ইনসাইড ট্রেড

‘শুধুই দাম বাড়ে বেতন বাড়ে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 29/09/2017


Thumbnail

রমিজ পেশায় একজন সিকিউরিটি গার্ড। মালিবাগ রেলগেটে ছোট একটি রুমে আরোওকয়েক জন সহকর্মীসহ গাদাগাদি করে থাকেন রমিজ। এক এক জন একদিন বাজার করেন তারা। বাসার পাশেই সবজির বাজার থাকা স্বত্বেও কারওয়ান বাজারে এসেছে খরচ বাচাঁতে। বাজার করতে এসে জিনিস পত্রের দাম দেখে হতভম্ব রমিজ। কথার ফাঁকে রমিজ বলেন, মাত্র ৮ হাজার টাকা বেতন পাই, এই দিয়ে নিজে চলাই কষ্ট হয়। আবার গ্রামের বাড়িতে বউ, ছেলে, মা-বাবার জন্যও টাকা পাঠাতে হয়।

জিনিস পত্রের দাম যে হারে দাম বাড়ছে, সেই হারে তো আমাদের বেতন বাড়েনা। শুধু রমিজরা নয় এরকম হাজারো রমিজরা দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে মানবতের জীবন যাপন করছে। রমিজের বেতন বাড়েনা বাড়ে শুধু জিনিসপত্রের দাম।

কারওয়ান বাজার ও আশের পাশের বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।

চালের বাজার এখনো সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। কাওয়ান বাজারের চাটখিল রাইস এজেন্সির মালিক নাসির জানায়, চালের দর বস্তাপ্রতি কমেছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা । মোকামে কয়েকদিন যে চালের সংকট ছিল তা কিছুটা কমছে। বাজারে মিনিকেট প্রতি কেজি ৬৩টাকা, নাজিরশাইল গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ২ টাকা কমে ৬৮ টাকা, মাঝারি মানের চাল ৫৬ টাকা মোটা চাল ৪৬ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে শীতের আগাম সবজি উঠা শুরু করেছে। নতুন মূল্য বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কমলেও আবার আগের চিত্র ফিরে আগের চিরচেনা চিত্র ফিরে এসেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা করে। সবজি কিনতে আসা শমসের আলী বলেন, সাধারনত আশ্বিন কার্তিক মাসে সবজির দাম একটু কম থাকে। সেই তুলনায় বাজারে সবজির দাম বেশি মনে হচ্ছে। আর বিক্রেতারা বলছেন শীতের ধীরে ধীরে বাজারে উঠা শুরু করেছে, ফলে সবজির দাম কমে আসবে।

কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি টমোটো ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, সশা ৪০ টাকা, করল্লা ৬০, চালকুমড়া৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা এবং প্রতি পিচ লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁয়াজের ঝাজ বেড়েছে। প্রতি কেজি ইন্ডিয়ার পেঁয়াজ ৪০ টাকা দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আদাও রসুন কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে । প্রতি দেশি রসুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা, আদা ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ইলিশের দাম কিছুটা বেড়েছে। মাছ বিক্রেতারা বলছেন আগামী মাস থেকেই বাজারে ইলিশ বিক্রি রোধে অভিযান চলবে। তাই কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস ৪৮০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের মাংস ব্যবসায়ী করিম জানা, বাজারে ইলিশের দাম কম থাকায় মাংসের চাহিদা কম।


বাংলা ইনসাইডার/এসএস/জেডএ




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭