ইনসাইড থট

কেবল কোভিড-১৯ টেস্টিং বাড়নো নয়,জনগণের টিকা নিশ্চিত করাই সঠিক উওর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 02/05/2021


Thumbnail

২০২০ সালের শুরুতে এবং তার পর থেকে দেশের এবং দেশের বাহিরের অনেক বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ করছিলেন যে কেন বাংলাদেশ তার প্রতিদিনের কোভিড-১৯ এর সনাক্তকরণ পরীক্ষার ক্ষমতা বাড়িয়ে দিচ্ছে না এবং আরও বেশি লোক পরীক্ষা করছে না।  তখন আমি বলেছিলাম যে কেবল বেশী বেশী পরীক্ষার ফলে কোনও পরিবর্তন আনা যায় না যদি আমাদের কাছে কার্যকর কোন সংক্রামিত ব্যক্তির কন্টাকের সন্ধান এবং সংক্রামিত ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্ন/ পৃথকীকরণ করার যথাযত ক্ষমতা না থাকে।  উদাহরণস্বরূপ, যদি দরুন বাংলাদেশ একদিনে ১০০,০০০ লোক পরীক্ষা করলো যখন সংক্রমণের হার ২০%, তাহলে কথার কথায় ধরা যাক প্রায় ২০,০০০ জন ইতিবাচক সংক্রামিত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যেত।  আমাদের কি মনে হয় যে তখন ২০,০০০ সংক্রামিত ব্যক্তির কন্টাকের সন্ধান করতে বা তাদের বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য করতে বাংলাদেশের সক্ষমতা ছিল বা থাকবে (এমনকি যুক্তরাজ্যেরও সেই ক্ষমতা ছিল না)? আমাদের কি মনে হয় যে এই ২০,০০০ লোক স্বেচ্ছায় তাদেরকে ১০-১৪দিনের জন্য আলাদা করবে বা তাদের সংক্রামিত ব্যক্তির কন্টাকের সন্ধান দেবে? বা আমরা কি মনে করি যে প্রতিদিন এতগুলি সংক্রামিত লোককে সনাক্ত করার ফলে মানুষ ভয় পেয়ে কোভিড সনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দৌড়ে যাওয়া শুরু করবে এবং লোকেরা স্বাস্থ্যের পরামর্শ মেনে চলবে? নাকি আমরা কেবল মাএ জানার জন্য জানতে চেয়েছিলাম অথবা পরিসংখ্যানগত কারণে বা পূর্বাভাসের মডেলিং বিকাশের জন্য কত লোক সংক্রামিত হয়েছে বা ভবিষ্যতে হতে পারে তার কারনে? বাংলাদেশের স্থল বাস্তবতা ভিন্ন বলেই আমি মনে করি। আমি আশা করবো আমাদের আপামর জনগনের আচরণগত নিদর্শনগুলি এবং এই জাতীয় আচরণগুলিতে কী কী কারণগুলি প্রভাবিত করে সে সম্পর্কে আরও সঠিক ভাবে জানতে আমাদের সমাজ বিজ্ঞানীদের গবেষনা করবেন।  আমরা দেখেছি কীভাবে বাংলাদেশে লোকেরা স্বাস্থ্য পরামর্শ বা লকডাউন অনুসরণ করে বা করে না। যখন তাদেরকে তাদের এবং দেশের জনগনকে বিপদ মুক্ত রাখার জন, কঠোরভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়, তখন তারা কীভাবে বাজে অকথ্য ভাষায় চিৎকার করে। আমরা ভবিষ্যতে যাই করি বা যাতে সময় এবং অর্থ বিনিয়োগ করি না কেন, আমাদের তা অবশ্যই একটি শক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে প্রয়োগযোগ্য হতে হবে। আমাদের কেবল কতজনের বা সংখ্যার জ্ঞান বা সক্ষমতা থাকলে চলবে না, তবে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতাও আমাদের থাকা দরকার। তা নাহলে সংখ্যা শুধু সংখ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকবে, জীবন বা জীবিকার উপকারে আসবে না। 

অনেকে শুধু অভিযোগ করার স্বার্থে আরও বলেছিলেন যে প্রারম্ভে কেন বাংলাদেশে কোভিড রোগ সনাক্তকরণ পরীক্ষাগুলি কেবলমাত্র একটি কেন্দ্রে কেন্দ্রীভূত রাখলো! কেন আরও বেশি বেশি কেন্দ্রে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে না। আমি একমত, আমাদের SARS এবং MERS মহামারী থেকে শিখা উচিত ছিল। অনেক প্রশংসিত বন্যা বা ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে কার্যকর প্রস্তুতির মতো, ভবিষ্যতে আসতে পারে যেকোন মহামারির ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত ছিল। আমরা একই প্রশ্নটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য বা অন্যান্য অনেক ইউরোপীয় দেশের কর্তৃপক্ষকেও জিজ্ঞাসা করতে পারি। সেখানে কোন কার্যকর প্রস্তুতি ছিল না।  কোভিড নগ্নভাবে বিশ্বকে দেখিয়েছিল যে তথাকথিত ধনী দেশগুলি কতটা অপ্রস্তুত ছিল। এই মহামারীটি আমাদের সকলকে হঠাৎ অবাক করে পিছনে ঠেলে দিয়েছিল। আমরা জানি পিসিআর টেস্টিং কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিতকরণের স্বর্ণের মান (good standard)। এই ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার ব্যবস্থাটি সঠিক মানের ফলাফল পেতে ব্যয়বহুল অত্যন্ত প্রযুক্তিগত যন্ত্র এবং প্রশিক্ষিত লোকের উপর নির্ভরশীল।  নমুনা সংগ্রহের জন্যও প্রশিক্ষিত লোকের দরকার। রাতারাতি কেউ সেই সক্ষমতা বাড়াতে পারে না।  কয়েক মাস ধরে সময়োচিত বিনিয়োগের কারণে বাংলদেশে এখন ১২০ টি টেস্টিং সেন্টার রয়েছে। বাংলাদেশ অ্যান্টিজেন পরীক্ষার সুবিধাও শুরু করেছে। 

তারপরে কিছু লোক বলতে শুরু করে যে পরীক্ষিত পজিটিভ রেট নির্ভরযোগ্য নয় কারণ অনেকে বলে মোট সনাক্তকরণে পরীক্ষিত লোকদের মধ্যে ১৫-২০%  হ`ল তারা যারা বিদেশ যাচ্ছেন।  তাই এটি একটি অবমূল্যায়ন, সত্য হার অবশ্যই বেশি হতে হবে। সুতরাং, কম সনাক্তকরণ পরীক্ষার কারনে যখন আমরা বলি পরীক্ষার ইতিবাচকতা ১৫% হয় তখন এটি সম্প্রদায় সংক্রমণের হারের প্রকৃত প্রতিচ্ছবি হিসাবে গ্রহণ করা যায় না।  আমি ঐ বুদ্ধিজীবীদেরকে জিজ্ঞাসা করতে চাই আর জানতে চাই যারা বিদেশে যাচ্ছেন তারা কি বিভিন্ন সমাজে বাস করেন বা থেকে আসছেন? বা তাদের আচরণের ধরন বা জীবনযাত্রার অবস্থা বা সামাজিকীকরণ কি অন্য, আর সবার থেকে আলাদা? যদি তা না হয় তবে তাদের সনাক্তকরণ পরীক্ষা করার ফলাফল প্রকৃত সংক্রমণের হারকে প্রতিফলিত করবে না কেন?অন্যদিকে, পরীক্ষার জন্য আগত বাকী ৮০-৮৫% লোক যাদের হয়ত কিছু কোভিডের মত লক্ষণ থাকায় বা সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে মনে করে বা বিশ্বাস করার জন্য পরিক্ষা কেন্দ্রে এসেছিলেন। যদি তাই হয় তবে তাদের পরীক্ষার ইতিবাচকতার হার স্বাভাবিকভাবেই বেশি হবে। তাহলে বলতে পারি সেই বেশী হার সম্প্রদায় সংক্রমণের হারের সঠিক মান প্রতিফলিত করতে পারে না। সুতরাং, আমি বলব যে এই পৃথক জনগোষ্ঠীর লোকগুলির মিশ্রণটি আমাদের সম্ভবত সংক্রমণের বর্তমানের সঠিক হার প্রতিফলিত করে। আমার ১৯৮৮৭/৮৮ সালের  বোতসোয়ানার একটি গল্পের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। এইচআইভি (HIV/AIDS) মহামারীর শুরুতে ১৯৮০এর দশকের সময়কালে দেখা গেছে যে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা এইচআইভিতে (HIV) সংক্রামিত হয়ে, কাজের জায়গা সম্পর্কিত বিপদ বলে দাবি করতে শুরু করেছিল। এরপরে সমাজ বিজ্ঞানীরা স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারীদের (নার্স এবং চিকিৎসক) মধ্যে একটি গবেষণা চালিয়ে দেখতে পেয়েছিলেন যে তাদেরও হাসপাতালের বাইরে থাকাকালীন সেই সমাজের অন্যদের মত একই রকম যৌন আচরণগত আচরণের ধরণ রয়েছে এবং যার ফলে সমাজের অন্যদের মতো তারাও একই কারনে HIV রোগে দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের আক্রান্তের হার অন্যান্য সেই সম্প্রদায়ের সদস্যদের মতোই ছিল। 

অনুরোধ করছি আরেকটি বিষয় দিকে তাকানোর জন্য।  এটি বৈজ্ঞানিক না হলেও বাংলাদেশের জনগনের আচরণগত প্যাটার্নের একটি আকর্ষণীয় পর্যবেক্ষণ হতে পারে।  সমাজ বিজ্ঞানীরা এই বিষয় নিয়ে গবেষনার করতে পারেন এবং এর পিছনে তথ্যগুলি খুঁজে পেতে পারেন।  আমি প্রতিদিনের সংক্রমণের হারের সাথে বাংলাদেশের কোভিড সনাক্তকরণ পরীক্ষার ধরণটির কথা বলছি। 

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সনাক্তকরণ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক নয় (যারা বিদেশ ভ্রমণ বা কাজ করতে যাচ্ছেন তাদের ব্যতীত) বরং এটি একটি স্বেচ্ছা স্ব প্রাপ্ত পদক্ষেপ। চীনের মতো বাংলাদেশে কখনও কোনও টেস্টিং ড্রাইভ ছিল না, যেখানে দুই তিন দিনের মধ্যে একটি শহরের লক্ষ লক্ষ লোকদের পরীক্ষা করানো হয়েছিল।  অতএব, বেশিরভাগ লোকেরা তাদের চলমান লক্ষণগুলি কোভিডের লক্ষণ কিনা বা বিশ্বাস করেছেন যে তারা কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তা জানতে পরীক্ষা করতে আসেন বা পরিক্ষা করান। যদি আমরা সেই অনুমানগুলির সাথে একমত হই, তবে প্রতিদিন যে সংখ্যায় পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং এর উত্থান-পতন ঘটনাগুলো ঘনিষ্ঠভাবে দেখুন।  গত বছর যখন সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে এবং পরীক্ষার সুবিধাগুলি আরও বেশি হল তখন আরও বেশি লোক পরীক্ষার জন্য আসতে শুরু করলো। তার কারনে পরীক্ষার সংখ্যা দিন দিন আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করে।  তারপরে আমরা পর্যবেক্ষণ করেছিলাম যখন সংক্রমণের হার কমতে শুরু করলো, তখন কম এবং কম লোক আসছিল।  আপনি বলতে পারেন এটি লকডাউন এবং লোকজন গ্রামাঞ্চলে যাওয়ার কারণে হয়তো হতে পারে। কিন্তু যখন সবাই শহরে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমাদের মধ্যে সবচেয়ে কম সংখ্যক লোক ভাইরাসের সাথে ধরা পড়েছে তখন কম লোক পরীক্ষা করার জন্য আসছিল।  ১৩ ই ফেব্রুয়ারিতে ১২৮৭১ পরীক্ষিত লোকের মধ্যে ২৯১ জনকে ইতিবাচক সনাক্ত করা হয়েছিল।  ২২শে ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা করা লোকের সংখ্যা নেমে এসে ১১১০৩ হয়। তারপরে মার্চ মাসে সংক্রমণের উত্থানের সাথে আমরা পর্যবেক্ষণ করেছিলাম যে আরও বেশি বেশী লোক পরীক্ষার জন্য আসতে শুরু করেছিলো। ৯ই এপ্রিল সর্বাধিক সংখ্যক লোক পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন (৩৪৯৬৪ পরীক্ষিত লোক) যখন ৭২০১ সংক্রামিত ব্যক্তি সনাক্ত করা হয়েছিল।  তারপরে সংক্রমণের হার কমার সাথে সাথে, আমি বিশ্বাস করি কম লোকের কোভিড লক্ষণগুলির লক্ষন থাকায়, পরীক্ষার চাহিদাও কমতে শুরু করে।  আজ ১ম মে যখন সংক্রমণ ৯.৬১% হয় কেবল ১৫১১৭ জন পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন।  আমরা হয়ত দেখবো সংক্রমণের হার কমার সাথে সাথে পরীক্ষা করার চাহিদাও কমে আসবে। এই পরীক্ষা করতে আসার আচরন বা স্বাস্থ্য খুঁজার আচরণ কি বাংলাদেশে কোভিডের তৎকালীন অবস্থার প্রতিফলন করে একটি গল্প বলে? এই আচরন কি রোগের সম্প্রদায়ের সম্প্রচার এবং সমস্যাটির তীব্রতার প্রতিফলন করে?  যেমনটি আমি আগেই বলেছি এটি বৈজ্ঞানিক নয় কেবল একটি পর্যবেক্ষণ।  আমি মনে করি সামাজিক বিজ্ঞানীরা এই ঘটনাটি দেখবেন যা হয়ত আমাদের সংক্রমণের প্রবণতা / পূর্বাভাসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে পারে এবং প্রোগ্রাম পরিকল্পনায় আমাদের সহায়তা করতে পারে।  আমি এখনও বিশ্বাস করি যে কন্টাক ট্রেসিং এবং বিচ্ছিন্নতার সুযোগ না থাকলে অথবা মানুষের আচরণের  পরিবর্তন না হলে, জনগন স্বাস্থ্য পরামর্শ অনুসরণ না করলে শুধু মাএ বেশী বেশী পরীক্ষা করাটা কোভিড-১৯ যুদ্ধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সফল হবার একমাএ উত্তর না বা এই যুদ্ধে কোনও অতিরিক্ত মূল্য আনবে না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতায় এই যুদ্ধে জিততে হলে আমাদের কোভিড রোগ সনাক্তকরণ পরীক্ষার সব সুবিধা থাকার পাশাপাশি জনগনের স্বাস্থ্যের পরামর্শ মেনে চলতে হবে এবং জনগন যাতে খুব শীঘ্রই টিকা নিতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

 এখনই বিজয়ের গান যেন না  শুরু করি বা আত্মতুষ্টতে আবার আগের মত একই ভুলগুলির পুনরাবৃত্তি যেন না করি। আসুন আমরা ধৈর্য ধরে থাকি এবং স্বাস্থ্য পরামর্শগুলি অনুসরণ করি সামনের আরো কয়েক মাস, দরুন আগামী ডিসেম্বর শেষ পর্যন্ত, যেমন আমরা গত আনেক মাস যাবত সমস্ত সমস্যা থাকা সত্তেও অনুসরন করেছি। ততক্ষণে আমরা বেশিরভাগ লোককে টিকা দিতে পারবো বলে বিশ্বাস করি এবং তারপরে আমরা যুক্তরাজ্য, ইস্রায়েল বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লোকদের মত আবার আমাদের জীবন উপভোগ করতে পারবো, আমাদের দেশ গঠনে আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে পারবো। আমি  দৃ .়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমরা খুব শীঘ্রই আমাদের যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি তা কাটিয়ে উঠে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন সংগহ এবং দেশে আনতে পারবো। আমরা ভাইরাসের বিরুদ্ধে অনাক্রম্যতা অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত লোককে টিকা দিতে শীঘ্রই সক্ষম হব। বাহ্যিক দক্ষতার আর নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং কারও জন্য অপেক্ষা না করে, দেশ এবং তার নাগরিকের জীবন আর জীবিকার  রক্ষণাবেক্ষণে সময়মত সিদ্ধান্ত নিতে কোন দ্বিধা করবেন না। আমাদের অবশ্যই সর্বোচ্চ জীবন এবং জীবিকা বাঁচাতে ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭