ইনসাইড ইকোনমি

টাকার বিপরীতে দুর্বল হচ্ছে ভারতীয় রুপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 06/05/2021


Thumbnail

দিনের পর দিন টাকার বিপরীতে দুর্বল হচ্ছে ভারতীয় রুপি। গত কয়েক মাস ধরেই ভারতীয় মুদ্রাটি দর হারাচ্ছে। শুধু টাকার সঙ্গে না, ডলারের বিপরীতেও দুর্বল অবস্থানে রয়েছে রুপি।

বর্তমানে ১ টাকা ১৪ পয়সায় পাওয়া যাচ্ছে এক রুপি। আর ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে অন্তত ৮৭ রুপি। কয়েক মাস আগেও এ পরিস্থিতি ছিলো না। তখন এক রুপি কিনতে খরচ করতে হতো ১ টাকা ২৫ থেকে ২৭ পয়সার বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতে রুপির বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ায় দেশ থেকে যারা ভারতে পণ্য রপ্তানি করেন তারা কিছুটা সমস্যায় পড়বেন। আমদানিতে ব্যয় কম হবে, কিন্তু এ অবস্থা বেশিদিন চলতে থাকলে রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। কারণ, ক্রমাগত রুপির পতনে বিশ্বব্যাপী ভারতের পণ্য সহজলভ্য হয়ে গেলে তাদের চাহিদা বেড়ে যাবে।

টাকার বিপরীতে রুপির মান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এক মাসে বাংলাদেশের মুদ্রা টাকার বিপরীতে ভারতীয় রুপির দরপতন ঘটেছে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। ডলারের বিপরীতে রুপি ৪ দশমিক ১৪, ইউরোর বিপরীতে ৫ দশমিক ৪৫ ও পাউন্ডের বিপরীতে ৪ দশমিক ০২ শতাংশ কমেছে।

২৭ মার্চ বাংলাদেশের ১ টাকা সমান ছিল ভারতীয় ১ দশমিক ১৭ রুপি। ৩০ মার্চ তা আরও কমে ১ দশমিক ১৫ রুপি হয়। ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল সামান্য বেড়ে ২ এপ্রিল থেকে আবার কমতে শুরু করে। ৬ এপ্রিল থেকে তা টানা কমতে শুরু করে।

১৩ এপ্রিল কমে ১ টাকার সমান ১ দশমিক ১৩ রুপি হয়। ১৮ এপ্রিল আবার বেড়ে ১ দশমিব ১৪ রুপিতে দাঁড়ায়। ২০ এপ্রিল তা আবার কমে ১ দশমিক ১২ রুপি হয়। ২৭ এপ্রিল আরও কমে হয় ১ দশমিক ১১ রুপি। তবে ৫ মে ১.১৪ রুপি হয়।

বাংলাদেশ ভারতে পণ্য রপ্তানির তুলনায় ভারত থেকে আমদানি করে অনেক বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতে রপ্তানি করেছে মোট ১০৯ কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য। একই সময়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে ৫৭৯ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের পণ্য।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে ভারত থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ৫৪৫ কোটি ২৯ হাজার ডলারের এবং বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছিল ৬৮ লাখ ৯৬ হাজার ২০০ ডলারের পণ্য। এর বাইরে চিকিৎসা, শিক্ষা, ভ্রমণসহ বিভিন্ন কারণে এখন বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি ভারতে যান।

এ ছাড়া অনেক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে কর্মরত আছেন। রুপির দ্রুত দরপতন হলে এসব ভারতীয় বাংলাদেশ থেকে ধীরগতিতে টাকা পাঠিয়ে থাকেন। ফলে টাকা-রুপির দর কাছাকাছি এলে বাংলাদেশের লাভই বেশি।

ভারতীয় মুদ্রার দর কমলে বাংলাদেশ লাভবান হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ, চীনের পর ভারত থেকেই বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আমদানি করে। টাকার বিপরীতে কিংবা ডলারের বিপরীতে রুপির দর কমলে আমদানি করা পণ্যে খরচ কমবে।

সালেহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে আরও বলেন, চিকিৎসা ও ভ্রমণে যারা যাবেন, তাদের ব্যয় আগের তুলনায় কিছুটা কম হবে। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে ভ্রমণ ভিসা বন্ধ, তাই এ সুবিধা কাজে লাগবে না।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭