ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা কে হচ্ছেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 07/05/2021


Thumbnail

এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে কে হবেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা? শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায় নাকি তৃতীয় কেউ? দৌড়ে আপাতত এগিয়ে শুভেন্দু অধিকারী। যেহেতু নন্দীগ্রামে হারিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুভেন্দুকে ‘জননেতা’ বলে মেনেও নিয়েছেন বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব। 

দলের ভেতরের কিছু লোকজন বলছেন, শুভেন্দুর ব্যক্তিত্ব এবং তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাও বিবেচনায় রয়েছে। বিধানসভার অন্দরে বিপুল ভাবে জিতে ক্ষমতায় আসা শাসকদলের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করতে পারবেন বলেই মনে করছে দলের ওই অংশ। তবে শুভেন্দুর পাশাপাশি উঠে আসছে মুকুলের নামও। কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন মুকুল। যিনি একদা তৃণমূলের অঘোষিত দু’নম্বর ছিলেন। জীবনে এই প্রথম ভোটে জিতলেও সংগঠক হিসেবে মুকুলের অভিজ্ঞতা নেহাত কম নয়। 

কিন্তু আইনসভার সদস্য হিসেবে তিনি কতটা কার্যকরী হবেন, তা নিয়ে বিজেপি`র অন্দরে একটা আলোচনাও চলছে। কারণ, দু’টি পর্যায়ে রাজ্যসভার সদস্য থাকলেও মুকুল সেখানে বক্তা হিসেবে খুব দাগ কেটেছেন, তথ্য এমন বলে না। আবার মুকুলের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, মেঠো রাজনীতিতে শুভেন্দু অবশ্যই এগিয়ে। কিন্তু পরিষদীয় রাজনীতি করতে গেলে অভিজ্ঞতা, ধৈর্য ও রাজনৈতিক জ্ঞান থাকা জরুরি। পাঁচ বছর ধরে বিধানসভার ভেতরে মমতার সঙ্গে লড়াই করার মতো ধৈর্য বর্ষীয়ান মুকুলের আছে।

আবার রাজ্য বিজেপি-র একটি সূত্রের দাবি, তৃণমূল থেকে আসা মুকুল-শুভেন্দু কাউকেই বিরোধী দলনেতার পদে চাইছেন না রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি চান সঙ্ঘ পরিবার-ঘনিষ্ঠ কাউকে বিরোধী দলনেতা করা হোক। কিন্তু এক্ষেত্রে অন্তরায় অভিজ্ঞতা। যে ৭৭ জন বিধায়ক হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে মাত্রই হাতে-গোনা কয়েকজনের পরিষদীয় রাজনীতি করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। তবে প্রাথমিক দৌড়ে যে শুভেন্দু এবং মুকুলের মধ্যে, তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরে সকলেই একমত। এখন দেখার কে হয় বিরোধী দলীয় নেতা। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭