লিভিং ইনসাইড

উঠতি বয়সীদের পোশাক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 30/09/2017


Thumbnail

টিনএজার বলা হয় তেরো থেকে উনিশ বছরের মানুষকে। বাংলাতে বলা যায় কিশোর-কিশোরী। এই সময়টা সব মানুষের জন্য ব্যতিক্রম। টিনএজের প্রথম দিনগুলো শুরু হয় ব্যস্ততা, প্রতিবন্ধকতা আর কিছু বাস্তবতা দিয়ে। এ বয়সে ব্যস্ত হয়ে বাড়তে থাকে শরীরের প্রতিটি কোষ। দেখা দেয় কিছু অবাক বিস্ময়। শারীরিক পরিপূর্ণর্তা পেতে যার ভিন্ন উপায় নেই। নতুনদের কাছে সৃষ্টি হয় কিছু প্রতিবন্ধকতা। আবিষ্কার হয় নতুন নতুন বাস্তবতা। তবে একটু সতর্ক থাকলে সমাধান মিলে যায় তাড়াতাড়ি। এ বয়সে জিদ কাজ করে অধিংকাশ পরিস্থিতে। তাইতো কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তার `আঠারো বছর বয়স` কবিতায় বলেছেন-

`তব আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি,

এ বয়স বাঁচে দূর্যোগে আর ঝড়ে,

বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী

এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে।`


টিনেজারদের প্রতিযোগিতা চলে সবার সঙ্গে। এ বয়স হার মেনে নিতে নারাজ। বিপদকে জয় করার যেমন নেশা ধরে যায় তেমনি মনে মনে সদা প্রস্তুতি চলে নতুন কিছু করার। অন্যথায়, একটু অসতর্কতায় হতাশা ঘিরে ফেলে বেড়াজাল হয়ে। তাই অন্যান্য বিষয়ের মত বাবা-মাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ এ বয়সী সন্তানের পছন্দের পোশাকের দিকেও।

সমগ্র পৃথিবীতে ফ্যাশন সচেতনদের সবচেয়ে বড় অংশ জুড়ে টিনএজার। ওরা প্রতিনিয়ত খবর রাখে বিশ্ব-ফ্যাশনে কী চলছে, আর কী হবে তার আসন্ন ঋতুর পোশাক। ওদের পোশাকের রঙ, শৈলী হতে হবে ট্রেন্ডি।


বয়সে সময়ের রঙঃ

আবহাওয়ার সঙ্গে পরিবর্তন হয় প্রকৃতির রঙ। আর উদ্যমী কিশোর মেয়ের পোশাকি ভাষা হোক সময়ের সঙ্গী, বিশ্বায়নের অংশীদার। গরম বৃষ্টির এই আবহাওয়ায় পোশাক হওয়া চাই আরামের, আর রঙিন। কামিজ, কুর্তা বা ফতুয়া, যেটাই হোক তা হওয়া চাই জুতসই। তাই সুতি কাপড়কে এগিয়ে রাখা যেতে পারে। তেমনি পছন্দের প্রিন্ট আসতে পারে বালকের টি-শার্টে।

ট্রেন্ডি পোশাকঃ

টিনএজাররা সর্বদা প্রস্তুত থাকে নতুন স্টাইল অনুসরণ করতে। সময়ের রঙ, দেশি-বিদেশি মোটিফ এবং কৃষ্টি-সংস্কৃতির মিশ্রণে তৈরি হয় নতুন ট্রেন্ড। এই বয়সীরা সেই স্টাইল খুজে নেয় সবার আগে।

প্রতিদিনের ফ্যাশনঃ

প্রতিদিনের ফ্যাশন বলতে বোঝানো হয় ক্লাস, আড্ডা, ঘোরাঘুরিতে সচরাচর যা পরা হয়। আর প্রতিদিনের ফ্যাশনে কিশোরীর পছন্দ মোটেও জমকালো নকশার ডিজাইন নয়। এ বয়সে ছেলে-মেয়েরা ধনুক হয়ে ঘুরতে চায় পাহাড়-পর্বত আর নদী-সাগরে। উড়তে চায় পাখি হয়ে দেশ-বিদেশে। পোশাকের জমকালো ডিজাইন পরে চলে না দৌড়-ঝাঁপ, ছোটাছুটি। তাই হালকা নকশায় পছন্দের পোশাক বেছে নেয় টিনএজাররা।

মা-বাবার সচেতনতাঃ

নিজের সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের তাগিদে সচেতন হতে হবে মা-বাবার। টিনএজ মেয়েরা হঠাৎ বড় হয়ে যায়। এমন সময়ে বেশিই চিন্তিত হয়ে যান অনেক মা। মেয়ের চাল-চলনে অপ্রয়োজনীয় প্রভাব বিস্তার করতে চান বাবা। অনেক সময় পোশাকের ক্ষেত্রেও থাকে মায়ের নিষেধাজ্ঞা, যা এই বয়সীদের মেধা বিকাশে, উদ্যমী গতিতে চলতে বাধা দান করে। তাই সব বাবা-মায়েরই উচিৎ সন্তানের চিন্তা-ভাবনা, পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে তাকে সঠিক পথ বেছে নিতে সাহায্য করা। প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ তাদের পছন্দের পোশাকে।


বাংলা ইনসাইডার/এএসি




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭