না করলে একজন মানবিক মানুষ হিসেবে তাঁকে এদেশের মানুষ শ্রদ্ধা করতো।

সবকিছু থেকে দূরে থাকলেও, শুধু মানুষের জন্য ভালোবাস। খাদহীন অকৃত্রিম প্রাণখোলা হাসির জন্যই তিনি হতে পারতেন, ‘প্রিয় মানুষ’। যে মানুষের কাছে আসলেই ভুলে যাওয়া যায় সব কষ্ট, বেদনা, দু:খ।

আসলে যে পরিচয়েই পরিচিত করা হোক না কেন, শেখ হাসিনা একজন আলোকিত মানুষ। পরিপূর্ণ মানুষ। শেখ হাসিনা মানেই পূর্ণতা। সত্যিকারের মানুষের সবচেয়ে ভালো উপমার নাম-শেখ হাসিনা।

শুভ জন্মদিন।


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭