ইনসাইড বাংলাদেশ

আ.লীগের ভোট বেড়েছে ২৭.৮ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 02/10/2017


Thumbnail

ঝিনাইদহ-২ (সদর) আসনে ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের ভোট বেড়েছে ২৭.৮ শতাংশ। প্রতি নির্বাচনে তা বেড়েছে ক্রমান্বয়ে। নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগ ভোট পেয়েছিল যথাক্রমে ২৩.৫৯, ৩৩.৭৮, ৪৪.২১ ও ৫১.৩৯।

অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে বিএনপির ভোট অল্পবিস্তর বেড়ে-কমে প্রায় একই অবস্থানে আছে। ক্রমান্বয়ে ভোট কমেছে বা একই অবস্থানে আছে তাদের জোটসঙ্গী জামায়াতও। একইসঙ্গে ভোট কমেছে স্থানীয় ভাবে দূর্বল জাতীয় পার্টিরও।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি নির্বাচনে নতুন ভোটাররা বেশি আস্থা রেখেছে নৌকার প্রতি। যার ফলে ব্যবধান কমে এসেছে। কিন্তু বারবার ধানের শীষ জিতে যাওয়ায় আসনটিকে বিএনপি তাদের ঘাঁটি হিসেবে ধরে নিয়েছে। কিন্তু নতুন ভোটাররা জড়ো হয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে জিতিয়ে দিয়েছে। যদিও মাত্র ৪.৫৭ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে। তবে তারা মনে করছেন, ভোট বাড়ার এই ধারায় আগামী নির্বাচনেও তীরে ভীড়বে নৌকা। এবং তা আরও বেশি ভোটের ব্যবধানে।

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো: সফিকুল ইসলাম এক লাখ ৬১ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মসিউর রহমান পেয়েছিলেন এক লাখ ৪৬ হাজার সাতশত ৩৬ ভোট। শতাংশের  হিসাবে তা যথাক্রমে ৫১.৩৯ ও ৪৬.৮২ ভাগ।

২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন চারদলীয় জোট থেকে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মসিউর রহমান। তিনি পেয়েছিলেন এক লক্ষ ৪৪ হাজার নয়শত ৫১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী পেয়েছিলেন এক লক্ষ ১৭ হাজার সাতশত ছয় ভোট। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী জালাল উদ্দিন আহমেদ পেয়েছিলেন তিন হাজার দুই শত ৪৫ ভোট। শতাংশের হিসাবে তা যথাক্রমে ৫৪.৪৫, ৪৪.২১ ও ১.২২ ভাগ।

১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত সপ্তম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মসিউর রহমান পেয়েছিলেন ৮৩ হাজার নয়শত ৬৭ ভোট। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী পেয়েছিলেন ৬৯ হাজার তিনশত ৫৩ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা জামায়াতের প্রার্থী নূর মোহাম্মদ পেয়েছিলেন ৪১ হাজার দুইশত ৪৭ ভোট। আর চতুর্থ অবস্থানে  থাকা জাতীয় পার্টি পেয়েছিল আট হাজার চারশত ১১ ভোট। শতাংশের হিসাবে তা যথাক্রমে ৪০.৯০, ৩৩.৭৮, ২০.০৯ ও ৪.১০ ভাগ।

১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মসিউর রহমান ৭৬ হাজার এক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের মতিউর রহমান পেয়েছিলেন ৩৭ হাজার নয়শত ২৩ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা জামায়াতের আবুল কাসেম পেয়েছিলেন ৩৩ হাজার নয়শত ৭৫ ভোট। আর চতুর্থ অবস্থানে থাকা জাতীয় পার্টির প্রার্থী পেয়েছিলেন সাত হাজার নয়শত ১২ ভোট। শতাংশের হিসাবে তা যথাক্রমে ৪৭.২৮, ২৩.৫৯, ২১.১৪ ও ৪.৯২ ভাগ।

প্রসঙ্গত, এই আসন থেকে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চার প্রার্থী নৌকা মার্কার টিকিট চাইবেন বলে জানা গেছে। আর বিএনপি থেকে অন্তত তিনজন ধানের শীষের টিকিট চাইবেন বলেও জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন বর্তমান স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি (এমপি হওয়ার পর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন), জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু, সহসভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু।

আর বিএনপির প্রার্থীরা হচ্ছেন জেলা বিএনপির সভাপতি মসিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মজিদ ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মীর রবিউল ইসলাম লাবলু।

বাংলা ইনসাইডার/এমএএম



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭