নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 02/10/2017
গুগল সার্চ এঞ্জিনে ওয়ার্ল্ড সোসালিস্ট ওয়েব সাইটের কনটেন্ট খোঁজার প্রক্রিয়া ব্যহত হয়েছে, হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন এর সম্পাদকমণ্ডলীর পরিচালক ডেভিড নর্থ। তিনি বলেন, গুগল সার্চ এঞ্জিন আগে যেসব কি-ওয়ার্ড তথ্য দিত এখন সেসব ফাঁকা দেখায়। এটা দুর্ঘটনা নয়। গুগল এটা ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।
এর আগেও গুগলের বিরুদ্ধে সার্চ এঞ্জিনে তথ্য দেওয়া ও খোঁজার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ এসেছে। যা এখনো চালু আছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে অসেতনভাবে হোক আর অসচেতনভাবে হোক, গুগল এটা নিয়ন্ত্রণ করছে।
এ বছরের এপ্রিল মাসে গুগল ঘোষণা দেয়, এ সমস্যা সমাধানে ওডব্লিউএল নামে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে তথ্য যাচাই বা নির্বাচনের গাণিতিক প্রক্রিয়া হালনাগাদ করা হবে বলে জানায় গুগল। একই সঙ্গে ভুয়া ও ভুল সংবাদ বা তথ্যগুলো সার্চ এঞ্জিন থেকে মুছে ফেলার আশ্বাসও দেয় গুগল কর্তৃপক্ষ। অনেক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এটাকে গুগলের একটা ভুল পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছেন। কারণ, তথ্যবহুল সঠিক সংবাদ বা কন্টেন্টের নির্বাচন প্রক্রিয়া কী, সে সম্পর্কে গুগল এখনো কিছুই জানায়নি। ফলে এটা ধোঁয়াশার মতো!
এ বিষয়ে গুগল গোঁ ধরলেও তাদেরকেই বাছাইকৃত সংবাদের পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে হবে। পাশাপাশি গুগল কীভাবে কোনো সাইটের পদক্রম ও অনুসন্ধানের ফলাফল নির্ধারণ করে, সেটা অধিকাংশ ব্যবহারকারীর জানার সুযোগ থাকতে হবে। এছাড়া অনুসন্ধানের ফলাফল বাছাইয়ের কাজে গুগলকে কঠোর হতে হবে। যেন সার্চ এঞ্জিনে প্রাপ্ত ফলাফলকে বিশ্বের সকল ব্যবহারকারীই পক্ষপাতহীন হিসেবে মানতে পারে।
এ নিয়ে ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য আইন বিভাগের অধ্যাপক ফ্রাঙ্ক পাসকুয়েল বলেন, সার্চ ইঞ্জিনের পদক্রম ও চিহ্নিত বা নির্ণয় করার জটিলতা সব সময়ই প্রতিষ্ঠানের বাইরের কিছু লোকের বোঝাপড়াকে প্রভাবিত করে। অনেক লোক সার্চ এঞ্জিনগুলোর ফলাফল বাছাই প্রক্রিয়াকে সন্দেহের বাইরে গিয়ে দেখতে পারছেন না। ‘দ্য ব্লাক বক্স সোসাইটি’ বইয়ে পাসকুয়েল সতর্কতার সঙ্গে বলেছেন, বিষটা খুবই সমালোচনামূলক, আমরা কী দেখব আর কী দেখব না, একটি লুকায়িত গাণিতিক পদ্ধতি সেটা নির্ধারণ করে দিচ্ছে, নিয়ন্ত্রণ করছে।
২০১৬ সালে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকালীন সময় ডান ও বাম পক্ষের রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা গুগল প্রচণ্ড রকম সমালোচিত হয়। ওই সময় একটি ভিডিও ক্লিপ ও নির্বাচন পরবর্তী একটি সংবাদ নিয়ে গুগল বেশ জটিলতায় পড়ে। এপ্রিলে চালু হওয়া গুগলের ওডাব্লিউএল প্রকল্পের তথ্য বলছে, দৈনিক অনুসন্ধানের ক্ষুদ্র অংশ, প্রায় শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে গুগল সার্চ এঞ্জিন ট্রাফিক জটিলতায় পড়ে। একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গুগল সব সময় অনুসন্ধানকারীর চাওয়া অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক ফলাফল দেখানোর চেষ্টা করে।
বাংলা ইনসাইডার/আরজে/জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭